লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
সম্রাট আওরঙ্গজেব রাজসভায় বসে আছেন। মন্ত্রী, সেনাপতিদের নিয়ে আলোচনা করছেন কিভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের আরও বিস্তৃত করা যায়, কিভাবে সারা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়। এমন সময় একজন ব্যক্তি মুঘলদের দরবারী পোষাক পরে হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে দরবারে উপস্থিত হলেন। সকলে অবাক হয়ে গেল। ভেবে পেল না লোকটি এভাবে রাজসভায় দৌড়ে এল কেন? সম্রাট আওরঙ্গজেব শান্তভাবে জিজ্ঞাসা করলেন, বেটি তোমার কি হয়েছে?
সকলে অবাক হয়ে গেল। সম্রাট একজন পুরুষকে ‘বেটি’ বলে সম্বোধন করছেন কেন? সম্রাটের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি। লোকটি সম্রাটের পায়ে এসে পড়ল। পায়ে পড়তেই তার মাথা থেকে পাগড়ী পড়ে গেল, দেখা গেল সে কোন লোক নয় বরং এক যুবতি মেয়ে। লোকেরা তাঁকে পুরুষ ভেবে ভুল করলেও সম্রাট আওরঙ্গজেবের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থেকে বাঁচতে পারে নি।
মেয়েটি ভীত কণ্ঠে বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে জাহাঁপনা। একমাত্র আপনিই আমাকে সর্বনাশ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
– কি হয়েছে সেটা বলো?
– তাহলে শুনুন।
বলে মেয়েটি নিজের সমস্যার কথা বলতে লাগল।
– আমার নাম শকুন্তলা। আমি বেনারস থেকে এক সপ্তাহ পায়ে হেঁটে আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। আমি একদিন সকালে স্নান করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথের মধ্যে আপনার সেনাপতি আমাকে দেখে। সে আমার বাবাকে প্রস্তাব দেয় আমি যেন সেজেগুজে বাড়িতেই থাকি। সে ফেরার সময় আমাকে তার হেরেমে নিয়ে যাবে। বাবা এখন কিংকর্তব্যবিমুঢ়। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আমি বাবাকে আপনার দরবারে ফরিয়াদ নিয়ে আসতে বলি। তিনি বলেন, আপনি মুসলমান সম্রাট, আপনি কি আমাদের অভিযোগ শুনবেন? আমি বাবাকে বোঝায় সম্রাট আওরঙ্গজেবের ন্যায়পরায়নতার বর্ণনা অনেক শুনেছি। তিনি অত্যাচারিত মজলুমদের পাশে সর্বদাই থাকেন। তিনি দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করার জন্য সবকিছুই করতে পারেন। আমি শুনেছি আপনি ন্যায়ের জন্য নিজ ভাইদেরকেও উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। তাই আপনি আমাদের সাথে অন্যায় কোন ক্রমেই সহ্য করবেন না। এই কথা বাবাকে বার বার বোঝানো সত্ত্বেও তিনি আপনার দরবারে আপনার সেনাপতির বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে সাহস পেলেন না, তাই আমি বাধ্য হয়ে আপনার দরবারে এসেছি। আপনিই এর ন্যায় বিচারের ভিক্ষা চাইছি।
শকুন্তলার কথা শুনে আওরঙ্গজেব বললেন, তুমি সঠিক জায়গায় এসেছো বেটি। আমি তোমার সাথে কোন রকম অন্যায় হতে দেব না। আর তুমি ‘ভিক্ষা’ শব্দটি ব্যাবহার করবেনা, কারণ ইজ্জতের ভিক্ষা হয়না, ইজ্জতের হিফাজত করা হয়। তুমি নিশ্চিন্তে বেনারস ফিরে যাও, নির্দিষ্ট দিনে আমি তোমাদের বাড়িতে উপস্থিত থাকব। সেই দুষ্টকে শায়েস্তা করেই আমি দরবারে ফিরব।
এইভাবে শকুন্তলার সাথে কথোপথন চলাকালীন সে গুনে দেখল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে চোদ্দবার ‘বেটি’ বলে সম্বোধন করেছেন। মেয়েটি বাড়ি ফিরে গেল।
মেয়েটি বাড়ি ফিরে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ পিতা পণ্ডিত লালা রামকে সব কথা খুলে বলল। লালা রাম কন্যাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সত্যিই কি সম্রাট আমাদের বাড়িতে আসবেন, তিনি কি আমাদের সাথে ন্যায়বিচার করবেন?
শুনে শকুন্তলা উত্তর দিল, যে সম্রাট আমাকে চোদ্দবার ‘বেটি’ বলে সম্বোধন করেছেন আমি বিশ্বাস করি সেই মহান সম্রাট তাঁর মেয়ের কোন সর্বনাশ হতে দেবেন না।
শকুন্তলার কথাগুলি পণ্ডিত লালা রামের যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি অবাক হয়ে বললেন, সত্যিই কি সম্রাট স্বয়ং আসবেন না তাঁর পক্ষ হতে কোন প্রতিনিধি পাঠাবেন? সত্যিই যদি তিনি এই গরিবের পর্ণকুটিরে আসেন তাহলে নিশ্চয় সঙ্গে লোক – লস্কর, হাতি ঘোড়া কম আসবে না। তাঁদের থাকবে দেব কোথায়?
ব্রাহ্মণ চিন্তায় পড়ে গেলেন।
অবশেষে ব্রাহ্মণের সমস্ত চিন্তার অবসান ঘটিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেব দুইশত সেনা নিয়ে উপস্থিত হলেন গরিব ব্রাহ্মণের পর্ণকুটিরে। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ লালা রাম হতবাক হয়ে গেলেন। আওরঙ্গজেব বললেন, আপনার কন্যা যে কামরায় থাকে সেখানে আমার উপাসনার ব্যবস্থা করে দিন।
ব্রাহ্মণ তড়িঘড়ি শকুন্তলার কামরাটি পরিস্কার করে সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্য উপাসনার পূর্ণ ব্যবস্থা করে দিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব দরিদ্র ব্রাহ্মণের জীর্ণ কামরায় ভিখারীর বেশ ধারণ করে সারারাত এবাদত – উপাসনা ও মোনাজাত – প্রার্থণায় অশ্রুবিসর্জন করে কাটালেন। ব্রাহ্মণ অবাক হয়ে চিন্তা করতে লাগলেন – সম্রাট এভাবে কাঁদছেন কেন? তাঁর কিসের অভাব? তাঁরা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলেন না, আর সাহস করে জিজ্ঞাসাও করতে পারলেন না।
পরদিন সেই দুর্বৃত্ত সেনাপতি বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের জীর্ণ পর্ণকুটিরে এসে উপস্থিত হল। খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলল, আপনার মেয়ে নিশ্চয় আমার কথামত সাজিয়ে রেখেছেন। নিয়ে যাবার আগে আপনার মেয়েকে একবার দেখে নেওয়া উত্তম। তো আপনার মেয়ে কোথায়?
বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ সম্রাট আওরঙ্গজেব যে কামরায় উপাসনায় মগ্ন ছিলেন সেই কামরাটি দেখিয়ে দিলেন। তিনি ভাবতে লাগলেন, নিশ্চয় কোন ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। খুশিতে উন্মত্ত হয়ে সেনাপতি কামরায় ঢুকে পড়ল। দরজার সামনে গিয়ে দেখল জীর্ণ বস্ত্র পরে একজন ভিখারী মুখ ঢাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর মুখ দেখা যাচ্ছে না। ভিখারী বেশধারী আওরঙ্গজেব হাত বাড়িয়ে সেনাপতির কাছে ভিক্ষা চাইলেন। সেনাপতি থলে থেকে এক মুঠো মুদ্রা বের করে সম্রাটের ঝুলিতে দিতে গেল। ঝুলিতে মুদ্রা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সম্রাট থলেটি হাত থেকে ছেড়ে দিলেন। ফলে সমস্ত মুদ্রা মাটিতে পড়ে গেল। সেনাপতি বলল, তুমি কেমন ভিখারী যে মুদ্রাগুলি মাটিতে ফেলে দিলে।
সম্রাট বললেন, তুমি আবার আমায় মুদ্রা দাও।
সেনাপতি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বলল, আর দিতে পারব না, যা দিয়েছি সেগুলিও কুড়িয়ে এখান থেকে বিদায় হও, নইলে আমার তরবারির এক আঘাতে তোমার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব।
বলে সেনাপতি কোমর থেকে তরবারী বের করতে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আওরঙ্গজেব বামহাতে জামার বোতাম খুলে ডান হাত দিয়ে সেনাপতির গালে এত জোরে থাপ্পড় মারলেন যে সেনাপতি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। সেনাপতির মাথা বন বন করে ঘুরতে লাগল। সে কোন রকম সম্বিত ফিরে পেয়ে লাফ মেরে উঠে দাঁড়াল। ততক্ষণে সম্রাটের মুখ থেকে কাপড় সরে গেছে। সেনাপতি কোমর থেকে তরবারি উঁচিয়ে দেখে স্বয়ং সম্রাট আওরঙ্গজেব দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উদভ্রান্ত যৌবনের বুক ভরা আবেগ ও ভিখারীকে শায়েস্তা করার মানসিকতা নিমেশেই উবে গেল। সেনাপতি হতবাক। তার পা থরথর করে কাঁপতে লাগল। যে সেনাপতির নাম শুনলে শত্রুসৈন্যের হৃদয় ভয়ে ও দুর্বলতায় কাঁপত, যে সেনাপতির মনে কখনো ভীতি অথবা দুর্বলতা স্থান পায় না, আজ সম্রাট আওরঙ্গজেবের সম্মুখে সেই সেনাপতির হৃদয় কালবৈশাখীর ঝড়ের মত ভীষণ শব্দে কেঁপে উঠল। সেনাপতি নিজেকে সামলে নিয়ে ক্ষমা চাইবার জন্য চেষ্টা করলেন কিন্তু তাঁর পা তাঁর সঙ্গ দিল না। দুঃখ, লজ্জা আর অপমানের আশঙ্কায় জ্ঞানহারা হয়ে বলিষ্ঠদেহী সেনাপতি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। আওরঙ্গজেব তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনে তুললেন। সেনাপতি থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল, সম্রাট আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে, আমাকে ক্ষমা করে দিন।
সম্রাট রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, নারীর ইজ্জতকে যারা হত্যা করে তাদের ক্ষমা করা যাবেনা। ইসলাম নারীর সম্মানের রক্ষা করে, ইসলাম নারীর সর্বনাশ চায় না। আর তুমি আমার রাজ্যের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণকন্যাকে যেভাবে অসম্মান করতে চেয়েছো তাতে তুমি ইসলামের নামকে বদনাম করার চেষ্টা করেছো, তাই তোমার শাস্তি অনিবার্য।
বলে সম্রাট আওরঙ্গজেব সেনাপতির চুলের মুঠি ধরে জোরে আছাড় মারলেন তাতে সেনাপতি দূরে ছিটকে পড়ল। সম্রাটের এক হাঁকে দুইশত সেনা সম্রাটের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে গেল। সেনাদের আদেশ করলেন, একে গ্রেফতার কর।
সঙ্গ সঙ্গে সেনারা সেনাপতির কোমরে দড়ি বেঁধে বন্দী করে নিয়ে গেল।
শকুন্তলার পিতা লালা রাম সম্রাটের বিচার দেখে হতবাক হয়ে গেলেন। সম্রাটের সুবিচার, দায়িত্ববোধ, আর অসাম্প্রদায়িক ভুমিকা দেখে লালা রাম আনন্দে রুদ্ধপ্রায় হয়ে বললেন, আপনি আমার কন্যার ইজ্জত রক্ষা করেছেন। আপনার এই ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারব না।
সম্রাট আওরঙ্গজেব বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে বুকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করে বললেন, ভাই এই সাম্রাজ্যের শাসক আমি তাই এই দেশের সমস্ত নাগরিকের হেফাজতের দায়িত্ব আমার। আমি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা সেই হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাজিআল্লাহু আনহুর অনুসারী যিনি বিলাপ করে বলতেন – হায়, যদি কোন ছাগলের ছানা ফোরাতের (ইউফ্রেটিশ) তীরে অনাহারে মারা যায়, আমার ভয় হয়, তার জন্যও আমাকে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমি তাঁর অনুসারী হয়ে কিভাবে আপনার মেয়ের সর্বনাশ হতে দিতে পারি বলুন? আমি যে আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পেরেছি এতেই আমি ধন্য।
আওরঙ্গজেবের এই কথা শুনে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের মুখ থেকে আর কোন কথা বেরোল না। তাঁর চোখ দিয়ে শুধু ঝর ঝর করে গড়িয়ে পড়তে লাগল। সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর সৈন্যসামন্ত নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। সেনারা সেই দুর্বৃত্ত সেনাপতির কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে হিড় হিড় করে নিয়ে গেল।
শকুন্তলার পিতার কাছে এসে বলল, বলেছিলাম না বাবা যে সম্রাট আমাকে চোদ্দবার ‘বেটি বলে সম্বোধন করেছেন তিনি তাঁর মেয়ের কোন সর্বনাশ হতে দেবেন না।
এদিকে টেনে হিঁচড়ে সেই দুর্বৃত্ত সেনাপতিকে বেনারসের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে উপস্থিত করা হয়। তারপর সম্রাট আওরঙ্গজেব কিছু পাগল হাতি আনালেন। সেনাপতিকে গলায় দড়ি বেঁধে সেই পাগল হাতির পায়ের সাথে বেঁধে হাতিগুলিকে দৌড় করালেন। ফলে সেনাপতির দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে মারা যায়। সম্রাটের হুকুমে বেনারসেই তার কবর দেওয়া হয়।
এইভাবে সম্রাট আওরঙ্গজেব এই দুর্বৃত্তকে নির্মম শাস্তি দেন। শাস্তি দেওয়ার পর তিনি আবার সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের বাড়ি গেলেন। শকুন্তলাকে ডেকে বললেন, মা আমাকে জল দাও।
শকুন্তলা জল নিয়ে আসে। সেই জল দিয়ে আওরঙ্গজেব অজু করে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করলেন। তারপর আবার শকুন্তলাকে জল আনতে বললেন। শকুন্তলা আবার জল নিয়ে এল। সেই জল পান করে সম্রাট আওরঙ্গজেব বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে বললেন, সাক্ষী থাকুন আজ পনেরো দিন হয়ে গেল, যেদিন আপনার মেয়ে আমার কাছে তার ফরিয়াদ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম হয় এর মেয়ের ইজ্জাতের রক্ষা করব নাহয় আমি প্রাণত্যাগ করব। আমি ততদিন পর্যন্ত পানিও পান করব না। প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পেরেছি তাই আজ আপনার সামনে পানি পান করলাম।
বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ আশ্চর্য হয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের দিকে শুধু তাকিয়েই রইলেন। কাছে এসে বললেন, জাহাঁপনা আপনি আমাদের মনের মধ্যে এক বিশেষ স্থান দখল করেছেন, আপনিও সাক্ষী থাকুন আমার যে বাড়িতে বসে আপনি আল্লাহর উপাসনা করেছেন সেই বাড়িতে আমি একটা মসজিদ বানাব।
সম্রাট শুধু বললেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি, এবার আপনি আপনার বাড়িতে মসজিদ কিংবা মন্দির যা খুশি বানাতে পারেন। মনে রাখবেন, মসজিদ যেমন আল্লাহর উপাসনার জায়গা, ঠিক তেমনি প্রজাদের সাথে ন্যায় বিচার করাটাও আল্লাহর উপাসনা করা। আপনার কন্যাকে রক্ষা করে আমি আমার প্রভুর উপাসনা করেছি মাত্র।
বলে সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর সৈন্যসামন্ত নিয়ে সেখান থেকে বিদায় নিলেন।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের এই মহান আচরণে মুগ্ধ হয়ে যায় বেনারসের লোক। যে পল্লীতে এসে সম্রাট ব্রাহ্মণতনয়াকে রক্ষা করেন সে পল্লীর বাসিন্দারা সেই পল্লীর নামকরণ করেন আওরঙ্গজেবের আর এক নাম আলমগীরের নামে। পল্লীর নামকরণ হয় ‘আলমগীর’।
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।