লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে আশ্চর্যভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর সাথে সাথে যখন থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা রিলিজ হওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে যে ইন্টারনেটের যুগে যখন ওটিটিতে সহজেই বাড়িতে বসে মানুষ সিনেমা দেখতে পারছেন তখন আদৌ কি সিনেমা হলগুলো ভবিষ্যতে টিকবে? আর যেভাবে মানুষ হল বিমুখ হয়েছেন তাতে সিনেমা হলগুলোর ভবিষ্যৎ কি? এ নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন বাংলার বেশ কয়েকজন প্রথম শ্রেণীর চিত্র পরিচালক।
কমলেশ্বর মুখার্জীঃ
পরিচালিত সিনেমাঃ নটবর নটআউট, মেঘে ঢাকা তারা, চাঁদের পাহাড়, ১৩ নং তারাচাঁদ লেন, ক্ষত, মুখোমুখি, চ্যাম্প, মেঘনাদ বধ রহস্য, ককপিট, অ্যামাজন অভিযান, গুডনাইট সিটি, পাশওয়ার্ড।
এখন করোনার জন্য সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ আর সিনেমা হলগুলো যখন খুলবে তখন বেশী ভীড় হবে বলে মনে হয়না। আগে মানুষ ছবি দেখতেন না তা নয়, ছবি বা অন্যান্য যেসব বিনোদনের মাধ্যমগুলো রয়েছে সেগুলো সবই দেখতেন তবে এখন সেগুলো সব ডিজিটাল মিডিয়ায় বেশি আসছে। ফলে আপাতত যেটা যেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিন তো বটেই মাল্টিপ্লেক্সেও জনসমাগম খুব কম হবে বলে আমার মনে হয়। এবং ওটিটি প্লাটফর্মেই যেসব কন্টেন্ট হবে সেইসব কন্টেন্ট মানুষ বেশি দেখবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম একটা প্রতিযোগিতামূলক মার্কেট সেখানে সাবক্রিপশন করে লোকেরা কন্টেন্ট দেখে। সেখানে উচ্চমানের কন্টেন্ট না দিলে মানুষ এতটাকা দিয়ে সাবক্রিপশন করবেই বা কেন? ……… আর সিনেমা হলের ভবিষ্যত নিয়ে কোন কথা বলা এখন মুশকিল। তাতে সিঙ্গেল স্ক্রনের অবস্থাটা ভাল নয়, আর মাল্টিপ্লেক্সগুলোর ব্যাপারে আমার ধারণা যে সেগুলো খুললে আস্তে আস্তে মানুষের আসা যাওয়া শুরু হবে।
গৌতম ঘোষঃ
পরিচালিত সিনেমাঃ মা ভুমি, গৃহযুদ্ধ, ধকল, পার, অন্তর্জালি যাত্রা, পদ্মা নদির মাঝি, পতঙ্গ, গুড়িয়া, দেখা, আবার অরণ্যে, যাত্রা (হিন্দি), কালবেলা, মনের মানুষ, শুন্য অঙ্ক, শঙ্খচিল, Raahgir – The Wayfarers in Hindi (2019)
প্রযুক্তির যে পরিবর্তন তা সিনেমা বা অন্যান্য টেলিভিশন বা অন্যান্য অডিও ভিজুয়েল মাধ্যমে সেই পরিবর্তন বহুদিন ধরেই চলে আসছে এবং প্রযুক্তি দিচ্ছে নানা রকমের প্ল্যাটফর্ম। আগে সিনেমা থিয়েটার হলে রিলিজ হত তারপর টেলিভিশন এল তারপরেই আবার এই নতুন ওটিটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো আসছে এবং এটা জনপ্রিয়ও হচ্ছে। তার কারণ এই প্রযুক্তির যে পরিবর্তন তা হওয়ার কথায় ছিল কেননা বহু মানুষ সিনেমা দেখতে হলে যেতে চাইনা, বা অনেক প্রজন্ম তারা কাজ করার ফাঁকে অনলাইনে একটু সিনেমা দেখে নিল বা অন্য কিছু একটা দেখে নিল, তবে এই যে অতিমারি বা যাই বলা হোক না কেন এই যে প্যান্ডেমিক এটা একেবারেই কয়েক মাসের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়ে গেল। আর এটা ছাড়া এখন কোনো উপায়ও নেই কারণ এই মহামারির মুহূর্তে মানুষের হলে যাওয়ার মত পরিস্থিতিও নেই। এখন লোকে আরও বেশি পরিমাণে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখছে এবং মানুষ একটা সময় ঘর থেকে বের হতে পারেনি তবে এখন খানিকটা বেরোচ্ছে, আর ঘরে বসে বসে এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মে ছবি দেখছে।
একদিক থেকে ভালো যে প্রচুর শর্ট ফিল্ম যেগুলো থিয়েটার হলে দেখানো হতো না বা অনেক ডকুমেন্টারী যেগুলোও থিয়েটার হলে দেখানো যেত না সেগুলো এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ দেখতে পাচ্ছে, সেটা খুবই ভাল দিক। আর অনেক নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যেসব সিনেমা বানিয়েছে যেগুলো থিয়েটারে রিলিজ করার মতো তাদের ক্ষমতা ছিল না তারা কিন্তু এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে। এবং প্রচুর ওটিটি প্ল্যাটফর্মও হয়ে গেছে। কোনটা হয়তো খুব নামকরা প্ল্যাটফর্ম, কোনটা সবে হয়েছে, কোনটা একটা অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ, আবার কোনটা ইন্টারনেশনেল লেবেলের, আর এমনিতে যে কোন ওটিটি সব জায়গায় দেখা যায়। এটা হচ্ছে বাস্তব কিন্তু থিয়েটার এমন একটা জিনিস ছবিটা যখন চলচ্চিত্র নির্মাতারা নির্মান করেন যাঁরা সত্যিকারের সিনেমাকে ভালবাসেন তাঁরা কিন্তু বড় পর্দার জন্যই নির্মান করেন। কারণ বড় পর্দার অন্য একটা মাধুর্য রয়েছে। যেখানে তুমি পরিকল্পনা করে বড় পর্দায় ছবি দেখতে যাও যেখানে বড় পর্দা এবং এবং দর্শক এবং তার মাঝখানে কেউ নেই, সেখানে তোমার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বা টেলিভিশন দেখছো তখন প্রেসার কুকার নামাতে একজন চলে গেল বা একটা কলিং বেল বাজল এটা বন্ধ করে আবার দেখল, বা অন্য একটা কাজ খানিকটা সেরে নিয়ে খানিকটা আবার দেখল। এটা কিন্তু থিয়েটারে কোন উপায় নেই, ছবি আরম্ভ হচ্ছে, শেষ হচ্ছে। সেখানে প্রতিটা মুহূর্তই মূল্যবান। এবং সেখানে একটা একাত্মতা রয়েছে একটা স্কীনের সঙ্গে, তাই সেই মূল্যটা কখনোই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসবে না। এখানে তুমি যতই বড় স্কীন বানাও যাদের পয়সা আছে তারা একটা হোম থিয়েটার বানাবে কিন্তু তা সত্যেও সকলে মিলে ছবি দেখা সেটার একটা অন্য মূল্য রয়েছে। তাই আমার মনে হয় হয়তো অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য মেন্টানেন্সের অভাব বা লোকজনের মাইনে দিতে পারছে না বা ট্যাক্স দিতে পারছে না যে ট্যাক্সটা সরকারকে অবশ্যই দেওয়া উচিত বা ট্যাক্সটা নিয়ে ভাবা উচিত এই সব ভার নিয়ে অনেক সিনেমা হল হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে এবং বন্ধ হয়ে যাচ্ছেও এবং সেটা শুধু এই অতিমারির জন্যই নয় তার আগেও বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ এর আগে গ্রামাঞ্চলেও প্রচুর সিনেমা হল ছিল, কিছু কিছু গঞ্জে দুইটি পর্যন্ত সিনেমা হল ছিল সেগুলো এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে। ছোটখাটো শহরগুলোর হলগুলোও বন্ধ। সেগুলোর সংখ্যা এখন অর্ধেক। আর একটা কথা হচ্ছে, বহু জায়গায় সিনেমা হল ভেঙে অন্য রিয়েল স্টেট হয়ে গেছে বা অন্য কিছু হয়ে গেছে। তবে যাইহোক আমার মতে সিনেমা হল আবার ফিরে আসবে। ইউরোপের কিছু জায়গায় সিনেমা হলে ছবি রিলিজ করেছে আমার বন্ধুরা বলছে আবার লোকেরা হলে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য যে সকাল বেলা দেখছি একটা থ্রিলার দুপুর বেলা কমেডি, রাত্রিবেলায় একটা ট্র্যাজেডি এ তো সারাদিন ধরে দেখে যাচ্ছি ঘরের মধ্যে বসে। কিন্তু আমার বন্ধুদের বক্তব্য যে সেইসব লোকেরা বাইরে বেরিয়ে থিয়েটারে আসছে, হয়তো সিট কম রেখেছে এই কোভিডের জন্য কিন্তু মাস্ক পরেও লোকে থিয়েটারে এসে সিনেমা দেখছে ফলে আমার মনে হয় আবার সিনেমা হলে দর্শক যাবে এবং যেতে বাধ্য। মানে একশ বছর আগে যখন স্প্যানিশ ফ্লু হয়েছিল তখনও সিনেমার আবিস্কার হয়ে গেছে এবং যদিও সেগুলো সাইলেন্ট (নির্বাক) ছবি ছিল। সেই মহামারির ফলে ইউরোপের নানান জায়গায় সিনেমা হল ছিল আর আমাদের দেশেও বহু জায়গায় সিনেমা হল ছিল সেগুলো টেম্পোরারি কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়েছিল তারপর আবার থিয়েটারগুলো খুলেছিল তারপর সিনেমা হলের ইতিহাস বন্ধ হয়নি সুতরাং সিনেমা হল কোনদিনই বন্ধ হবে না, হল থাকবে। আর সিনেমা হলের ভবিষ্যত অন্ধকার তো নয়ই বরং উজ্জ্বল।
অতনু ঘোষঃ
পরিচালিত সিনেমাঃ অংশুমানের ছবি, তখন তেইস, রূপকথা নয়, একফালি রোদ, অ্যাবি সেন, ময়ুরাক্ষ্ণী, রবিবার, বিনিসুতোয়।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে যেটা বলব সেটা হচ্ছে সিনেমা যখন তৈরি হয়ে যায় তখন তো আমাদের বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থাৎ প্রথম সেটা থিয়েটারে দেখানো হয়, তারপরে সেটা টেলিভিশনে দেখানো হয়। আগে ছিল স্যাটালাইট চ্যানেল, দুরদর্শণ আর কিছু প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল, তার পরে আমাদের ছিল হোম ভিডিও, হোম ভিডিও মানে হচ্ছে যে সিডি, ডিভিডি প্রভৃতি এর সঙ্গে নতুনভাবে যোগ হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মানে অনলাইনের যে প্ল্যাটফর্মগুলো রয়েছে তাতে আমদের ছবিটাকে থিয়েটারে রিলিজ হওয়ার পরে দিতে পারি। এটাকে সিনেমা হলের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার তো কোন কারণ নেই। দেখুন সিনেমা তৈরি করা হয় বড় পর্দার জন্য, সেটা থিয়েটারেই থাকবে সেটার এখনো অবধী আর কোন জায়গা নেই কিন্তু। তবে হ্যাঁ এই কোভিডের এই পরিস্থিতিতে কিছু প্রযোজক তাঁরা মনে করেছেন যে আমরা থিয়েটারে না রিলিজ করে ছবিটা যদি সরাসরি ওটিটিতে রিলিজ করি, তাদের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা, তাদের সংখ্যা হিসেব করলেই দেখা যাবে যে তাদের মোট নাম্বারটা দশও পেরোবে না। কাজেই যেখানে একটা আমাদের দেশে এত ছবি তৈরি হয়, বাংলাতেই একশ’র উপর তৈরি হয়, সেখানে একটা বছরে বিশেষ পরিস্থিতিতে দশজন মানুষ কি করল তাই দিয়ে তো পুরো গতি প্রকৃতি কিভাবে বদল হয় তা নির্ধারণ করা যাবে না। তার জন্যে কোন প্রভাবই পড়বে না এটা সম্পূর্ণভাবে এই যে কোভিডের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্যেই এটা হয়েছে, অনেকেই মনে করেছেন যে তাঁরা তাঁদের টাকা আটকে আছে তাই ছবিটা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সিনেমা সবসময় তৈরি হবে বড় পর্দার জন্য, আর ওটিটির জন্য যে কাজ তৈরি হবে সেটা ওটিটির জন্যেই হবে। এই দুটোর মধ্যে কোন দ্বন্দ হবে না বা ওটিটি সিনেমার একটা বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে বা সিনেমা বাদ দিয়ে ওটিটির প্রাধান্য বাড়বে সেরকম কিন্তু একেবারেই হবে না। আর সিনেমা হল নিয়ে বিগত দিনের যে সমস্যা সেটা থাকবেই, এটা সারা পৃথিবীর সমস্যা, সব জায়গাতেই থিয়েটার অপটিক্যাল থেকে ডিজিটাল হল তখন থেকেই এই সমস্যা, এই সমস্যা সারা পৃথিবীর সমস্যা। এটা শুধু আমাদের দেশের নয়, কিন্তু সিনেমা তো সিনেমা হয়েই থাকবে আপনি কি করে ভাবছেন যে একটা ছবি তৈরি হবে আর লোকেরা মোবাইলে দেখবে আর সিনেমার ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি মুহূর্তেই পালটে যাবে, সেটা তো হবে না। পরবর্তীকালে হয়তো সিঙ্গেল স্ক্রিন থাকবে না তবে মাল্টিপ্লেক্স বাড়বে, ওটিটির সাথে হলের কোন সম্পর্কই নেই।
জয়দ্বীপ মুখার্জী
পরিচালিত সিনেমাঃ ভাইজান এলো রে, শিকারী, নবাব, চালবাজ, তুমি শুধু আমার, শরতে আজ (ওয়েব সিরিজ – জি ফাইভ), ডিটেকটিভ (হইচই ওরিরিনাল সিনেমা)
ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর যেভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাতে সিনেমা হলগুলোকে প্রভাবিত তো করছেই এবং এখন করোনার পরিস্থিতিতে মানুষ ওটিটিতে বেশি ছবি দেখছেন এবং তাঁরা ঘরে বসে ছবি সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু এই প্যাণ্ডেমিকটা যত তাড়াতাড়িই অতিক্রম হয় ততই ভাল নাহলে থিয়েটারে গিয়ে যে সিনেমা দেখার ওরিজিনাল মজা সেটা তো এই ছোট স্ক্রীনে এইটুকুর মধ্যে হয়না, সেটা বড় স্ক্রীনেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাওয়া যায় এবং সবাই মিলে আনন্দ করা যায়। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চালু হওয়াটাই এখন দরকার। ……… আমার মনে হয় এই মহামারিতে শুধুমাত্র ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার হিড়িকটা সাময়িক, মানে এই ছোট পর্দায় সিনেমা দেখার যে ঢেউটা এখন চলছে যেহেতু মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারছে না, এবং একপক্ষে এটা ভাল যে এই সময় মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারছে না তাই মনের সুখে ছবি দেখে নিচ্ছে, কিন্তু একটা সময় আসবে যে যখন মানুষকে আবার বড় স্ক্রীনে ফিরতে হবে। আর সিঙ্গেল স্ক্রীনগুলো আগেও এমনিতেই খুব একটা ব্যবসা করতে পারত না, আর বাংলা ছবিতে তো একেবারেই ব্যবসা হোত না, সিঙ্গেল স্ক্রিনগুওলো কোন মতে তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু এই মহামারির ফলে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সিনেমা তো সে মানুষ এখন মাল্টিপ্লেক্সেও দেখে, ক্রমশ মাল্টিপ্লেক্সের সংখ্যাও আশাকরি ভবিষ্যতে বাড়বে এবং যদি সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো যেমন অজন্তা বা এইধরণের সিনেমা হলগুলো যদি মাল্টিপ্লেক্সের প্যাটার্নে যদি চলে কিংবা প্রিয়া সিনেমা যেভাবে করেছে, যে একই দিনে তিন চারটি ছবি দেখা যায়, ওইভাবে যদি প্ল্যান করতে পারে তাহলে আমার মনে হয় ভবিষ্যতে সিঙ্গেল স্কিনগুলো আবার উঠে দাঁড়াবে। আর সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোকেও একটু নতুন করে ভাবতে হবে কিভাবে দর্শককে টানতে পারা যায়। শুধুমাত্র একই গতানুগতিক পরিস্থিতিতে চালালে তো চলবে না, মানুষ প্রতিদিনই তো কিছু না কিছু নতুন চায়।
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।