সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মধ্যযুগের ইতিহাসকে প্রায় অগ্রাহ্য করে স্নাতক স্তরে ৯৯ পাতার ইতিহাসের যে পাঠ্যক্রম প্রকাশ করেছে তাতে গেরুয়াকরণের ছাপ সুস্পষ্ট। ভারতের প্রাচীন ইতিহাস রাখা হয়েছে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর মাধ্যমে ভারত সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কথা। ‘আইডিয়া অব ভারত’ নামে একেবারে আলাদা একটি পত্রও রাখা হয়েছে। তাতে অত্যধিক গুরুত্ব পেয়েছে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ। ‘দ্য গ্লোরি অব ইন্ডিয়ান লিটারেচার’ অংশে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, কালিদাস, চরক সংহিতা বাদ গিয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নামে বিভিন্ন হিন্দু তীর্থক্ষেত্র, হিন্দুদের ধর্মীয় মেলা, হিন্দুদের আচার-ব্যবহার, হিন্দুদের বিভিন্ন স্থাপত্যকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। নীতিশিক্ষার নামে রামায়ণ, মহাভারতের সঙ্গে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে পঞ্চতন্ত্র, জাতকের গল্পকে। ভজন, হরিকথা, বৈদিক মন্ত্র পড়ানাে হবে বলেও ঠিক হয়েছে। এখানেও মধ্যযুগ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। ঠিক হয়েছে পড়ানাে হবে নারদ, কৃষ্ণ। প্রশ্ন উঠছে এঁরা কি ঐতিহাসিক চরিত্র? মধ্যযুগে সাহিত্য কি রচিত হয়নি? ‘ভিজুয়াল আর্ট অ্যান্ড লিটারেচার’-এ মধ্যযুগের মুসলিম শাসনের যুগ গরহাজির। রাণা প্রতাপ, হিমু, রানি দুর্গাবতীর উল্লেখ পাঠ্যক্রমে থাকলেও আকবরের কোনও উল্লেখ নেই। একমাত্র আওরঙ্গজেবের উল্লেখ রয়েছে, তাও সেটা শিবাজির সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রে। ওই পাঠ্যক্রমে মারাঠা ইতিহাস অতি গুরুত্ব পেয়েছে।
ইউজিসি -র এই নতুন পাঠ্যক্রম ইতিহাস শিক্ষাকে পুরােপুরি গেরুয়া আঙ্গিকে বিকৃত করারপরিকল্পনা। বর্ণ ব্যবস্থা, মধ্যযুগীয় ইতিহাসের বৈচিত্র্যময় বহুত্ব, ঔপনিবেশিক যুগের মুক্ত বাণিজ্যনীতি ও তার প্রভাব, সতীদাহ রদ, বাংলায় ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষ ভারতের ইতিহাসের এই দিকগুলি ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই জানতে না পারে, সেইভাবেই সাজানাে হয়েছে এই পাঠ্যক্রম। এই পাঠ্যক্রম তৈরির উদ্দেশ্যই হল ইতিহাসের নামে অনৈতিক ও পৌরাণিক চরিত্রের চর্চা। নীতিশিক্ষার নাম করে রামায়ণ-মহাভারতের সংস্কৃতির চর্বিত চর্বণ। বাবরকে বলা হচ্ছে ইনভেডর, কিন্তু ইংরেজদের তা বলা হয়নি। পাঠ্যক্রমে ইউরােপ, আমেরিকা, সােভিয়েত ইউনিয়ন ও এশিয়ার আধুনিক ইতিহাস বই পড়ানাের কথা বলা হলেও ভারতীয় ইতিহাসের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বইয়ের উপরে। বইগুলি সমমানের নয়, ‘রেফারেন্স’ বইয়ের তালিকায় হিন্দি ভাষার প্রচুর বই রাখা হয়েছে। এই তালিকায় ইরফান হাবিব, রােমিলা থাপার, রামশরণ শর্মা বাদ। বইগুলাে কাদের অনুমােদিত, উঠেছে সেই প্রশ্নও।
বিজেপি বা সংঘ-ঘনিষ্ট রাজনীতিকগণ এমন সব ইতিহাসের কথা তুলে আনছেন যা নাকি দীর্ঘদিন উদ্দেশ্যপ্রণােদিত ইতিহাস লিখনের দরুণ চাপা পড়েছিল, ফলে আজকে তার শুদ্ধিকরণ চলছে! কিন্তু তা করতে গিয়ে মিথ, লােককথা, আসল ইতিহাস সব মিলেমিশে একাকার। কিন্তু পুরাণ বা পূর্বকথা আর ঐতিহাসিক সত্য কখনও মিলমিশ খায় নাকি! অথচ রাজনীতির খাতিরে মিথকেই ইতিহাস বলে চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা চলছে। নিছক অজ্ঞতা যে এই কল্প-ইতিহাসের প্রচার ও প্রসারের কারণ নয় তা বলাই যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি-পােষিত বেশ সংগঠিত ও সুসংহত এক শক্তি যাদের মূল টার্গেট হল মুসলমান—তাদের ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতিকে নানাভাবে কলঙ্কিত করা।
ইতিহাসের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দীর্ঘকাল যে কোনােরকমের বিদ্বেষ প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। বিজেপি নেতৃত্ব সচেতনভাবেই তা করছেন। বিদেশি মুঘল শাসকদের অত্যাচারের কাহিনি এখন তাে প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। ছাত্রদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইতিহাসের ভুল তথ্য, মিথ্যা কাহিনি—গুম করা হচ্ছে ইতিহাসের চরম সত্যকে। ক্লাসরুমের মধ্যকার ইতিহাসের কথাগুলাে জনপরিসরে আর উচ্চারিত হয় না, চার দেওয়ালের মধ্যেই মিলিয়ে যায়।
আমরা জানি, একটা দেশের একটা যুগের ইতিহাসকে কোনও বিশেষ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা বা ধর্মের নামে চিহ্নিত করা কতখানি অবাস্তব, অবৈজ্ঞানিক চিন্তা। এই অবৈজ্ঞানিক ইতিহাস ভাবনাই আমাদের পাঠ্য-ইতিহাসকে ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে। স্নাতক স্তরে এই অবাস্তব অনৈতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই দীর্ঘ ৮০০-৯০০ বছর ধরে সারা ভারতবর্ষে। জুড়ে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে যে সংশ্লেষ ঘটছিল, যার ফলে জন্ম নিচ্ছিল হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ সংস্কৃতির এক সমন্বয়ী রূপ তার কথা সম্পূর্ণ অনুল্লিখিত থাকে আমাদের পাঠ্য-ইতিহাসে। আমাদের এই প্রজন্মের সন্তানের জানতে পারে না বহু ধর্মাবলম্বী একটি দেশের মানুষের চেতনার ও সংস্কৃতির মিলনের প্রকৃত পথ কী হতে পারে। তাছাড়া বৈদিক সভ্যতার ইতিহাস পড়ানাের সময় এটা মনে রাখতে হবে যে, এই সভ্যতার বিকাশ শুধুমাত্র আর্যদের অবদানে সম্ভব হয়নি। এটি ছিল আর্য ও প্রাগার্য সংস্কৃতির সংমিশ্রনের ফল। শুধু আর্য সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্বের উপর গুরুত্ব দিলে ইতিহাসের মৌলবাদী ব্যাখ্যার শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে বিস্তৃত প্রামান্য আলােচনার জন্য শিক্ষক মহাশয়গণ রােমিলা থাপারের লেখা ‘পূর্বকাল ও পূর্বধারণা’ বইটি পাঠে উপকৃত হবেন।
প্রাচীন ভারতের সুদীর্ঘ প্রায় ২০০০ বছরের ইতিহাসকে দেখানাে হয়েছে একটি পরিবর্তনহীন একক যুগের ইতিহাস হিসাবে, যেন এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোনও উল্লেখ্যযােগ্য সামাজিক অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটেনি। প্রসঙ্গত, প্রাচীন ভারতীয় সমাজেই একদিন বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণার, এমনকি শারীরবিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রেরও উল্লেখযােগ্য উন্নতি ঘটেছিল। আবার প্রাচীন যুগেই একদিন সেই অগ্রগতির ধারা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেল কেন? আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মত বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ইতিহাসকার তাঁর ‘হিস্ট্রি অফ হিন্দু কেমিষ্টি’ গ্রন্থে এই প্রশ্নের অনুসন্ধানের জন্য একটি পৃথক অধ্যায় লিখে গেছেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সমাজে ‘ব্রাহ্মণ’ বা পুরােহিত শ্রেণির প্রভাব বৃদ্ধির ফলে মায়াবাদী বৈদান্তিক দর্শনের প্রবল প্রকোপে যাবতীয় বৈজ্ঞানিক চচা ও অনুসন্ধানের ধারা সম্পূর্ণ লােপ পেয়েছিল। পাঠ্য ইতিহাসে আজও প্রাচীন যুগ ‘স্বর্ণযুগ’ বলে চিহ্নিত। কিন্তু ওই যুগে সমাজের নিম্নবর্ণরা অন্ত্যজ শ্রেণির এবং বিভিন্ন প্রাগার্য জাতিগােষ্ঠীর (যাদের আজও আদিবাসী বলা হয়) মানুষের জীবন কী দুঃসহ, দারিদ্র ও নির্যাতনের শিকার ছিল, তা কোথাওই বলা হয় না।
সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নটি মধ্যযুগের ভারত ইতিহাসচর্চার অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। আমাদের এমন একটা ধারণা দেওয়া হচ্ছে যে, মধ্যযুগ হচ্ছে একটি কদর্য ছেড়া অংশ যেখানে ধর্মান্ধতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির অপমৃত্য ছাড়া আর বিশেষ কিছুই নেই। আধুনিক গবেষণার নিরিখে স্বীকৃত না হলেও পড়ান হচ্ছে যে, ভারতবর্ষে দারিদ্রের সূচনা মুসলমানদের আগমনের সময় থেকে। মধ্যযুগে ভারতে বস্ত্র উৎপাদন পদ্ধতি, জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিক্ষেত্রে যে কারিগরী জ্ঞানের প্রসার ঘটে ও উৎপাদন পদ্ধতির উন্নতি হয় তা বলা হয় না। শক-হুন-পাঠান-মুঘল বিজয়ের সঙ্গে ব্রিটিশ শক্তির ভারতবিজয়ের মৌলিক পার্থক্য উল্লিখিত হয় না আমাদের ইতিহাসে। এই ইতিহাস পাঠে তাই তৈরি হয় না সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতি ক্ষোভ, জন্ম নেয় না জাতীয়তাবােধ। যে নিষ্ঠুর নৃশংসতায় ভারতবর্ষের আপামর মানুষকে লুণ্ঠন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ধ্বংস করেছিল এদেশের সমৃদ্ধ শিল্পকে, মুছে দিয়েছিল এদেশের বহুকাল প্রচলিত শিক্ষা-ব্যবস্থা, ঢাকা-মুর্শিদাবাদের মত জনাকীর্ণ শহরকে পরিণত করেছিল প্রায় শ্মশাণে, তার প্রায় কোনও বিবরণই থাকে না এই ইতিহাসে।
উল্লেখ্য, খ্যাতনামা ভারতীয় ইতিহাসবিদদের অনেকেই ইংরেজ ঐতিহাসিকদের সৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতার ফাঁদে ধরা দিয়েছিলেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যবহার করা—এটা ছিল উনিশ শতকে ইংরেজ উপনিবেশবাদীদের শােষণমূলক এক ভয়ঙ্কর কুটনীতি। এই সময় থেকেই কিছু ইংরেজ ঐতিহাসিক ও গবেষক মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হিন্দু মন্দির ধ্বংসের কল্প-ইতিহাসের একটানা বিরামহীন অভিযােগগুলি লিপিবদ্ধ করে একটা কথা ভারতবাসীকে বােঝাতে চাইলেন যে, তুলনামূলকভাবে ব্রিটিশ শাসন ভারতবাসীর কাছে কতখানি অভিপ্রেত হতে পারে। এইসব বিষবৃক্ষের বীজ এখনও ভারতময় ছড়িয়ে রয়েছে। কোথাও ব্যক্তি মনে তা সুপ্ত, কোনও ব্যক্তিমনে তা গুপ্ত এবং রাজনীতিক মনে তা অঙ্কুরিত, প্রয়ােগ প্রয়ােজনে তা বৃক্ষরূপপ্রাপ্ত ও ফলপ্রসূ হয়। আর এই অপপ্রচার ভারতে বিভেদ সৃষ্টিতে পরা অনুঘটকের মত কাজ করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে রেখেই ১৯৪৭ সালে ইউনেস্কো পৃথিবীর সমস্ত দেশের শিক্ষকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যে, পাঠ্যপুস্তকে যেন ফ্যাসিবাদ, জাতি বিদ্বেষ, ধর্ম বিদ্বেষ বা ধর্মীয় মৌলবাদ বিষয়ক কোনাে লেখা বা রচনা স্থান পায়—এ বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণেতাদের সচেতন থাকতে হবে। বিজেপি সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন ইউজিসি -র পাঠ্যপুস্তক প্রণেতাগণ এই সমস্ত সতর্কবাণীকে সজ্ঞানে লঙঘন করছেন। তারা ধর্মনিরপেক্ষ-বহুত্ববাদী ভারতের শিক্ষার আঙিনায় গৈরিক পতাকা উত্তোলনের চেষ্টায় কোনও কার্পণ্য করেননি। একদিকে তারা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মাথায় বসিয়েছেন সংঘ-অনুগত হিন্দুত্বের আদর্শে বিশ্বাসী পছন্দসই মানুষদের। অন্যদিকে তারা স্কুল-পাঠ্যবস্তু, বিশেষ করে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘অবাঞ্ছিত পক্ষপাত’কে বিদায় দিয়ে প্রকৃত ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি আমদানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি যে আগাগােড়া হিন্দুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি তা বলাই যায়। তাতে রয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণােদিত ত্রুটিপূর্ণ ও বিকৃত তথ্যও। লক্ষণীয় বিষয় হল, ইউজিসি -র পুরনাে ইতিহাস বইগুলাে সমালােচনার উর্ধ্বে না হলেও বইগুলি সুলিখিত, তথ্যনির্ভর, অসাম্প্রদায়িক ও স্বচ্ছন্দ পাঠ্য ছিল। আর বি জে পি সরকারের আমলে যাঁরা ইতিহাস বই পরীক্ষা করেছেন, বাতিল করেছেন, তারা গবেষণার চৌহদ্দিতেও ঢােকেননি, হিন্দুত্বের রাজনীতিটাই তাদের শেষ কথা।
ইতিহাসের পাঠ্যবই সংশােধনের অনিবার্যতা নিয়ে কার মনে সন্দেহ থাকতে পারে না। কেননা কোনও ইতিহাস শেষ কথা বলে না। কিন্তু বিজেপি জমানায় যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে তা বিকৃতি সংশােধনের নামে সাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতার প্রসার ঘটানাে। ইতিহাসের ব্যাখ্যা নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক অন্তত স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের সেই বিতর্কের অসহায় শিকার করে লাভ কী? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পাঠ্যপুস্তক রচনায় সরকারি সংগঠনের একচেটিয়া আধিপত্য থাকবে কেন? বই লিখুন ইতিহাসবিদরা—তা যাক রিভিউ কমিটিতে—যে বই গ্রহণযােগ্য বলে বিবেচিত হবে প্রকাশকরা সেই বই প্রকাশ করুক। সত্য বলতে, গত ৭৫ বছরে ইতিহাসের তত্ত্ব, গবেষণা, পাঠ, মূল্যায়ন—এই বিরাট বৃত্তে যে চমকপ্রদ বিস্তার ও অগ্রগতি ঘটেছে, সংঘ পরিবার সম্পূর্ণভাবে তার বিরুদ্ধে। বৈচিত্র্য আর বহুত্ববাদকে অস্বীকার করে সংঘ অনুগত গৈরিক ইতিহাসবিদরা ভারতের বিগত হাজার বছরের ইতিহাসকে মূলত সংঘাতের ইতিহাস বলতেই বদ্ধপরিকর। তাদের কাছে। ইতিহাস ধর্মীয় বৈরিতার অনড় বেড়াজালে আবদ্ধ। এর বিরুদ্ধে আমাদের সােচ্চার হওয়া জরুরি।
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।