লিখেছেনঃ সুমিতা চক্রবর্তী
কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার খ্যাতি কোনও সাময়িক ঘটনা নয়। ফলে তার এই কবিতাটি দীর্ঘকাল ধরে অনেক অনুবাদকের লেখায় ভাষান্তরিত হয়েছে। কয়েকটি অনুবাদ এখানে দেওয়া হল। অনুবাদগুলি সম্পর্কে টীকা প্রদত্ত হল।
১। উৎস :
Poetry
of Kazi Nazrul Islam
Ir English Translation
Volume One
Edited by Mohammad Nurul Huda
NAZRUL INSTITUTE
Dhaka
:
Fourth Revised Print
March 2014
Say, Valiant,
Say: High is my head !
Looking at my head
Is cast down the great Himalayan peak!
Say, Valiant,
Say: Ripping apart the wide sky of the universe,
Leaving behind the moon, the sun, the planet and the stars,
Piercing the earth and the heavens,
Pushing through Almighty’s sacred seat
Have I risen,
I, the perennial wonder of mother-earth !
The angry God shines on my forehead
Like some royal victory’s gorgeous emblem.
Say, Valiant,
Ever high is my head !
I am irrepressible, cruel and arrogant,
I am the kind of the great upheaval,
I am cyclone, I am destruction,
I am the great fear, the curse of this universe,
I have no mercy,
I grind all to pieces.
I am disorderly and lawless,
I trample under my feet all rules and discipline !
I am DHURJATI, I am the sudden tempest of untimely summer,
I am the rebel, the rebel son of mother-earth !
Say, Valiant,
Say: Ever high is my head !
I am the hurricane, I am the cyclone,
I destroy all that I find in my path !
I am the dance-intoxicated rythm,
I dance at my own pleasure,
I am the unfettered joy of life !
I am HAMBEER, I am CHAYANATA, I am HINDOLE,
I am ever restless,
I caper and dance as I move !
I do whatever appeals to me, whenever I like,
I embrace the enemy and wrestle with death,
I am mad, I am the tornado !
I am the pestilence, the great fear,
I am the death of all reign of terror !
I am full of a warm restlessness for ever !
Say, Valiant,
Ever high is my head !
I am creation, I am destruction,
I am habitation, I am the grave-yard,
I am the end, the end of night !
I am the son of INDRANI,
With the moon in my hand
And the sun on my temple
In one hand of min is the tender flute
While in the other hold the war bugle !
I am the BEDUIN, I am CHENGIS,
I salute none but me !
I am thunder
I am BRAHMA’s sound in the sky and on the earth,
I am the mighty roar of ISRAFIL’s bugle ,
I am the great trident of PINAKPANI,
I am the staff of the king of truth,
I am the CHAKRA and the great SHANKA,
I am the mighty primordial shout !
I am BISHWAMITRA’s pupil, DURBASHA the furious,
I am the fury of the wild fire,
I burn to ashes this universe !
I am the gay laughter of the generous heart,
I am the enemy of creation, the mighty terror !
I am the eclipse of the twelve suns,
I herald the final destruction !
Sometimes I am quiet and serene ,
I am in a frenzy at other times,
I am the new youth of dawn,
I crush under my feet the vain glory of the Almighty !
I am the fury of typhoon,
I am the tumultuous roar of the ocean,
I am ever effulgent and bright,
I trippingly flow like the gaily warbling brook,
I am the mother’s dark glossy hair,
I am the sparkle of fire in her blazing eyes,
I am the sixteen old’s heart,
I am happy beyond measure !
I am the pinning soul of the lovesick,
I am the bitter tears in the widow’s heart,
I am the piteous sighs of the unlucky !
I am the pain and sorrow of all homeless sufferers,
I am the burning pain and the madness of the jilted lover !
I am the unutterable grief;
I am the throbbing tenderness of her first stolen kiss.
I am the fleeting glance of the veiled beloved,
I am her constant surreptitious gaze.
I am the gay tripping young girl’s love,
I am the jingling music of her bangles !
I am the eternal-child, the adolescent of all times,
I am the shy village maiden frightened by her own budding youth.
I am the soothing breeze of the south,
I am the pensive gale of the east.
I am the deep solemn song sung by the wandering bard.
I’m the soft music played on his lyre !
I am the harsh unquenched mid-day thirst,
I am the fierce blazing sun,
I am the softly trilling desert spring,
I am the cool shadow greenery !
Maddened with an intense joy I rush onward,
I am insane, I am insane !
Suddenly I have come to know myself,
All the false barriers have crumbled today !
I am the rising, I am the fall,
I am consciousness in the unconscious soul,
I am the flag of triumph at the gate of the world,
I am the glorious sign of man’s victory,
Clapping my hands in exultation I rush like the hurricane,
Traversing the earth and the sky,
The mighty Borak is the horse I ride.
It neighs impatiently, drunk with delgith !
I am the burning volcano in the bosom of the earth,
I am the wild fire of the woods,
I am Hell’s mad terrific sea of wrath !
I ride on the wings of the lightning with joy profound,
I scatter misery and fare all around,
I bring earth-quakes on this world !
I am Orhpeus’s flute,
I bring sleep to the fevered world,
I make the heaving ocean quiet.
I am the flute in the hands of Shyam !
When I rush across the sky mad with anger,
The fires of the seven hells tremble in fear adn die.
I carry the message of revolt to the earth and the sky !
I am the mighty flood,
Sometimes I make the earth rich and fertile,
I’m the soft music played on his lyre !
I am the harsh unquenched mid-day thirst,
I am the fierce blazing sun,
I am the softly trilling desert spring,
I am the cool shadow greenery !
Maddened with an intense joy I rush onward,
I am insane, I am insane !
Suddenly I have come to know myself,
All the false barriers have crumbled today !
I am the rising, I am the fall,
I am consciousness in the unconscious soul,
I am the flag of triumph at the gate of the world,
I am the glorious sign of man’s victory,
Clapping my hands in exultation I rush like the hurricane,
Traversing the earth and the sky,
The mighty Borak is the horse I ride.
It neighs impatiently, drunk with delgith !
I am the burning volcano in the bosom of the earth,
I am the wild fire of the woods,
I am Hell’s mad terrific sea of wrath !
I ride on the wings of the lightning with joy profound,
I scatter misery and fare all around,
I bring earth-quakes on this world !
I am Orhpeus’s flute,
I bring sleep to the fevered world,
I make the heaving ocean quiet.
I am the flute in the hands of Shyam !
When I rush across the sky mad with anger,
The fires of the seven hells tremble in fear adn die.
I carry the message of revolt to the earth and the sky !
I am the mighty flood,
Sometimes I make the earth rich and fertile,
At other times I cause colossal damage.
I snatch from Bishnu’s bosom the two girls !
I am injustice, I am the shooting star,
I am Saturn, I am the fire of the comet,
I am the poisonous asp !
I am Chandi, the headless; I am the ruinous warlord,
Sitting in the burning pit of Hell
I smile as the innocent flower !
I am the cruel axe of PARSHURAMA,
I shall kill warriors
An bring peace and harmony to this universe !
I am the plough on the shoulders of BALARAMA,
I shall uproot this miserable earth effortlessly and with ease,
And create a new universe of joy and peace.
Weary of strugglers, I, the great rebel,
Shall rest in quiet only when I find
The sky and the air free of the piteous groans of the oppressed.
Only when the battlefields are cleared of jingling bloody sabers
Shall I, weary of strugglers, rest in quiet,
I, the great rebel.
I am the rebel eternal,
I raise my head beyond this world,
High, ever erect and alone !
– Translated by Kabir Chowdhury
অনুবাদ সম্পর্কিত টীকা
- প্রথম স্তবকে ‘বিশ্ববিধাত্রীর’ হয়েছে ‘মাদার আর্থ’। নজরুল ইসলাম মাতা ‘ধরিত্রী’ লেখেননি। বস্তুত তিনি স্ত্রীলিঙ্গ অথবা পুংলিঙ্গরূপে ভেবেছিলেন তা বিতর্কের বিষয়। তিনি ‘বিশ্ববিধাতৃ’ অর্থাৎ বিশ্ববিধাতা-ই বোঝাতে চেয়েছেন এমন অনুমান করেছেন কেউ কেউ (দ্রষ্টব্য এই গ্রন্থের পৃষ্ঠা-)। আবার জগৎ জননী অর্থে তিনি বিশ্ববিধাত্রী লিখেছেন এমনও বলা যায়। কবির চৌধুরীর অনুবাদের এখানে একটি যুক্তি আছে।
- আমি ভরা-তরী করা উরা-দুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন-এই পঙক্তির অনুবাদ করা হয়নি।
- আমি চির দুরন্ত দুর্মদ, আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।
আমি হোম-শিখা আমি সাগ্নিক জমদগ্নি
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি!
– এই পঙক্তিগুলির অনুবাদ করা হয়নি।
- বাঁকা বাঁশের বাঁশরী’ হয়েছে ‘টেন্ডার ফুট।
- আমি কৃষ্ণকণ্ঠ মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর,
বল বীর।
চির উন্নত মম শির।
– এই পঙক্তিগুলির অনুবাদ করা হয়নি।
- আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক।
- আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।
– এই পঙক্তিদুটির অনুবাদ করা হয়নি। তা স্বাভাবিক কারণ-এই দুটি পঙক্তি পত্রিকার পাঠে ছিল। অগ্নিবীণা সংকলন থেকেই বর্জিত হয়েছে।
- ‘আমি শনি-বিষাণে ওঙ্কার হয়েছে –
আই অ্যাম ব্রহ্মা-ও সাউশু ইন দ্য স্কাই
অ্যান্ড অন দি আর্থ’।
- বিশ্বামিত্র ও দুর্বাশা – শব্দটি রোমক হরফে Bishyamitra ও Durbasha হয়েছে যা থেকে বোঝা যায় শব্দদুটির অর্থ অনুবাদকের কাছে স্পষ্ট ছিল না। হবে Bishyamitra ও Durbasha। বিশ্বের শত্রু – বিশ্ব + অমিত্র, সন্ধির ফলে বিশ্বামিত্র। দুঃবাসা, সন্ধির ফলে ‘দুর্বাসা’। মলিন বাস যার।
- ‘বেণী হয়েছে ‘ডার্ক গ্লসি হেয়ার’।
- তাজী বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার।
হিম্মৎ-হ্রেষা হেঁকে চলে!
- ও এই অংশে উচ্চৈঃশ্রবার উল্লেখ অনুবাদে নেই। ‘তাজী বোররাক’-এর ‘তাজী’ শব্দের দুটি অর্থ হয় ‘অশ্ব’এবং তাজপরিহিত। অশ্ব’অর্থটি কবি স্বয়ং কবিতার সঙ্গে টীকা দিয়ে জানিয়েছিলেন। কোরান কথিত দিব্য অশ্ব বোরক-এর মুখমণ্ডল নারীর এবং দীর্ঘ কেশ শোভিত শিরে আছে মুকুট বা তাজ’। দুটি অর্থই একত্রে ব্যবহার করেছেন নজরুল ইসলাম। অনুবাদে শটি হায়েছে ‘মাইটি’ (mighty) অর্থাৎ শক্তিমান। শব্দটির প্রকৃত অর্থ তা নয়। বোরক যে শক্তিমান বা শক্তি তা ধরে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ‘তাজী’ শব্দটির অর্থ তা নয়।
- ধরি বাসুকির ফনা জাপটি,
ধরি স্বীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি।
আমি দেব-শিশু, আমি ধবল,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের ‘অঞ্চল।
-এই পঙক্তিগুলির অনুবাদ করা হয়নি।
- আমি মৃময় আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়,
আমি অব্যয় আমি মানব দানব দেবতার ভয়
বিশ্বের ‘আমি চির-দুর্জয়
জগদীশর ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ
স্বর্গ-পাতাল-মর্ত্য
-এই পঙক্তিগুলির অনুবাদ করা হয়নি।
- আমি উপারি ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নবসৃষ্টির মহানন্দে।
– এই অংশের অনুবাদে কবির চৌধুরী করেছেন –
অ্যান্ড ক্রিয়েট আ নিউ ইউনিভার্স।
অ জয় অ্যান্ড লিস’।
অনুবাদ সম্পূর্ণ মূলানুগ হয়নি। মূল কবিতায় ‘সৃষ্টির মহানন্দে’ বলা হয়েছে; নতুন বিশ্ব আনন্দময় হবে একথা বলা হয়নি। শান্তির উল্লেখও নেই।
কবিতার শেষ দুই পঙক্তির পূর্ববর্তী স্তবকটির অনুবাদ করা হয়নি। স্তবকটি হল –
আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে একে দিই পদচিহ্ন
আমি স্রষ্টা সুদিন, শোক-তাপ খেয়ালি বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন
আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান-বুকেএকে দেবো পদচিহ্ন।
আমি খেয়ালি বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।
দেখা যাচ্ছে হিন্দু পুরাণ থেকে গৃহীত কোনো প্রসঙ্গ সংকলিত পঙক্তি অনুবাদক অনেক সময় পরিহার করেছেন যেমন-ঈশান, বাসুকি, ভৃগু, কৃষ্ণকণ্ঠ (শিব অর্থে), ব্যোমকেশ (গঙ্গোত্রী ধারার ধারক অর্থে) সাগ্নিক, জমদগ্নি, পুরোহিত। বাদ গেছে জিবরাইল-ও। হয়তো বিদেশি পাঠ বুঝতে পারবেন না মনে করেই এই বর্জন।
২। উৎস: পূর্বোক্ত
THE REBEL
Translated by Abdul Hakim
Say Hero –
Say erect is the head,
Seeing thy hrad lies low that mountain peak!
Say Hero –
Say tearing the spacious firmament on high,
Out-stripping Sun and Moon and Stars,
Cutting a path through Earth and Heaven and Celestail
spheres,
Across the Great Throne of Eternal God,
Thou dost stand, a wonder of the whole creation!
On thy forehead doth blaze the fiery
Lord like a radiant royal symbol of victory!
Say Hero-
Thy head is ever-erect!
Thou art ever-indomitable, imperious and cruel,
Thou art the chief actor of Annihilation,
Thou art Cyclone, thou art Destruction,
Thou art uncontrollable,
Thou dost break everything into fragments!
The ocean of Pain was churned
and thou hast drunk the poison and thy
throat has become dark-blue.
Thou art lord Bomkesh holding in
thy locks the liberated streams of the Ganges.
Say Hero –
Ever erect is thy head!
Thou art a Beduin, thou art Chenghiz,
Thou dost before none save thee,
Thou art thunderbolt, thou art the
mystic sound ‘Om’ in the hom of God Iswan,
Thou art the great thunder of Titan Angel
Israfil’s trumpet,
Thou art the terrible trident of God
Shiva, thou art the Sceptre of the Lord of Justice.
Thou art the Discus and the great
Conch of Lord Vishnu, thou art the
thundering mystic Sound. Thou art the
thundering mystics Sound.
Thou art the disciple of angry,
Durbasha and Viswamitra,
Thou art a forest conflagration,
bent uponburning the world to ashes!
Thou art free, frank, Wild laughter
Thou art the Enemy of Creation,
a great Terror,
Thou art the Eclipse of Twelve
Suns on the Day of Universal Doom,
Now calm, now wild, awfully self-willed,
Thou art purple Dawn, the Vanquisher
of the Autocrat –
Thou art the swelling tempest, the
great Bellow of ocean,
Thou art bright, thou art effulgent,
Thou art Hindol dance of murmuring
sparkling coquettish waves!
Thou art the Braid of hair of a
Virgin fancy free and with fire in her fair eyes.
Thou art the surging passion in the
lotus-heart of a damsel of sixteen summers,
Thou art indeed blessed!
Thou art the unconcerned Mind of
one indifferent to the world,
Thou art the heavy sigh in the brest of a
widow, and the waiting’s of the afflicted!
Thou art the Agony of way-farers
denied, disappointed and homeless
Thou art the mental pain of the
disgraced, the bitter sufferings of
unreturned love!
Thou art the Anguish of a heart
offended and ever-fflicted, thou art its
deep grief;
Thou art the hivering maiden experience
of a damsel from stealthy kisses piled up;
Thou art the obashful sidelong look
.. of a beloved whose love is
. still undeclared by her lover,
Thou art the love of the fickle girl,
thou art the tinkling sound of her bracelet,
Thou art the Etemal Childhood, Ever-lasting Youth,
Thou art the cover for the breast of a village
girt affraid of her ripening youth, Thou art the
North wind, thou art the
fragrant breeze from the south,
thou art free Puravi air in music,
Thou dost represent the vagrant
Minstrel, his pathetic notes in
. . his bamboo flute.
Thou art the great Summer Thirst,
the fiery rays of the sun,
Thou art a muemuring Fount in the
desert, the leafy shade of oasis,
hou dost run wild as a mad man in thy
characteristic tumult of joy.
thou hast suddenly recognized thy..
true self, all bonds are now
loosened for thee –
Thou art the Rise, thou art the fall,
Thou brings.consciousness to
unconscious minds,
Thou dost embody the unfurled
Banner at the Grand Gateway of the
Universe, Proclaiming the victory of man-
Thou dost move with tempest speed
clapping all the way,
Heaven and Earth are held in the palm of thy hand
No less than the prophet’s heavenly Borrak, and Indra’s
winged Uchbhaisrava, is thy
matchless steed embodied in thine own self.
Thou art a Volcano in the bosom
.. of Earth, a Submarine fire,
the final conflagration of Annihilation,
Thou art Pandemonium,
the Anarcy, Confusion and Din
of fire and water!
In the twinkling of an eye, thou dost
fly on the wings of lightning
Thou dost strike panic in the world
and cause a sudden Earthquake –
Thou dost seize the stupendous hood of
eternal Vasuki in thy arms,
Thou dost clasp the wings of fire
of Heaven’s ambassador Gabriell
Thou art a Prince of Heaven, thou art wayard,
Thou art arrogant, thou dost tear with thy
teeth the border of Mother Earth’s apron
Thou art the lyre of Orpheus,
The angry ocean doth sleep
Sweet under the spell of thy music
working as a lull-a-by
Thou art the flute in the hands of
legendary Sri Krishna!
In anger, when dost thou manifest
thy self across the great sky.
in fear are extinguished
the trembling seven hells including
the terrible Habia –
Thou dost carry rebellion through
the length and breadth of the whole world
Thou art the Great flood of the
mouth of Sravan,
At times eminently enriching the Earth,
at times making her afully desolate
Thou wilt snatch away the pair
of damsels from the bosom of Vishnu!
Thou art Lawlessness, thou art
a Meteor, thou art the mischief-monger Discord,
Thou art the Evil Influence of Comet,
the Venomous Black Cobra,
Thou art the terrible goddess Kali,
who cut her own head for blood to drink,
Thou art devastating War,
Thou dost smile a flowery smile
amid the fire of perdition!
Thou art made of earth, thou art
possessed of soul,
Thou art not subject to decrepitude
and death, thou art not subject to
decay and change!
Thou art the Dread of man and God and demon –
Thou art ever-invincible on Earth,
Thou art the Lord of the Lord of the
world, thou art indeed the
pre-eminent Personality,
Thou dost move and have thy
being in Heaven and Hell and Earth!
Thou art mad, frighteningly mad!!
Thou dost now stand revealed to thy self,
. all bonds are now released for thee!
Thou art the lifted axe of Parasuram,
Thou wild rid the world of the Kshtriyas
and enthrone Peace, Serene and Sublime!
Thou art the Plough of Mythological Balaram,
Thou wilt dig out the Slave Earth easily
in the awfull joy of a New creation,
Thou war-wearied Rebel,
Thou wilt rest that day
When the crise and lamenations
of the oppressed shall not rend the air and skies,
When the tyrant’s sword and scimitar
Shall not flourish in the bloody field of battle
Thou war-worn Rebel, Thou wilt rest that day!
Thou art rebel Bhrigu, thou dost
put thy foot on the breast of Bhagawan,
Thou art the killer of the creator,
Thou wilt tear to pieces the bosom
of the capricious God who sends down
Sorrow and grief?
Thou art Rebel Bhrigu, thou wilt
put thy foot on the bosom of Bhagawanoe
Thou wilt tear off bosom of
the whimsical Lord!
Thou art an Eternal Rebel Hero –
Thou dost transcend the Universe,
Unapproachable, alone, with ever erect head!
অনুবাদ সম্পর্কিত টীকা
এই অনুবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ঢাকা বাংলা একাডেমী’ থেকে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে। আবদুল হাকিম ‘দ্য ফায়ারি লায়ার অব নজরুল’ নামে অগ্নিবীণা’র কবি অনুবাদ করেছিলেন। তখন আর পূর্ব পাকিস্তান নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুবাদই গৃহীত হয়েছে মহম্মদ নুরুল সম্পাদিত ইন্সটিটিউট ঢাকা থেকে প্রকাশিত পূর্ব উল্লিখিত সংকলনে।
- মূল কবিতায় স্তবক বিভাজন আছে, কিন্তু অনুবাদে স্তবকবিতা, তার ফলে পাঠকের কিছুটা অসুবিধা হয়।
- ‘বীর’ শব্দের অনুবাদ কবির চৌধুরী করেছিলেন ‘ভ্যালিয়েন্ট’ আব্দুল হাকিম করেছেন রো ‘হিরো’।
- দ্বিতীয় পঙক্তিতেই পাঠক বিস্মিত হবেন। ‘বল উন্নত মম শির’ মম’ –এর ‘মম’ সর্বনামকে অনুবাদক করেছেন ‘দাই’ (thy) অর্থাৎ ‘তোমার’ বা ‘তব’। তারপর দেখি আগাগোড়াই অনুবাদকে উত্তম পুরুষের সর্বনামতে পুরুষের সর্বনাম ‘দাও’ (thou) অর্থাৎ শ্রদ্ধাব্যঞ্জক ‘আপনি’ বা ‘তুমি’-তে রূপান্তরিত করেছেন। বিষয়টি আমাদের ভাবায়। নজরুল ইসলাম কবিতা শুরু করেছেন মধ্যম পুরুষের সম্বোধনেই ‘বল’। তৃতীয় পঙক্তি থেকে সরে এসেছেন ‘আমি’ সর্বনামে। তারপর কবিতাটিতে শেষ পর্যন্তই পুরুষের সর্বনামই ব্যবহৃত। অর্থাৎ প্রথম দুই পঙক্তির উদ্দিষ্ট তম প্রকৃতপক্ষে নিজের সত্তাকেই সম্বোধন। অর্থাৎ এমন ধরে নেওয়াই স্বাভাবিক। অর্থাৎ কবিতাটিতে কবির লক্ষ্য নিজের বিদ্রোহী স্বরূপকেই প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু অনুবাদক আবদুল হাকিম সমগ্র কবিতায় ঐ তুমি ব আপনি সম্বোধনই বজায় রেখেছেন। নজরুল ইসলাম তখন বলেছেন, অনুবাদক। যখন অনুবাদ করেছেন তিনি আগাগোড়াই কবিতার কথককালে নজরুল ইসলামকেই ভেবেছেন। তার ভাবনা নিয়ে বিতর্ক যদি না তুলি তাহলেও বিষয়টির একটি টীকা থাকলে ভালো হত। ভিন্নভাষী পাঠক, যিনি মূল বাংলা কবিতা পড়েননি তার কাছে কবিতাটি যথাযথভাবে পৌঁছাবেন।
- ‘বিশ্ববিধাত্রী’ শব্দটিকে করা হয়েছে ‘হোলক্রিয়েশন’ (wholeceation)তাকেনর বা নারীরূপে ভাবা হয়নি। এই বিষয়ে কবির চৌধুরীর ভাবনার পরিচয় আগে পেয়েছি। আবদুল হাকিমের অনুবাদ সমর্থনযোগ্য; তবে নজরুল বিশ্ববিধাত্রী যখন লিখেছেন (যদিশুদ্ধ শব্দটি ‘বিশ্ববিধাতৃ’-ও নয়) তাহলেও কবির উদ্দিষ্ট অর্থ ছিল বিশ্ববিধানের নিয়ন্ত্রক শক্তি। ‘Whole ceration’ বললে সেই অর্থটি বোঝায় না।
- ‘নটরাজ’ শব্দের অনুবাদ করা হয়নি। তার ভাবার্থ দেওয়া হয়েছে। অ্যাক্টর অব। অ্যানাইহিলেশন।
- ‘আমি মানি না ক’ কোন আইন’–এরপর ছোটো-বড়ো মিলিয়ে চেত্রিশ পঙক্তি বর্জিত হয়েছে অনুবাদে। অনুবাদক শুরু করেছেন : ‘আমি কৃষ্ণ-কণ্ঠ মন্থন বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির’ থেকে। ফলে বর্জিত হয়েছে টর্পেডো ভাসমান মাইন, হাম্বীর, ছায়ানট, হিন্দোল প্রভৃতি শব্দ; বাদ পড়ে গেছে হিন্দি ভাষার বাক্যাংশটি হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ; বর্জিত হয়েহে ‘সাগ্নিক, জমদগ্নি ও ইন্দ্রাণী সূতের চিত্রকল্প।
- মূল কবিতার ব্যোমকেশ অনুবাদে হয়েছে ‘Bomkesh; এমন হওয়া সংগত নয়। হওয়া উচিত – Byomkes অথবা অন্তত ‘Byomkesh.
- ‘ঈশান’ রোমক লিপিতে লেখা হয়েছে ‘iswan’— যা কোনও হবে না।হবে ‘lsan’ অথবা ‘lshan’।
- ‘প্রণব নাদ’ কে অনুবাদক ‘ও’ শব্দে বোঝাতে চেয়েছেন। ওঙ্কার ধ্বনির ব্যাপারটি জানা থাকলে এই অনুবাদ যথার্থ বলে গণ্য হবে।
- ‘ইস্রাফিল’কে অনুবাদে বলা হয়েছে ‘টাইটান এঞ্জেল’। কিন্তু গ্রিক পুরাণে টাইটান বলতে যা বোঝায় দেবরাজ ক্রোনাস ও ধরিত্রীর সন্তান সে অর্থ সম্ভবত এখানে খাটে না। হয়তো অনুবাদক বলশালী অর্থটি ভেবেছেন। গ্রিক পুরাণে টাইটানরা অত্যন্ত বলবান হতেন। সেখান থেকে টাইটান শব্দটি সাধারণ বিশেষণ রূপেও প্রযুক্ত হয় যার অর্থ বলবান। কিন্তু নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় ইস্রাফিলের এরকম কোনও বিশেষণ ব্যবহার করেননি।
- ‘দুর্বাসা’-কে লেখা হয়েছে ‘Durbasha’; হবে ‘Durbasa’।
- ‘অরুণ খুনের তরুণ’ অনুবাদে হয়েছে ‘Purple Dawn’ । কিন্তু ‘অরুণ খুন’ ‘Purple’ হতেও পারে কিন্তু তরুণ অর্থে ‘Dawn’ বললে ঠিক অর্থটি বোঝায় না। নজরুল ইসলাম ‘তরুণ’ শব্দে প্রথম প্রভাত বুঝিয়ে ছিলেন কিনা তাতে সংশয় আছে।
- ‘চল উর্মিকে’ অনুবাদে করা হয়েছে ‘ককেটিসা ওয়েভ’। এমন বলা যুক্তি সংগত নয়। ‘ককেট’ শব্দের অর্থ রঙ্গিনা নারী। নজরুল ইসলাম সম্ভবত চঞ্চল বোঝাতেই চেয়েছিলেন। ‘হিন্দোল’ শব্দটিকে অনুবাদে যথাযথ রেখে পরে যোগ করেছেন ‘ডান্স’ অর্থাৎ নৃত্য শব্দটি। এই প্রয়োগ যুক্তি সংগত মনে হয়। কারণ কাছাকাছি একটি পঙক্তিতে আছে নৃত্যপাগল ছন্দ। পরবর্তী অংশ ‘বন্ধন হারা কুমারীর বেণী’ থেকে ‘খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ’ পর্যন্ত অনুবাদ মোটামুটি মূলানুগ। কোথাও কোথাও একটু অতিশায়িত উচ্ছাস আছে। তবে ‘উদাস পুরীর হাওয়াতে’ অনুবাদক ‘পূরবী’ শব্দটি উদ্ধৃতির মধ্যে রেখেছেন এবং তার সঙ্গে মিউজিক শব্দটি যোগ করেছেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম ‘পূরবীর’ সুর বুঝিয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। মনে হয়, পূর্বদিক থেকে আগত হাওয়াই বুঝিয়েছেন। ‘তাজি বোরাক’ আর ‘উচ্চৈঃশ্রবা’র ক্ষেত্রে প্রথমটি হয়েছে ‘হেভেনলি বোররাক’ (Heavenly Borrak) এবং দ্বিতীয়টি হয়েছে ‘উইঙ্গড় উচ্চৈঃ শ্ৰবা’। তাজি শব্দের অনুবাদ হেভেনলি নয়; বেগবান অশ্ব এবং তাজ পরিহিত। দুটিই হতে পারত। উচ্চৈঃশ্রবার যদিও দানা আছে, কিন্তু উইঙ্গ বা পক্ষযুক্ত শব্দটি মূল কবিতায় নেই। আবার মূল কবিতার ‘হিম্মত হ্রেষা’ শব্দবন্ধটি অনুবাদে নেই।
- ‘বাড়ব বহ্নি’-এ অনুবাদ করা হয়েছে ‘সাবমেরিন ফায়ার’; এই অনুবাদ যথাযথ। যদিও বাড়ব শব্দের পুরাণ অনুষঙ্গ বর্জিত হয়েছে। সেই অনুষঙ্গ অনুবাদে দিলে অনেকটা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হত। যা প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। আমি ‘তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি’ অংশটির অনুবাদে যোগ করা হয়েছে ‘ইন দ্য টুইংক্লিং অব অ্যান আই’। অর্থ : চক্ষুর পালক হতে পারে। কিন্তু মূলে এই অংশটি নেই।
- ‘আমি দেব শিশু’ –অনুবাদক করেছেন ‘দাও আর্ট আ প্রিন্স অব হেভেন’। শিশুকে প্রিন্স করবার কোনও কারণ নেই। ‘মহাসিন্ধু’ অনুবাদ করা হয়েছে ‘অ্যাংরি ওশ্যান’। যথার্থ নয়। গ্রেট ওশ্যান করা যেতে পারত।
- ‘কঠোর কুঠার’-কে অনুবাদক করেছেন ‘লিফটেড অ্যাক্স’ অর্থাৎ উদ্যত কুঠার। এখানেও ঠিক যথাযথ হয়নি; তবু মূল অর্থ থেকে খুব বেশি সরেও আসেনি! এবং ফুটে উঠেছে একটি চিত্র। কঠোর কুঠারের অনুপ্রাস অনুবাদে সঞ্চারিত করা সম্ভবই নয়।
- আমরা দেখলাম, আবদুল হাকিমের অনুবাদটিতে মূল প্রশ্ন থেকে যায় কবির ‘আমি’কে তিনি তুমি ‘সর্বনাম’-এ অনুবাদ করেছেন সর্বক্ষণ। দ্বিতীয়ত, কোনও কোনও শব্দে মূল থেকে সরে এসেছেন যা প্রায় সব অনুবাদকই করেছেন। কিছু কিছু অংশ বর্জিতও হয়েছে, সেটিও সব অনুবাদকই করেছেন।
New Anthology
Ed. Rafiqul Islam
Bangla Academy,
Dhaka,
1st ed: May 1990.
THE REBEL ETERNAL: A RHAPSODY
Translated by Syed Sajjad Hussain
Hail, my Hero, rebel eternal!
Say: 1 outtop the great Himalayas
in titanic majesty,
Abashed and humbled, the snow-capped mountain
Bows its head before me.
Sublime, I tower
far above the infinite spaces of the universe,
above the sun, moon, planets and stars,
above the seat of heaven itself
I am an ever-lasting wonder,
the invincible victor
whose stature dawarfs all.
I yield to none in submission, nor know tenderness.
I am the tempset’s ferocity,
the breath of the cyclone,
Ruin’s image, a terror, irresistible, impetuous,
uncontrollable.
I trample on bonds,
Obey no law,
Recognize no rule.
sport with loaded boats
In my revels
and send them down to the ses’s bottom
without mercy.
I am a torpedo,
an explosive mine.
I am the sprit of Siva, the destroyer.
Tam the summer’s storms,
always seething with turbulence,
I am the wild wind;
I crush and sweep away all in my path.
can be seen in the riotous rhythm of the dancer,
and heard in the soft melody of song,
moving as I wish,
ever free, unrestrained. Fearless, I challenge my
enemies,
bravely. I battle with Death.
Tam the fury of the hurricane,
terrifying like a pestilence;
impulsive, laeless.
Ever unsubdued,
the bubbling wine of life fills my impassioned heart.
I am the flame which burns
on sacrificial altars,
on sacrificial altars,
I am both votary and sacred fire,
I am peaceful homestead as well as desolate graveyard,
I create and destroy.
I am the End.
the finale of Night and Day.
Great Indra’s child
I bear the luminous moon in my arms
and the brilliant sun on my brow.
I carry the lover’s lute in one hand,
And the trumpet of war in the other.
I hold inside me,
like Shiva, the pale-throated one,
all the liquid venom churned up
at creations’s dawn.
I cardie Ganga’s waters I my locks.
I am a recluse, a poet,
a prince who has the semblance of hermit.
I am a ruthless Chengis;
I am a roving nomad who owns no master,
I am the frightening roll of thunder,
the celestial trumpet’s blast
Siva’s trident,
The dreadful mace of the god of death.
Disciple of legendary Indian sages-
renowned for their wrath-
I will sear the universe with my scorching flames.
I am both joy and Grief.
I am the demonic power.
which will overwhelm all on earth’s last day
I am tranquility as well as Commotion;
I am youth’s crimson flesh;
a rebuket God’s pride.
I am the violence of the typhoon,
the impulse of the ocean,
resplendent like the glee of the sea’s raging waves
The gloss ‘of a maiden’s braided hair,
the amrous movement of her eyes,
the passion blossoming in her soul;
the sweetness of a girl’s first caress,
the thrill of secret glances exchanged in love
the tinkle of ayoung woman’s bracelets,
the tremor in the voice of a village lass,
the throb of the lover’s heart,
the sigh of the widow,
the wail of the frustrated,
the suffering of the homeless,
the misery of the downtrodden,
the cry of wonded pride-
recall me.
I am the eternal Child does not age.
I am also the truthful zephyr,
the music of the wandering singer
borne on forest winds.
I am the parached summer’s thirst,
the cooling shade of the woods,
the soothing murmur of a desert spring.
I march onwards, resistless,
unfettered, glorying in self-knowledge.
I am Growth as well as Decay;
I am the quickening of conscience.
My banners fly in triumph
on the world’s ramparts –
emblems of my sovereignty.
Dauntless, I speed across the measurless distances
of earth and sky,
like a gate,
on the back of winged mounts.
I am the quenchless fire
in subterranean volcanoes,
dark with no glow.
I leap from region to region
Unhampered, reckless,
while the earth trembles in dismay underneath.
A like I duel with primeval dragons
and grapple with Gabriel’s falming wings
My parentage is divine.
I am restless and unquiet
and give no peace to my mother, the Earth.
I am Orpheu’s lyre
as well as lord Krishna’s flute –
able to lull the ocean to sleep with my strains.
When I rage and thunder
All hell’s mansions shake in terror, i
their flames snuffed out.
I am the deluge;
which brings both plenty and devastation
in the rainy season,
Tam Injustice incarnate,
a fiery meteor, an evil sign of the zodiac,
a baleful comet, a harbinger of disaster,
I represent Durga, the Goddess of terror,
and like her dance and rollic
in the midst of hell’s flames.
I am both earth-bound and ethereal.
indomitable, immortal,
blessed with unfading youth,
a menace to man and god and demon,
the ultimate mystery at the heart of Ethero,
indomitable, immortal,
blessed with unfading youth,
a menace to man and god and demon,
the ultimate mystery at the heart of Eternity.
I roam heaven and earth and underworld,
Unbound, unchained,
while they quake under my tread.
I am armed with a terrific axe and mighty plough-
Famed both in ancient lore –
I will hur the one at tyrants
and wield the other
to wrench the earth from its foundations,
that I may remould it
and read the world of sin and wrong and hearld a new
era of peace.
I am weary of strife,
but I would have no rest.
until the skies have ceased to ring
with the groans of the tyrant’s victims
and tyranny itself lies dead, vanquished.
I am the implacable foe
of crule blind Destiny
which rules the universe,
the whimsical despotic deity whom I despise,
I, the eternal rebel who never submits.
TRANSLATOR’S NOTE. Nazrul Islam’s rhapsody – The Rebel is one of the most famous in Bengali. Its dazzling arry of images and metaphors drawn from numerous sources, Indian, Islamic, Greek and even industrial, strung together in apparent disregard of logic, is difficult to translate. The repetitions, inconsistencies, and paradoxcs in Bengali are redeemed by the vigour and energy of the verse and the fascinating succession of rhymes. But I found that a literal rendering wound result in a version which would not only fail to convey the superb beauty of the poem but even expose it to the ridicule of foreign readers not familiar either with the idiom of the Bengali language or with non-western mythology. I have therefore pruned away lines which I thought would not translate well and also tried to avoid the repetitions which would tire the reader’s ear in English. The translation is consequently slightly shoter than the original.
অনুবাদ সম্পর্কিত টীকা
এই অনুবাদটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত ‘আ নিউ অ্যালজি’ নামক সংকলনে। এই সংকলনটি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমী, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। পরে নুরুল হুদা সম্পাদিত উল্লিখিত সংকলনে গৃহীত হয়েছে। অনুবাদকের নিজের একটি ভাষ্য অনুবাদটির শেষে প্রদত্ত ছিল। এখানেও সেটি দেওয়া আছে। চতুর্থ মুদ্রণ, মার্চ, ২০১৪।
- সংক্ষেপিত করবার কালে কবিতার প্রথম স্তবকটি মোটের ওপর রেখে দ্বিতীয় স্তবকে কিছু কিছু অংশ বর্জিত হয়েছে। যেমন নটরাজ, বিদ্রোহী-সূত-বিশ্ব বিধাত্রীর ইত্যাদি অংশের অনুবাদ নেই।
- তৃতীয় স্তবকের ভাববস্তু তিনি অনুবাদ এনেছেন। ‘নৃত্য পাগল ছন্দ’-কে করেছেন ‘রিদম অব দ্য ডার’। তারপর এই তৃতীয় স্তবকে অনেকটাই বর্জন করেছেন তিনি। হাম্বির, ছায়ানট, হিন্দোল ইত্যাদি সুরের উল্লেখ করেননি। একটি বাক্যে বলে দিয়েছেন-’সফট মেলডি অব সং’।
- তারপর কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে অনুবাদক চলে এসেছেন ‘আমি চির-দুরন্ত দুর্মদ’ অংশটিতে। ‘মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর-মদ’ অংশের অনুবাদে তিনি অনুবাদ করেছেন ‘দ্য বাবলিং ওয়াইন অব লাইফ ফিলস মাই ইম্প্যাসাড় হার্ট’।
- ‘সাগ্নিক জমদগ্নি’র উল্লেখ অনুবাদেকরা যায়নি। অনুবাদক বলেছেন ‘আই এম দ্য ফ্রেম হুইচ বার্নস’।
- ইন্দ্রানী সূত হাতে চাদ ভালে সূর্য’ অংশটিতে অনুবাদক লিখেছেন ‘ইন্দ্র চাইল্ড’। ‘ইন্দ্রানী’র যায়গায় ‘ইন্দ্র’ করবার স্পষ্ট কারণ বোঝা যায় না। হাতে চাঁদ ভালে সূর্য অংশের অনুবাদে অনুবাদক দুটি বিশেষণ যুক্ত করেছেন-’লুমিনাস মুন এবং ব্রিলিয়ান্ট সান’। ‘বাঁকা বাঁশরী’ অনুবাদকের হাতে হয়েছে ‘লাভারস ফুট’ ‘বাঁকা’ শব্দটিকে ‘প্রেমিকের’ করে দেওয়ার কোনও অর্থই নেই।
- ‘কৃষ্ণ-কণ্ঠ’কে অনুবাদক করেছেন পেল থ্রোটেড।
- ‘বেদুইন ও চেঙ্গিস’ এর উল্লেখ করলেও অনুবাদক ‘ইস্রাফিল’-কে বর্জন করেছেন। কিন্তু ‘ঈশান-বিষাণ’-কে তিনি রেখেছেন। চক্র-মহাশঙ্খ-দুর্বাসা-বিশ্বামিত্র ইত্যাদি অংশ বর্জন করে অনুবাদক সংক্ষেপে লিখেছেন-”ডিসাইপল অব লেজেন্ডারি ইন্ডিয়ান সেজেস’।
- ‘আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেণী’ থেকে ‘খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ’ পর্যন্ত অংশ অনেকটাই রাখা হয়েছে।
- পরবর্তী স্তবকে কবি ‘বোররাক’ এবং ‘উচ্চৈঃশ্রবা’ এই দুই দিব্য অশ্বের কারোরই উল্লেখ করেননি। সংক্ষেপে বলেছেন—’অন্য দ্য ব্যাক অব উইঙ্গড মাউন্টস।
- পারের পঙক্তিগুলির ক্ষেত্রে কিছু কিছু অভিব্যক্তি বাদ দিয়ে ‘গ্রেবিয়েল’ শব্দে ‘জিব্রাইল’-কে অনুবাদক রেখেছেন এবং ‘বাসুকির ফণা’-কে করেছেন ‘প্রিসেভেল ড্রাগন’। ‘বাসুকি’ আর ‘ড্রাগন’ এক না হলেও মুলের ভাব কিছুটা সঞ্চারিত হয়েছে।
- ‘আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ থেকে ‘বিপুল ধ্বংসধন্যা পর্যন্ত অনুবাদ করে ‘ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু বক্ষ হইতে যুগলকন্যা’ অংশ বর্জন করেছেন অনুবাদক। তবে অর্ফিয়াসের বাঁশরী তার হাতে হয়েছে ‘লায়ার’ অর্থাৎ ‘বীণা’। এখানে একটু সংযুক্ত হতে পারে, গ্রিক পুরাণের গীতবাদ্যে অতীব পারদর্শী দেবতা অর্ফিয়াসের লায়ার এবং হার্প এই দুটি তার বাদ্যযন্ত্রের কথাই মূলত উল্লিখিত হয়েছে। বাঁশির উল্লেখ প্রায় নেই। কিন্তু কোথাও নেই তা নয়, বিসিই একটি পুরাণ কোষে অর্ফিয়াসের বাদ্যরূপে বাঁশির কথা বলা হয়েছে এবং কোনও মন্দির স্থাপত্য থেকে বংশী বাদনরত অর্ফিয়াসের মূর্তি খোদাই করা একটি প্যানেলের ছবিও আছে।
- ‘ছিন্নমস্তা চণ্ডী’ এবং ‘রণদা সর্বনাশী’ অংশের আক্ষরিক অনুবাদ না করে অনুবাদক লিখেছেন দুর্গা, ‘দ্য গডেস অব টেরর’। ভাবার্থ সঞ্চারিত হয়েছে কিন্তু ‘ছিন্নমস্তা’-র অনুবাদ হয়েছে বর্জিত। দুর্গার ভাবচণ্ডী সব্বদে ঠিক নেই। তবে ‘গডেস অব টেরর’ লিখে অনুবাদক ভাবটি সঞ্চার করবার চেষ্টা করেছেন। ‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি’ এই পঙক্তিটিকে অনুবাদক করেছেন সংক্ষেপে ‘হেলসফ্রেম’। কিন্তু ‘পুষ্পের হাসি’ অংশটি বর্জিত হওয়ায় এই পঙক্তিটি নিহিত ব্যঞ্জনা হারিয়েছে।
- কবিতার শেষ অংশে ‘পরশুরাম’ এবং ‘বলরাম’ এর উল্লেখ অনুবাদক করেননি। তবে লিখেছেন যে তার অস্ত্র হল ‘টেরিফিক আক্স’ এবং ‘মাইটি প্লাউ’ লিখে তিনি ভাবার্থের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
- কবিতার শেষ অংশে বিদ্রোহী, ভৃগু এবং ভগবান বুকে পদচিহ্ন ইত্যাদি প্রসঙ্গ নেই; কিন্তু তার পরিবর্তে অনুবাদক সংক্ষিপ্ত করবার বদলে এখানে কিছু বাড়তি পঙক্তি জুড়ে দিয়েছেন। যদিও ভাবের দিক থেকে অসঙ্গত নয়, তবু এগুলি বর্জন করলেও মূল কবিতার ভাবার্থ ঠিকই থাকত।
- কবিতার শেষ পঙক্তিতে অনুবাদক লিখেছেন ‘আই, দি ইন্টারনাল রিবেল ছনেভার সাবমিটস’। এটা ঠিকই আছে। অংশটি যথাযথভাবে কবিতার ব্যঞ্জনা সঞ্চারিত করেছে।
৪। উৎস:
কাজী নজরুল ইসলাম : সিলেকটেড ওয়ার্কস
সম্পাদনা : সাজেদ কামাল
নজরুল ইনটিটিউট, কবিভবন, ঢাকা, ২০০০
THE REBEL
Translated by Sajed Kamal
Proclaim : Hero,
Proclaim : Iraise me head high!
Before me bows down the Himalayan peaks!
Proclaim: Hero,
Proclaim: rending through the sky,
Surpassing the moon, the sun,
Piercing through the earth,
The heavens, the cosmos
And the Almighty’s throne,
Have I risen-1, the eternal wonder
Of the creator of the universe.
The furiuos Shiva shines on my forehead
Like a royal medillion of victory!
Proclaim: Hero,
Proclaim : My head is ever held high!
I’m ever indomitable, arrogant and cruel,
I’m the Dance-king of the Day of the Doom
I’m the cyclone, the destruction!
I’m the great terror, I’m the curse of the worlde
I’m unstoppable,
smash everything into pieces!
I’m unruly and lawless,
I crush under my feet
All the bonds, rules and disciplines!
I don’t obey any laws.
sink cargo-laden-boats- I’m the torpedo.
I’m the dreadful floating mine.
I’m the destructive Dhurjati,
the sudden tempest of the summer.
I’m the Rebel, the Rebel son
of the Creator of the universe!
Proclaim, Hero,
Proclaim : My head is ever held high!
I’m the tempset, I’m the cyclone,
I destroy everything I find in my path.
I’m the dance-loving rhythem, I dance to my own
beats.
I’m delight of a life of freedom.
I’m Hambeer, Chhayanat, Hindol.
I move like a flash of lightning
with turns and twists.
I swing, I leap and frolic!
I do whatever my heart desires.
I embrace my enemy and wrestle with dwath.
I’m untamed. I’m the tempest!
I’m petilence, dread to the earth,
I’m ever full of burning restlessness.
Procliam : Hero,
Proclaim : My head is ever held high!
I’m ever uncontrollable, irrepressible.
My cup of elixir is always full.
I’m the sacrificial fire,
I’m Yamadagni, the keeper
of the sacrificial fire,
I’m the sacrifice, I’m the priest,
I’m the fire itself.
I’m creation, I’m destruction,
I’m habitation, I’m the ‘cremation ground.
I’m the end, the end of night.
I’m the son of Indrani.
with the moon in my hand and the sun on my
forehead.
In one hand I hold the bamboo flute,
in the other, a trumpet of war,
I’m Shiva’s blaued-hurd throat
from drinking poison from the ocean of pain,
I’m Byomkesh, the Ganges flows freely through
my matted locks.
Proclaim : Hero,
Proclaim : My head is ever held high!
I’m the ascetic, the minstrel,
I’m of Ishan’s hom
I’m the mighty call of Israfil’s trumpet.
I’m Pinakapani’s hourglass drum, trident,
the scepter of the prince, my royal garb embarrasses
Even the most ostentatious.
I’m Bedouin, I’m Chengis,
salute none but myself!
I’m thunder,
I’m the Om sound Lord of Juctice.
I’m the Chakra and the Great Conch,
I’m the primordial sound of the Gong!
I’m the furious Durbasa, the disciple of Viswamitra.
I’m the fury of fire, to burn this earth to ashes.
I’m the ecatatic laughter, terrifying the creation.
I’m the eclipse of the twelve suns
On the Day of the Doom,
Sometimes calm, sometimes wild,
I’m the youth of new blood
Thumble evev the fate’s pride!
I’m the violent guest of a wind storm,
the roar of the ocean.
I’m bright, effulgent.
I’m the murmur of over-flowing water,
Hindol dance of rolling waves!
I’m the unbridled hair of a maiden,
the fire in her eyes.
I’m the budding romance of a girl of sixteen
I’m the state of bliss!
I’m the madness of the recluse,
I’m the sigh of grief of a widow,
I’m the anguish of the dejected,
I’m the suffering of the homeless,
I’m the pain of the humiliated,
I’m the affilicted heart of the lovesick.
I’m the trembling glance of the secret lover
I’m the love of a restless girl,
the jingling music of her bangles!
I’m the eternal child, the eternal adolescent,
I’m the bashfulness of a village girl’s budding youth.
I’m the northern breeze, the southern breeze,
the callous eastwind.
I’m the minstrel’s song,
the music of his flute and lyre.
I’m the unquenched summer thirst,
the scorching rays of the sun.
I’m the softly flowing desert spring
and the green oasis!
in ecstatic joy, in madness,
I’ve suddenly realized myself,
all the barriers have crumbled away!
I’m the rise, I’m the fall,
I’m the consciousness in the unconscious mind.
I’m flag of triumph at the gate of the universe –
the triumph of humanity!
Like a tempest
I traverse the haven and earth
riding Uchchaishraba and the mighty Borrak.
I’m the burning volcano in the bosom of the earth,
the wildest commotion of the subterraneam ocean of fire.
I ride on lightning
and panic the world with earthquakes!
I clasp the hood of the snake-king
and the fiery wing of the angel Gabriel.
I’m the child-divine-restless and defiant.
With my teeth I tear apart
the skirt of Mother Earth!
I’m Orpheus flute.
I calm the restless ocean
and bring lethean sleep to the fevered world
with a kiss of my melody.
I’m the flute in the hands of shyam.
When I fly into a rage and traverse the vast sky,
the fires of Seven Hells and the hell of hells, Habia,
tremble in fear and die.
I’m the messenger of revolt
across the earth and the sky.
I’m the mighty flood.
Sometimes I bring blessings to the earth,
at other times, cause colossal damage.
I wrestle away the maidens two
from Vishnu’s bosom!
I’m injustice, I’m a meteor, I’m Saturn,
I’m a blazing comet, a venomous cobra!
I’m the headless chandi,
I’m the warlord Ranada.
Sitting amidst the fire of hell.
I smile like an innocent flower!
I’m made of clay. I’m the embodiment of the Soul.
I’m imperishable, inexaustible, immortal.
I intimidate the humans, demons and gods.
I’m ever-unconquerable.
I’m the God of gods, the supreme humanity,
traversing the haven and earth!
I’m mad, I’m mad!
I have realized myself,
all the barriers have crumbled away!!
I’m Parshuram’s merciless axe.
I’ll rid the world of all the war mongers
And bring peace.
I’m the plough on Balaram’s shoulders.
I’ll uproot this subjugated world
in the joy of recreating it.
Weary of battles, I, the Great Reabel
Shall rest in peace only when
the anguished cry of the oppressed
shall no longer reverberate in the sky and the air,
and the tyrant’s bloody sword
will no longer rattle in battlefields.
Only then shall I, the Reabel,
rest in peace.
I’m the Reabel Bhrigu,
I’ll stamp my footprints on the chest of god
sleeping away indifferntly, whimsically,
while the creation is suffering.
I’m the Reabel Bhrigu.
I’ll stamp my footprints
I’ll tear apart the chest of the whimsical god!
I’m the eternal Rebel, I have risen beyond this world, alone.
with my head ever held high!
অনুবাদ সম্পর্কিত টীকা
- ‘বল’ শব্দটির অনুবাদ করা হয়েছে ‘প্রোক্রেম’, অর্থাৎ ‘দাবি করো’।
- ‘রুদ্র ভগবান’ অনুবাদে হয়েছে ‘ফিউরিয়স শিব’। যদিও ‘রুদ্র’ আর, ‘শিব’—দুই দেবতার আদি পুরাণ কল্পনায় একটু পার্থক্য আছে, তবু রুদ্র আর ক্রুদ্ধ শিব অনেক সময়েই অভিন্ন রূপে কল্পিত হন।
- ‘মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ’-হয়েছে ‘আই অ্যাম দ্য ডান্স কিং অব দ্য অব দ্য ডুম’। নটরাজ-এর আক্ষরিক অনুবাদ ডান্স কিং’। এখানে ‘নটরাজ’ থাকলেই যথাযথ হত। অন্যত্র অনুবাদক শিব, ঈশান, ধূর্জটি, পরশুরাম, ভৃগু ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
- ‘বিশ্ববিধাত্রীর’ অনুবাদে হয়েছে ‘Creator of the universe’ এখানেও পুংলিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গ সমস্যায় অনুবাদকাকে পড়তে হয়নি। ইংরেজি উভলিঙ্গ শব্দ প্রচুর আছে। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। ‘বিধাতা’ (বিধাত্রী বা বিধাতৃ) শব্দের অর্থ ‘স্রষ্টা’ নয়, নিয়ন্ত্রক।
- সাজেদ কামালের অনুবাদ খুবই মূল অনুসারী। সে জন্য স্বচ্ছন্দ, কোনও বাধা ঘটে না। তিনি তৃতীয় স্তবকের ‘হাম্বীর’, ‘ছয়ানই’, ‘হিন্দোল’ – সব শব্দই রক্ষা করেছেন।
- পরবর্তীস্তবকের যথাযথ অনুবাদে ‘জমদগ্নি’, ‘ইন্দ্রানী’, ‘ব্যোমকেশ’ ইত্যাদি শব্দগুলিই রক্ষিত হয়েছে। তবে ‘জমদগ্নি’ বললে অনুবাদক ‘Jamadagni’ লিখেছেন। Jamadagni হবে নির্ভুল বোমক লিপ্যন্তর।
- পঞ্চম স্তবকের অনুবাদও বিশ্বস্তভাবে মূল পথকে অনুসরণ ককে ‘প্রণবনাদ’ হয়েছে ‘ওম’। চক্র, দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র অনেকটাই শুদ্ধ লিপ্যন্তরে রক্ষিত।
- ‘আমি অরুণ খুনের তরুণ’ অনুবাদে হয়েছে ‘আই আয়াম দ্য ইয়ুথ এ নিউ ব্লাড’। অরুণ খুন এবং নিউ ব্লাড সমর্থক কী না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ‘অরুণ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘সূর্য’ এবং ‘লোহিতবর্ণ’ তবে নবদিত সূর্য অর্থেই ব্যবহৃত হয় বলে ‘অরুণ’ শব্দের নবীন অর্থ প্রচলিত। নজরুল ইসলাম লিখেছেন ‘অরুণ প্রাতের তরুণ দল’। এখন অরুশ অর্থাৎ নবীন’-ই বোঝায়।
- ষষ্ঠ স্তবক-’আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেণী’ থেকে ‘খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ’ পর্যন্ত অনুবাদ যথাযথ। তবে দু-একটি প্রশ্ন থাকে যেমন ‘উদাস পূরবী হাওয়া’ হয়েছে ‘ক্যালাস ওয়েস্ট উইন্ড’। ‘উদাস’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘ক্যালাস’ ঠিক যথাযথ নয়। ‘শ্যামলিমা ছায়াছবি’-কে অনুবাদক করেছেন ‘ওয়েসিস’। অর্থটি মোটামুটি বহন করলেও ‘শ্যামলিমা ছায়াছবি’-কে নজরুল ইসলাম মরুদ্যান বলেননি।
- ‘তাজী বরবাক’-কে এখানেও ‘মাইটি’ বা বলবান করা হয়েছে। হবে তাজ পরিহিত অথবা অশ্ব; অথবা দুটিই একত্রে বলা যায়।
- বাসুকি হয়েছে ‘স্নেক কিং’। অনেকের চেয়েই যথাযথ অনুবাদ। বাসুকিকে নাগরাজ বলা হয়েছে পুরাণে।
- ‘মহাসিন্ধু’ কে অনুবাদক করেছেন ‘রেস্টলেস ওশ্যান’। ‘মহাসিন্ধু’ অর্থে নির্দিষ্টভাবে ‘অশান্ত সমুদ্র’ বোঝায় না, তবে এখানে ব্যঞ্জনায় অর্ফিয়াস-এর বাদ্যযন্ত্রের সুরে সমুদ্র সামিল হয়ে যায়। নজরুল ইসলাম ‘উতলা’ শব্দটি ব্যবহারও করেছেন। ‘রেস্টলেস’ শব্দটি অনেকটাই যথাযথ।
- মূল কবিতায় ‘ঘুম চুমু দিয়ে বারি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম’ অংশের অনুবাদে একমাত্র সাজেদ কামালি কিস অব মাই মেলডি’ বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন।
- ‘রণদাসর্বনাশী’ কেনারীর পরিবর্তে পুরুষ ধরে নিয়ে করেছেন ওয়রলর্ড। কিন্তু ‘রণদা’ শব্দটিও তিনি রেখেছেন। বাদ পড়ে গেছে ‘সর্বনাশী’ শব্দটির অনুবাদ।
- ‘পরশুরাম’ শব্দের অনুবাদ করতে যাননি অনুবাদক। কিন্তু ‘নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব’ পঙক্তির অনুবাদ করা হয়েছে—’আই’ল রিড দ্য ওয়র্ল অব অল দ্য ওয়র মঙ্গারস’। এখানে ‘ক্ষত্রিয়’ শব্দটিকে ‘ওয়র-মঙ্গারস’ করা হয়েছে! খুবই যথাযথ ভাবনা। ‘ক্ষত্রিয়’ অর্থই হল যোদ্ধা’। শ্রেণি অর্থাৎ লড়াইবাজ-’ওয়র মঙ্গার’।
- সাজেদ কামাল-এর অনুবাদ সর্বাধিক মূল অনসারী। ব্যঞ্জনার সঞ্চারে কিন্তু কোথাও এই অনুবাদ কিছুমাত্র অক্ষম নয়।
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।