লিখেছেনঃ মীরাতুন নাহার
ছোটোবাবু কবে এলে?
আজই। এই একটু আগে।
ভালো আছো তো?
হ্যাঁ, তোমরা?
আমাদের আর ভালো থাকা। গ্রামের মানুষ আমরা! এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলুম। তোমাকে দেখে বাগানে ঢুকলুম। তা এবার অনেকদিন বাদে গ্রামে আসা হল!
হ্যাঁ, সময় পাইনে। আজ ঈদের দিনে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ এসে পড়লুম আর কি! রুহুলকেও কিছু জানাইনি আসার আগে।
তা ভালো করেছ, বাবু। একটু আর্ধেক সময় করে না এলি হয় ? তোমাদের দেখলি আমাদের কত ভালো লাগে জানো? তোমাদের আব্বা-আম্মার এই কবর দুটো দেখলি কত কথা মনে হয়। কত সব ঘটনা!
আমিও তাই এসেই বাগানে ঢুকলাম। এই বাগানটা আম্মা কত যত্নে তৈরি করেছিলেন। আব্বার আবার এসব শখ ছিল না। চিরকাল শহুরে মানুষ! বলতে বলতে তারিক হেসে ফেলে বলতে থাকল, আম্মা এই বাগানটাকে ঘিরে রাখতে আর গাছপালাগুলোকে রক্ষা করতে কম সময় আর পরিশ্রম দিয়েছেন। আব্বাতো সারা সপ্তা কলকাতায় থেকে শনি ও রবিবার দুটো দিনের জন্য বাড়িতে এসে গাছগুলো বড় হওয়ার পর গাছের সব ফল গ্রামের বাচ্চাদের বিলিয়ে দিতেন। আর আম্মার সঙ্গে বেধে যেত ঝগড়া!
ঝগড়া? চাচিমার মুখে আমরা তো কখনও কথাই শুনতে পাইনি!
আম্মার বিবাদ মানে একটা দুটো কথা তারপর এক্কেবারে বাক্যালাপ বন্ধ! আব্বা তাতেই জব্দ হয়ে যেতেন! বলেই তারিক জোরে হেসে উঠল। রজব আলিও সে হাসিতে যোগ দিল। দুজনে পাশাপাশি দুটি কবরের কাছে ঘাসের ওপর বসল। রজব এবার অন্য প্রসঙ্গ তুলল, তা বাবু, একটা কথা বলতুম একটু…
কি বলবে? বলে ফেললা না। কিন্তু কিন্তু করছ কেন?
এই বাবু, রুহুল খোকার কথা বলছিলাম আর কি! ওর কথা। একটু তো তোমাকে ভাবতি হবে। ওর মায়ের কথা!
কী কথা? বুঝতে পারছি না। খুলে বল একটু।
বড়বাবু তো সেই পুলিশ নিয়ে গ্রামে এল! সে সময় খোকা একলা ঘরে ছিল। ওর মা ছিল না। আমরা গ্রামের মানুষ যে যেখানে ছিলুম এসে পড়লুম পুলিশ তোমাদের বাড়িতি এসেছে শুনে। বাপের জন্মেও ভাবিনি। তোমাদের বাড়িতি পুলিশ! এ ক্যামন কথা! যে বাড়ি নিয়ে আমাদের সক্কলের মাথা উঁচু হয়ে যায় আর সেই বাড়িতি পুলিশ! রজব আলি ভাই, এসব কথা তো শুনেছি।
তা বাবু, সেই কথা কি শেষ হয়ে গ্যাছে? আবারও তো গোলমাল বেধেছে! বড়বাবু তো রুহুল খোকা আর তার মার মাঝে মামলা দিয়েছে তুমি জান না? সেদিন আমরা না থাকলি পুলিশ মিছামিছি রুহুল খোকাকে ধরে নিয়ে যেত। আমরা তাই বড়বাবুর কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন কাণ্ড আর করবে না বলে লিখিয়ে নিয়ে তবে ছেড়েছিলুম।
সত্যি কথা বাপ কী জানো? বড়বাবু এমন বদলে গেল আমরা তো সব্বাই অবাক হয়ে গিছি! এখন বাপ তুমি একটা কিছু করো। রুহুল খোকা আমাদের চুপচাপ ছেলে। এত লেখাপড়া শিখে এখনও চাকরি না পেয়ে এমনিতে মনমরা হয়ে থাকে। তার ওপর বড়বাবুর এমন দুশমনি কাণ্ড! ছেলেটার মুখের দিকি তাকানো যায় না যে, বাপ!
রজব আলির আন্তরিকতা তারিক আলমের মন ছুঁয়ে গেল। সে একটা আমগাছের দিকে তাকিয়ে একটা ডাল থেকে পাঁচ ছ’টা আম ঝুলে থাকতে দেখল। বারো মাস ফল দেয় গাছটা। ওর মনে হল, তিন ভাই এমন করে এক পরিবারে এক মা-বাবার সন্তান হয়ে বড় হয়েছি। আর আজ? গ্রামের মানুষ অনাত্মীয় হয়েও আত্মীয়ের মতো এসে তাদের ভায়ে ভায়ের সম্পর্কের দিকে আঙুল তুলে উপদেশ দিতে চাইছে!
কী বলি বল ত রজব ভাই? আমি কী বলব?
তুমি না দেখলি কে এসব দেখবে বল? তোমার মেজোভাইটা জোয়ান বয়সে ছেলে ও বউকে রেখে মারা গেল! এখন তো গার্জেন বলতে বড়বাবু। তা সে-ই হয়ে গেল ভাইপোর শত্তুর! গ্রামের মানুষরা এই নিয়ে বলাবলি করে। ছি ছি করে! আমাদের শুনতে ভালো লাগে না, বাবু। তোমাদের আব্বা-আম্মার কথা মনে পড়ে। কষ্ট হয়!
দাদা কখন এলে? কী বলছ ছোটোআব্বাকে এত কথা ? ছোটোআব্বা এখনও পর্যন্ত হাত মুখে পানি দেয়নি! রুহুল এসে দাঁড়িয়ে মৃদু হেসে ধীরে ধীরে কথাগুলো বলল।
রজব আলি অপ্রস্তুত হয়ে চলে যেতে উদ্যত হল, হ্যাঁ যাই খোকা, আমি এবার। ছোটোবাবুকে দেখে এই কিছুক্ষণ হল এয়েছিলুম এখানে। তা যাই, বাবু। কদিন থাকবে তো?
তারিক হেসে মাথা নাড়ল। তারপর চাচা ও ভাইপো নিঃশব্দে ঘরের পথে পা বাড়াল।
দুপুরের খাওয়া সেরে তারিক বারান্দায় বসে বাড়ির সামনের ফুলবাগানের পানে চেয়ে রইল। মনে একটু আরাম বোধ করল। পরক্ষণেই মনে হল, এই ফুলের বাগান বড়োভাই গভীর শখ ও যত্ন নিয়ে প্রথম তৈরি করেছিল। আর আজ?
খুকুকে সঙ্গে আনলে না কেন? শরিফা এল না কেন?
মেজোভাবী এসে দাঁড়াল কাছে। বিষাদ-প্রতিমা যেন! সাদা ফ্যাকাশে গায়ের রং। অনিন্দ্যসুন্দর চেহারার তেমন কিছু আর অবশিষ্ট নেই। সাম্প্রতিক ঘটনার দাপটে আরও ভেঙে গেছে চেহারা। এই মেয়েকে বড়োভাই পছন্দ করেছিল মেজোভাইয়ের জন্য। সে নিজে তখনও বিয়ে করেনি।
মা ক্রমে অশক্ত হয়ে পড়ছিল। তাই সংসার দেখবার জন্য কেবল রূপ দেখে, পরিবারের কৌলিন্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি কিছুই না দেখে আব্বার অমতেই এই বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল বড়ো ভাই। আর আজ সেই ভায়ের পরম শত্রু এই বিধবা প্রৌঢ়া আর তার একমাত্র নির্বিরোধী ছেলেটি। উদাস স্বভাবের তরুণ সে। বছরখানেক আগে সহকর্মীদের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে একটি নামী স্কুলের শিক্ষক-পদে ইস্তফা দিয়েছে। নিজের স্বার্থের কথা বিন্দুমাত্র ভাবেনি সে।
খুকুর পরীক্ষা। তাই ওরা দুজনে আসতে পারল না। নইলে তুমি তো জানো, খুকু এখানে না এসে থাকে? সেই কোন্ ছোটোবেলা ওর মাকে ছেড়ে একলা এসে থাকত বড়দিনের ছুটিতে মনে নেই?
তারিকের মনে পড়ল, বড়ভাইরা তখন দার্জিলিঙে থাকত। বদলির চাকরি। বড়দিনের ছুটিতে আগে তাদের কলকাতার বাড়িতে এসে খুকুকে নিয়ে তবে গ্রামের বাড়িতে আসত। খুকু তখন নেহাতই শিশু। তাও গ্রামের টানে মাকে ছেড়ে থাকার কষ্ট নীরবে সহ্য করে যেত। কী ভালো ছিল সেই দিনগুলো! আর এখন?
বড় আব্বার কথা উঠলে সে বলে ওঠে, বোলো না আব্বু! বড় আব্বা যে এত পালটে যেতে পারে ভাবা যায় না!
মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা মিথ্যে মামলা
ছোটো খোকা যে! আজ এয়েছ?
হ্যাঁ, চোসো দাদাজি। শরীর ভালো তো তোমার?
এই আছি একরকম দাদা! তা দাদা আমার, বড় দাদা যা কাণ্ড বাধিয়েছে, তুমি একটু ব্যবস্থা না করলি.. কী করব বল দাদা?
আমি বলি কি দাদা, গ্রামের লোকজন ডেকে তোমাদের বিষয় সম্পত্তি সব আলাদা করে ন্যাও! রুহুল খোকাটার অ্যাকে আর চাকরি হল না এখনও, তার ওপর বড়চাচার এই ব্যাপারে সে মুখ শুকলো করে ঘুরে বেড়ায়! আমাদের খারাপ লাগে, দাদা!
কিন্তু বড়োভাইকে সেকথা বলে কোনো ফল হয়নি, দাদাজী! কেবল উল্টো পাল্টা সব কথা তুলে সম্পত্তির ভাগের কথাতেই আসে না। আমি কত বলেছি। কানে নেয় না কথা!
তা বললি হয়, দাদা? তোমাকেই তো ব্যবস্থা করতি হবে। রেডিও-টেলিভিশনে শুনি তুমি কত ভালো ভালো কথা বল! আর এই কাজটুকু করতি পারবে না।
তারিক চুপ করে থাকে।
বৃদ্ধ নুর হোসেন দরজি কথা বলার আর কোনো সুযোগ না পেয়ে চুপ করে খানিকক্ষণ বসে থেকে উঠে পড়ল। তাহলে যাই দাদা, এট্টু মাঠে যেতি হবে চাষ দেখতি। তা আমাদের ওদিকে যেওখন!’
তারিক আনমনে ‘আচ্ছা’ বলে বসে থাকে। গ্রামের তরুণ বয়সী আরও দুজন একই রকমের কথা বলে কাছে বসে থেকে চলে গেল একসময়।
আশ্চর্য! গ্রামের লোকেদের কত সহানুভূতি! মাথাব্যথা! অথচ রুহুল বা তার আম্মা কোনো অভিযোগ করে না। জিজ্ঞেস না। করলে বলে না কিছু। তারিক তাই ভেবে পায় না কী করা উচিত!
আমরা চিরকাল বাইরে বাইরে থাকলাম! বাড়ি গেলে যত্নআত্তি দূরের কথা, যা খেতে দেয় গরীব মানুষরাও তেমন খাবার খায় না। প্রায়ই এমন অভিযোগ করত বড় ভাই। মেজোভাই মারা যাওয়ার পর বড়োভাই সরকারি চাকরি থেকে অবসর পেয়ে কলকাতায় ফ্ল্যাট কিনেছে। তারপর থেকে সে কেবলি ঝগড়াবিবাদ বাধাতে চাইছে মেজোভাইয়ের বিধবা বউ ও পিতৃহীন ছেলের সঙ্গে। তারিককে তার ভাই সন্দেহ করে। সে ভাবে, তারিক মেজোভাইয়ের পরিবারকে মদত্ দেয় বলে তারা বড়ভাইকে মানে না। আদর-যত্ন করে না। তারিক বোঝালেও তাদের সে ভুল ধারণা যায় না। বড় ভাবী বেশি বলে এই নিয়ে। ভাই যত বলে; ভাবী তার দশগুণ বলে। অথচ মেজোভাবী বা রুহুল কিছু বলে না। তাদের মুখে কেবল এক কথা উনি যদি বিষয়সম্পত্তি ভাগ করতে চান করে নিন। তারিক মহা সমস্যায় পড়েছে। সে কী করবে ভেবে পায় না। ভাবতেই থাকে। সময় পায় না হাতে। বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করে সময় বের করা বড়ো কঠিন!
এমন সময় অকস্মাৎ পুলিশ নিয়ে গ্রামে হাজির হওয়া, তাতে গ্রামের মানুষদের তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং তারপর মিথ্যে মামলা বাধানো পরপর এমন সব ঘটনা ঘটিয়ে বসে আছে। বড়োভাই রফিক আলম। তারিক দিশেহারা বোধ করে।
সন্ধের মুখে কলকাতায় ফেরার জন্য উঠে পড়ে। মেজোভাবীর অনুরোধ সত্ত্বেও থাকতে পারল না। মেজোভাবী আছে বলে আজও গ্রামের সবকিছু আর এই বাগানবাড়ি বহাল রয়েছে। বড়োভাই ও সে দু’জনেই শহরে থাকে। মেজোভাই চাকরি পায়নি। তাই গ্রামেই থেকে গেছে। সে মারা যাওয়ার পর ভাবী ছেলেটাকে বড় করেছে। তার দোষ সে গরীব ঘরের মেয়ে। বড়ভাই ও ভাবী তাই তাকে খুব ছোটো নজরে দেখে। তীব্র অপছন্দ করে।
তারিক গাড়িতে উঠে মাথাটা সিটে এলিয়ে ক্যামন ক্লান্ত বোধ করে। গ্রামের মধ্যে একমাত্র শিক্ষিত পরিবার তাদেরই ছিল ছেলেবেলায়। আব্বা কলকাতায় সরকারি চাকরি করত বলে তাকে গ্রামের লোকে ‘বাবু’ বলে সম্বোধন করত। সেই রেওয়াজ এখনও চলছে। তাদের বাড়ি ‘বাবুদের বাড়ি’। তারিকের আব্বা ছোটোবেলায় তার আব্বাকে হারিয়ে মামার বাড়িতে কলকাতায় মানুষ হন। কেবল তার বিয়ের পর আম্মার ইচ্ছায় আব্বা গ্রামের বাড়িতে সংসার পাতেন। সপ্তায় সপ্তায় আসা-যাওয়া করতেন গ্রামের বাড়িতে। আব্বার ছেলেবেলায় তার মা ভাবতেন, গ্রাজুয়েট হওয়া সব থেকে বেশি সম্মানের।
তাঁর কালে গ্রামে তেমনই ভাবা হত। তারপর আব্বা ম্যাট্রিক পাশ করার পরই তার বিধবা মা মারা যান। আব্বা সারাজীবন তার তরুণ বয়সে বিধবা হওয়া মায়ের কথা ভেবে যত বিধবা দেখেছেন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আদর্শবাদী মাতৃভক্ত মানুষটি ডাক্তারিপড়ার চান্স পেয়েও মায়ের সাধ পূরণ করার জন্য গ্রাজুয়েট হন এবং সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। গল্পের মতো এই ঘটনা জানার পর তারিক ছোটোবেলা খুব গর্ববোধ করেছিল।
আজ তার কেবলই মনে হচ্ছে, সেই বাবার ছেলে হয়ে বড়োভাই স্বামীহারা বিধবা ও আদর্শবাদী ছেলের বিরুদ্ধে এমন সব ঘটনা ঘটাতে পারল! ওদের কথা ভেবেই তারিক আজ ছুটে এসেছিল গ্রামে। অথচ ওরা নিজেদের মুখে কোনো কিছুই তাকে বলল না। যা বলার বলল গ্রামের মানুষজন! তারিকের কানে বাজছে এখনও গতকালের ফোনে কথোপকথন। তার বড়ভাইয়ের সঙ্গে। গ্রাম থেকে মন্তাজ আলির ফোন পেয়ে বড়ভাইকে ফোন করেছিল সে। তারপর থেকে সে কোনো কাজে মন দিতে পারছে না। এ কে? একে কোনোদিন আমি চিনতাম? এই সেই ভাই যে বালক বয়সে ভিখিরি ধরে নিয়ে এসে মাকে বলত, মা ওকে খেতে দাও। ও খুব ভালো গান করে। ওর গান শুনব। সেই ভাইয়ের মুখে উচ্চারণ করা ‘না’ শব্দটি তাকে তাড়া করে ফিরছে। সেই তাড়ায় সে গ্রামে ছুটে এসেছিল। এখন ফেরার পথেও শুনতে পাচ্ছে সেই শব্দটি একটানা একটি কেবল শব্দ!
তারিক বলছি।
হ্যাঁ বল।
তুমি বিশ্রাম করছিলে?
হ্যাঁ। কি বলছিস? তাড়াতাড়ি বল্।।
বলছিলাম তুমি নাকি রুহুল ও মেজোভাবীর নামে মিথ্যে কেস করেছ। কথাটা সত্যি?
কী আবোল তাবোল বকছিস!
আমার কথার উত্তর দাও। হ্যাঁ অথবা না বল।
যদি বলি –‘না’?
যদি কেন বলছ? স্পষ্ট ‘হ্যা’ কি ‘না’ বল।
না!
তারিক ফোন রেখে দিয়েছিল তারপর। সে পাথরের মূর্তি হয়েছিল বহুক্ষণ। আজ গ্রামে এসে প্রথমেই রুহুলের কাছ থেকে ভায়ের করা কেসের কপিটি নিয়ে পড়ে ফেলে বাগানে চলে গিয়েছিল মাথা ঠান্ডা রাখতে। সেখানে গিয়েও নিস্তার মেলেনি তারিকের। একটি শব্দই তাকে তাড়া করে ফিরছে। এখনও দু’কান জুড়ে সেই শব্দটিই বাজছে না!
(সৌজন্যেঃ নতুন গতি, ঈদ সংখ্যা, ২০১১)
নিচের ছোটগল্পগুলি পড়ুন,