সাগরের ঘরে পদুমার কোলে জন্মিল
সুন্দরী রাধারানী কৃষ্ণের সম্ভোগ কারণে।
দিনে দিনে বারে রাধা এ মর্ত্য সংসারে।
কাম-রস-রতিতে পূর্ণ রাধা উপনীত
হইলে যৌবনে পূত্তলি সম শোভে
সোনার অঙ্গ রঙ যে দেখে সেই লোভে।
কৃষ্ণও ভ্রমরসম লভিল চ্ন্দ্রাবলীর পশ্যে
অতঃপর রাধিকার যৌবন – মধু পানে
রচিল ষড়যন্ত্র কৃষ্ণ বড়াই-র সনে।
প্রলুব্ধ কানু শ্রীরাধিকার মিলনের উদ্দেশ্যে
ফুল-তাম্বুল-সন্দেশ পাঠাইলো বড়াইর হস্তে।
প্রথমে শ্রীরাধিকা তা প্রত্যাখ্যান করিয়া
প্রহার করিল সে বড়াইর কপোলে।
তারপর দিন যত অতিবাহিত হল
আয়ানের গৃহিণী তত
কৃষ্ণের জালে জড়াইয়া গেলো।
অবশেষে রাধিকা পড়িল কৃষ্ণের প্রেমে
পূর্বরাগ বসত রাধার কিছু নাহি ভালে।
কূল-মান-মর্যাদা সব বিলিয়া দিয়া
অন্ধকার তিমির, বর্ষণ, কণ্টক, সর্প
সব অস্বীকার করিয়া
গেলো কূল-বধূ কৃষ্ণাভিসার লাগিয়া।
কৃষ্ণের বংশী ধ্বনি আকুলিল রাধিকারে
শ্রীরাধার মন নাহি বসে সংসারে
গৃহস্থালির কাজে ভুল যত করে।
শাশুড়ি, ননদ, সখী গঞ্জনা দিলে
রাধারানী করিল চুরি কানুর বংশীটিরে।
বংশী হেতু কৃষ্ণ কাঁদিয়া আকুল পাগল হইলো
অবশেষে চ্ন্দ্রাবলীর নিকট করোজোর করিল
শর্ত দিয়া রাধা কাহ্নকে বংশী ফিরিয়া দিল।
অতঃপর রাধিকারে কামবানে বিদ্ধ করিয়া গেলো কৃষ্ণ মথুরাপুর বৃন্দাবন ছাড়িয়া।
বড়াইরে দিয়া রাধিকা কৃষ্ণমিলনের
প্রস্তাব পাঠাইলে
ব্রহ্মচারী ব্রত পালনের অজুহাত দিয়া
বাড়াই রে প্রত্যাখ্যাত সে করিল ছলিয়া।
বিরহে রাধা যাপন করে দিবা- রাতি
কানু তা দেখে – শুনে
মনে মনে আনন্দে উঠিল মাতি।
এমনি করিয়া রাধা – কৃষ্ণ রচিল
প্রেমলীলা এ বিশ্ব ভুবনে
প্রেম – রসে করিল প্লাবিত বিশ্ববাসী জনে।।