লিখেছেনঃ কাজলকুমার নন্দী
সন্ত্রাসবাদ কবলিত এই সময় আমাদের জীবনকে নানাভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সন্ত্রাসবাদের বিশাল ব্যপ্তিতে আমাদের জীবন এখন সবসময়ই পদ্মপাতায় জলের মতাে থরথরিয়ে কম্পমান। সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন রূপের মধ্যে সাইবার সন্ত্রাস’ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাকে তটস্থ করে রেখেছে সবসময়।
Cyber কথাটি এসেছে Cybernetics প্রতিশব্দ থেকে। Oxford Dictonary-তে যার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘Cybernetics is the science of communication and control in machines and animals (including man) বাংলায় যার অর্থ হয়, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের মধ্যে, প্রাণীদের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে এবং প্রাণীদের নিজেদের মধ্যে সংযােগ রক্ষা এবং উহাদের নিয়ন্ত্রক বিষয়ক বিজ্ঞান।
বলাই বাহুল্য এই সাইবার আমাদের আধুনিক ব্যস্ত জীবনকে অনেক সহজ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। যােগাযােগ ব্যবস্থাও হয়েছে অনেক সুবিধাজনক। এই সাইবার, এর জন্যই আমরা আমাদের সংক্ষিপ্ত জীবনে সময়কে হিসাব করে খরচ করতে শিখেছি। সময়ের মূল্যকে ধরতে পারছি। এতাে গেল সাইবারের ভালাে দিক। কিন্তু আমরা ‘সাইবার’ শব্দের সাথে ‘সন্ত্রাস’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে কী বােঝাতে চাইছি?
সাইবার সন্ত্রাস বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। সন্ত্রাসবাদীরা এই সাইবারকে, এই নেটওয়ার্ককে তাদের কাজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে অলক্ষ্যে। আবার অনেক বিভিন্ন অসদ উপায় অবলম্বনের জন্যও এই সাইবারের দ্বারস্থ হয়। এই পুরাে ব্যাপারটাকেই ‘সাইবার সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করা যায়।
সাইবার সন্ত্রাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। আর্থিক ক্ষেত্রে সাইবার সন্ত্রাস, সাংস্কৃতিক ধ্বংসে সাইবার সন্ত্রাস, ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার সন্ত্রাস, এমনকি যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রেও বর্তমানে এই সাইবারকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্যাংঙ্কিং পরিসেবা উন্নত হওয়ায় দিনের পর দিন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে বেড়েই চলেছে। এই কার্ডের গােপন নম্বরটি কোনাে একটি সংস্থার নেটওয়ার্কে নথিভুক্ত থাকে। অথচ দেখা যায় যাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের সিকিউরিটি নাম্বারটি গচ্ছিত আছে তাদের মধ্যেই কেউ বা তাদের মাধ্যমে কেউ সেই নাম্বারটি ব্যবহার করে অন্যের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। অথবা এইভাবে ক্রেডিট কার্ডের নাম্বারটি ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছা ও প্রয়ােজনমতাে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে বসে থাকছে। পশ্চিমি দেশগুলিতে এই ক্রাইমটা দিন দিন উত্তরােত্তর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত। এই অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে কলসেন্টারগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ডের মতাে ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রেও এইসব জালিয়াতির শিকার হতে হয় গ্রাহককে। A.T.M. সুবিধা যেমন এখন গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি তার সাথে সাথে জড়িত দুর্নীতিগুলিও সাধারণ মানুষের জীবনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এ নৈতিকতা ধ্বংস ও সংস্কৃতিকে কলুষিত করতে সাইবারকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাইবার পর্ণোগ্রাফি এখন জলভাত। এই পর্ণোগ্রাফির বিস্তারে যুবসমাজকে দিন দিন এক অন্ধকার, বােধবুদ্ধিহীন ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে বিশেষ সহায়ক। একটু চেষ্টা করলেই একজন আরেকজনের ই-মেল অ্যাড্রেস খুলতে পারে এবং নিজেকে আড়ালে রেখে সেই ই-মেল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকি, কু-প্রস্তাব প্রভৃতি পাঠাতে পারে। এসব আমাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। হুমকি বা নানারকম কু-প্রস্তাব পাঠিয়ে পাঠিয়ে একজনকে পাগল করে দেওয়া যায়। শুধু কি তাই? কোনাে বাড়ির সুন্দরী কন্যার ছবি গােপন ক্যামেরায় ধরে ফেলে তারপর সেই ছবিকে নিজেদের প্রয়ােজনমতাে সুপার কম্পােজিশন করে তাকে কখনাে নগ্ন নারী, কখনাে ব্যাভিচারী নারী হিসাবে দেখিয়ে সেই পরিবারকে ব্ল্যাকমেল করা হয় টাকার লােভে। কখনাে কখনাে সেই ছবি ভােলা ই-মেল অ্যাড্রেস থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারাবিশ্বে। আমাদের দেশের হাজার হাজার নারী এই চক্রান্তের শিকার। অনেকেই অসহায় হয়ে এই দুষ্টচক্রের কাছে আত্মসমর্পণ করে আবার অনেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
বন্ধুত্বের খোঁজে ইন্টারনেট চ্যাটিং ও যে-কোনাে সময়ে আমাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। গুগুলের আচ্ছা এবং বন্ধুত্বের ওয়েবসাইটে অর্কুট আমাদের কাছে সন্ত্রাস হয়ে ফিরে আসতে পারে। এরফলে বিভিন্ন অবৈধ সম্পর্ক যেমন গড়ে ওঠে। তেমনি অপহরণ পর্যন্ত হতে পারে। সল্টলেকের বাসিন্দা রােমা ঝাউয়ের অপহরণের পিছনে এই ইন্টারনেট চ্যাটিং-এর ভূমিকা ছিল বলেই অনেকে সন্দেহ করেছেন। বা সাইবার সন্ত্রাসের আরও একটি ক্ষেত্র হল ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ যা ‘সাইবার ভায়ােলেন্স’ নামে পরিচিত। সাইবার অপরাধের এক ব্যাপক অংশ এর অন্তর্ভুক্ত। শুধুমাত্র মাউসের সাহায্যেই একজন অন্যকে খুন করে দিতে পারে। ধরা যাক একজন রােগি নার্সিংহােমে ভরতি আছেন। তার ওষুধের মাত্রা, কোন্ সময়ে কোন ওষুধ খাওয়াতে হবে তা সবই কম্পিউটারে নােট করা থাকে। বাইরে থেকে কোনাে ব্যক্তি সাংঘাতিক ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করে নার্সিংহােমের ওয়েবসাইটে ঢুকে যেতে পারে এবং পরিবর্তন করে দিতে পারে একজন রােগির চিকিৎসার তথ্যাবলি। আর এই পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে যে-কোনাে অঘটন। যে সকল ব্যক্তিরা Medical Transcription-এর কাজ করেন তারাও যে-কোনাে সময়ে ঘটিতে দিতে পারে এই অঘটন। যে-কোনাে সময়ে ডাক্তারের Voice Record এর বিকৃত করে একদিন উন্নত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে এই সাইবার সন্ত্রাস।
এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িতে কম্পিউটার আছে। এই কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা প্রত্যেকেই এখন একটা ব্যাপারে সন্ত্রস্ত এবং তা হল কম্পিউটার ভাইরাস। যে কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ই-মেল ব্যবহার করে অন্যের ওয়েবসাইটে ঢুকে তার কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিতে যে-কোনাে সময় সব তথ্য লােপাট করে দিতে পারে। ইন্টারনেট থেকে কোনাে কিছু ডাউনলােড করার সময় ভাইরাস প্রবেশের সুযােগ সবচেয়ে বেশি থাকে। বিভিন্ন প্রােগ্রামে সন্ত্রাসবাদীরা ভাইরাস মিশিয়ে রাখে। ভাইরাস মিশ্রিত প্রােগ্রামগুলি অনেক বেশি চমকপ্রদ হয়। তাই হাজার হাজার কম্পিউটার ব্যবহারকারী সহজেই এই চক্রান্তের শিকার হয়। সমস্ত তথ্য নষ্ট করে দেয় এই ভাইরাস। অ্যান্টি ভাইরাস সফ্টওয়ারও বাঁচাতে পারে না এই বিপর্যয়।
সাইবার ভায়েলেন্স-এর বিস্তৃত বহুদূর পর্যন্ত। সন্ত্রাসবাদীরা এর সাহায্যে যে কোনাে দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে নাড়িয়ে দিতে পারে। সমগ্র পৃথিবীর শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় এই সাইবারের মাধ্যমে। একটা দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে এই শেয়ার বাজারের উপরেই। শেয়ার বাজারে বিনিয়ােগের উপরই নির্ভর করে সূচকের হ্রাসবৃদ্ধির হার। কৃত্রিমভাবে এই সূচকের হ্রাসবৃদ্ধি করা যায়। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে বাজার অর্থনীতিতে। হর্ষদ মেহতা এইভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধস নামিয়ে দিয়েছিল শেয়ার বাজারে। যার ফলে পথে বসতে হয়েছিল লক্ষ লক্ষ লগ্নীকারীকে। এই সাইবার ভায়ােলেন্সের মাসুল রাষ্ট্রকেও গুনতে হয়। কখনাে কখনাে অজানা ই-মেল আসে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যা সমস্ত প্রতিরক্ষা দপ্তরের একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দেয়। এইসব ই-মেলগুলির তদন্ত করতে গিয়ে সরকারের যেমন বিপুল খরচ হয় তেমনি রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দেখা দেয় নিশ্চয়তা।
সমস্ত উন্নত দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন সাইবারের উপর যথেষ্ট নির্ভরশীল। বিভিন্ন কোম্পানির নিজস্ব ডােমেইন কেনা আছে। ওয়েবসাইটে কোম্পানির যাবতীয় তথ্য থাকে। এতে কোম্পানির ব্যাবসার যেমন স্বচ্ছতা থাকে তেমনি কোম্পানির প্রতি বিশ্বাসযােগ্যতাও বাড়ে। কিন্তু সেখানেও সাইবার সন্ত্রাসবাদীরা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেন। কোনাে নামি কোম্পানির ট্রেডমার্ক যে-কোনাে সময় ইন্টারনেট থেকে প্রয়ােজনীয় তথ্য নিয়ে জাল করা যেতে পারে। হুবহু একই রকমের ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে বাজারে চলতে থাকে নকলের রাজত্ব। এর ফলে একদিকে। কোম্পানির যেমন বিরাট ক্ষতি হয় অন্যদিকে ক্রেতারাও শিকার হয় প্রতারণার। এর বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই বিরাট পরিমাণ ব্যাবসা করে নেয় নকল ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন অবৈধ ব্যাবসারও হদিস দেয়, এই সাইবার। এই সাইবারকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী জুড়ে চলছে মাদক দ্রব্যের রমরমা ব্যাবসা। ড্রাগের নেশায় নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি বাড়িতে বসেই পেয়ে যেতে পারে ড্রাগের জোগান। টাকাপয়সা দেওয়া যায় সাইবারের মাধ্যমে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বা যে-কোনাে পর্ষদের সার্টিফিকেট নকল করতে পারে সাইবার। শিক্ষাক্ষেত্রেও এর থাবা ছড়িয়েছে। সাইবার সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা তৈরি নকল সার্টিফিকেটে ভুল প্রমাণ করা ভীষণ কঠিন কাজ। জাল সার্টিফিকেটের মতাে জাল নােটেরও ছড়াছড়ি এখন এই সাইবার সন্ত্রাসের দৌলতে। এই জাল নােট দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে যে কোথায় নামাতে পারে তা আমাদের প্রত্যেকেরই বােধ আছে।
একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, তা হল সাইবার সন্ত্রাসবাদীরা বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত। অনেকসময় তারা আর্থিক লােভের টোপ দিয়ে কোনাে ব্যক্তিকে ই-মেল পাঠায় বা ফোন কল করে। তাদের প্রস্তাব, ব্যবহার, আর্থিক লাভের লােভ ধীরে ধীরে এগােতে থাকে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। হয়তাে কিছু অর্থনৈতিক কাজ করিয়ে টাকাও পাঠিয়ে দেয়। তৈরি হয় এক বিশ্বাসযােগ্যতার সেতু। এরপর হয়তাে বা কোনাে এক সুন্দর সকালে তাদেরই এক মােবাইল নম্বর থেকে আসতে থাকে একের পর এক মিস্কল। আপনি আপনার বন্ধুত্বের বিশ্বাসযােগ্যতার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ফিরিয়ে দিলেন ওই নম্বরে একটা কল, আর সঙ্গে সঙ্গে কোনাে এক জায়গায় ঘটে গেল বিরাট বিস্ফোরণ। আপনি হয়ে গেলেন চক্রান্তের শিকার এবং শেষপর্যন্ত হল ফাঁসি।
এই মােবাইল অপরাধ এখন এক মারাত্মক বিপদ। একটি রিপাের্ট তুলে দিলেই এই সন্ত্রাসের আসল প্রতিচ্ছবিটা ভেসে উঠবে। অত্যাধুনিক মােবাইল ফোনে ভােলাবাজি, হুমকি, ব্ল্যাকমেল থেকে শুরু করে নির্বাচন বুথ বা পরীক্ষার হলে প্রতারণা। যৌন নিগ্রহ চিন্তায় ফেলেছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে। এই ব্যাপারে সি.বি.আইয়ের মাধ্যমে সারাদেশের পুলিশকে সতর্ক করেছে ইন্টারপােল। এগুলি নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা। দৈনিক স্টেটস ম্যান ১১.৯.০৭ এর রিপাের্ট থেকেই বােঝা যাচ্ছে বিষয়ের গভীরতা।
এবার আসা যাক একটু অন্য প্রসঙ্গে। সাইবারের ব্যবহার কিন্তু দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সামগ্রিক এক রিপাের্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার শিশুদের অত্যধিক সাইবার নির্ভরশীলতা তাদের বুদ্ধি হ্রাস করে দিচ্ছে। ভারতবর্ষের মতাে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে এই ধারাও আস্তে আস্তে বইতে শুরু করেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে চোখ, ঘাড়, স্পাইনাল কর্ড প্রভৃতির পক্ষে যেমন ক্ষতিকারক তেমনি মানসিক বিকৃতিরও যথেষ্ট সম্ভাবনা। গবেষণায় প্রমাণিত যে শিশু অপরাধের বৃদ্ধির কারণ সাইবার নির্ভরতা। অনিসন্ধিৎসু শিশুমনের সুযােগ নিয়ে সাইবার সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে মানসিক বিকৃতির ক্ষেত্রে। আকস্মিক যৌনতার ক্ষেত্রে এবং সর্বোপরি মানসিকভাবে হিংসাত্মক করে তুলছে তাদের। এক মানসিক দূষণ ছড়িয়ে দিচ্ছে সাইবার সন্ত্রাসবাদীরা।
এই দূষিত মন নিয়েই বেড়ে উঠছে আমাদের প্রজন্ম। ভবিষ্যৎ কি হবে—তা এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চত।
আরও পড়ুন,
সাইবার অপরাধ কত ধরনের ও কিরকমভাবে হয়ে থাকে জেনে নিন
Download the Nobojagaran App