আমরা প্রতি বছর বেশ ঘটা করেই প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে থাকি, কিন্তু সেই প্রজারা তথা দেশের নাগরিকরা আজও কতটা সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তারা প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতা ও অধিকারহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে দেশের গণতান্ত্রিক সরকার যে রীতিমত উদাসীন তা আর অপেক্ষা রাখে না। গোড়ার দিকে দেশের নাগরিকরা সরকারের নীতির ব্যাপারে বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। কারণ পরপর যেসব সরকার গঠিত হয়েছিল তারা জনসাধারণের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তরিক চেষ্টা করতেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সাংসদরা আর তেমনভাবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না। ফলে জনসাধারণের মনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধেই হতাশার ভাব ক্রমবর্ধমান। সাধারণ নাগরিকদের ভিতর তাই দ্বিবিধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদল যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিপুল, তারা এই পরিস্থিতিকে অপরিহার্য মনে করেছেন এবং এই সব অনিশ্চয়তার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেবার চেষ্টা করছেন, যদিও গণতন্ত্রের এই অবস্থা দৃষ্টে তাদের মনে আক্ষেপ রয়েই গেছে। অপর দল, যারা সংখ্যায় খুবই কম—তারা অপেক্ষকৃত সদর্থক ও অভিনব পথ বেছে নিয়েছেন এবং আদালতের সহায়তায় তারা গণতান্ত্রিক লক্ষ্য প্রাপ্তির চেষ্টা করছেন। এটা তারা করছেন জনসেবার উদ্দেশ্যচালিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের দ্বারস্থ হয়ে, যেগুলি আবার আদালতে জনস্বার্থ সম্বন্ধিত মামলা দায়ের করে। এসবের একেবারেই প্রয়োজন ঘটত না যদি এসব ব্যাপারে সংসদে খোলাখুলি আলোচনা হত এবং জনসাধারণকে সেই সব আলোচনার বিবরণ জানানো হত। ফলে নাগরিকেরা যখন গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্নের উত্থাপন করেন এবং নিজেদের মৌলিক অধিকারের দোহাই দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন, তখন সক্রিয় হওয়া ছাড়া আদালতের সামনে অপর কোনও পথ থাকে না। সর্বোচ্চ আদালত যে সময়ে সময়ে প্রশাসন বিভাগের উপর অভিনব আদেশ জারি করে নিজে অধিকার ক্ষেত্রের বিস্তৃতি ঘটায়, তার পিছনে এই কারণ ক্রিয়াশীল। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি যদি কার্যকরীভাবে সক্রিয় থাকত, তাহলে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের তরফ থেকে এজাতীয় পদক্ষেপ নেবার দরকারই পড়ত না।
দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব হচ্ছে জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখা এবং তাদের তাৎকালিক সমস্যাসমূহের সমাধান করা। আমাদের একালের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যদি নিজ নিজ সংবিধান-নির্দিষ্ট কর্তব্য পালন না করে তাহলে করে এই প্রথা স্বয়ং-সংশোধিত হবে তার জন্য সতর্ক দৃষ্টিসম্পন্ন নাগরিকদের অপেক্ষা করে থাকা সম্ভব নয়। সংবিধানে তাকে যেসব অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা অর্জনের জন্য সে চেষ্টা করবে এবং করা উচিতও। এই প্রবণতাকে আমাদের স্বীকার করে নেওয়া উচিত এবং আশা করা যায় যে ভারতের নাগরিকরা এই যে গণতান্ত্রিক চেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছে তা আমাদের বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষদের সময় থাকতেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে তাঁদের কর্তব্যপালনে কোনও রকম শৈথিল্য আর বরদাস্ত করা হবে না।
আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বল হয় পড়ার আরও কিছু কারণ আছে। কয়েক বছর পূর্বে সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে এর উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং দুর্নীতি, অপরাধকরণ, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতপাতের বিচারকে প্রধানত জাতির রোগ-লক্ষণ রূপে নির্ধারিত করেছিলেন। সাম্প্রতিককালে যেসব উদ্বেগজনক ঘটনাবলীর নিদর্শন দেখা যাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে রাজনীতির সঙ্গে এইসব পাপের সম্বন্ধকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা ও অধ্যয়ন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
ইদানীং দেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তার কারণ সাম্প্রদায়িকতা ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নাবলী নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ আমাদের জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের দিক থেকে এসব ঘটনা বিপজ্জনক। এইসব বিভেদকামী শক্তির প্রতি আমরা কোন্ ধরণের দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করি, তার উপর আমরা এই মহান জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় রাখার সাংবিধানিক লক্ষ্যের পরিপূর্তি করতে পারব কি না নির্ভর করছে। বিগত নয়ের দশকে এক নতুন অর্থব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছে যা আর্থিক সাফল্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে। কিন্তু নিয়তির পরিহাস হল এই যে, এই নব্বই-এর দশকেই আবার এমন সব শক্তির উদ্ভব হয়েছে যারা আমাদের দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। বিজ্ঞান মনস্কতার অর্থ হল সর্বপ্রকারের এবং বিশেষ করে জাতপাত, ধর্মবিশ্বাস ও সাম্প্রদায়ভিত্তিক ‘যাবতীয় ভেদভাবের সম্পূর্ণ নিরাকরণ’। আমাদের সংবিধান রচনাকারীদের কাছে এই তথ্য অজ্ঞাত ছিল না যে জনসাধারণের এক বিপুল অংশের উপর ধর্মের প্রচণ্ড প্রভাব আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এবং আমরা চাইলেও এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না। এই কারণে আমাদের সংবিধানের মূল কাঠামোতে তথা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে ধর্মের অধিকারকে নির্দিষ্ট করে দেবার সঙ্গে সঙ্গে একে সীমাবদ্ধও করে দেওয়া হয়েছে। এতে নাগরিকদের ধর্ম নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেবার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে এর অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বহুত্ব জীবনের এক বাস্তব সত্য, এ এক স্থায়ী বৈশিষ্ট্য, চাইলেও যাকে বাতিল করা যায় না। ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি চিরকালই আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ এবং একে সংবিধানের অঙ্গীভূত করা হয়েছে। প্রতিটি ভারতবাসীর সাংবিধানিক কর্তব্য এই সংস্কৃতিকে রক্ষা করা। বোম্বাই-এর মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছিল যে ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধানের মূল কাঠামোর অন্তর্গত যাকে সঙ্কীর্ণ ক্ষমতালাভের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া চলে না। অথচ বর্তমান বিজেপি সরকার তা করছেন অবলীলায়। তারা মিথ্যা ও বিকৃত কথনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন নানা কৌশলে। তাদের টার্গেট ভারতের ইতিহাস।
ইতিহাসের মিথ্যা ভাষণ শুধু যে ইতিহাসের উদ্দেশ্যকেই খাটো করে তা নয়, বিপন্ন হয় ভারতের বহুত্ববাদী আদর্শও। তাই ইতিহাস বিকৃত হলে সমাজে তার কুফল পড়ে এবং তার মাসুল গুণতে হয় জনগণকেই। সংঘ পরিবার চায় না. ভারতে মুক্ত মনে ইতিহাসের চর্চা হোক। সে জন্য এঁরা ইতিহাস, লোককথা ও পুরাণকে (মিথ) মিশিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে যে ইতিহাসের অপমৃত্যু ঘটবে সে নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা যা নিয়ে ভারতে সত্যিই গর্ব করতে পারি তার ব্যাপারে এরা একেবারেই নীরব। পানিনির ব্যাকরণ, ন্যায় শাস্ত্রের তর্ক, কালিদাসের কাব্য ও নাটক, বরাহমিহিরের বিজ্ঞান, দর্শন, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, এছাড়া স্থাপত্য-ভাস্কর্য কত কী। তা তো নয়, হঠাৎ রাম বা কৃষ্ণকে নিয়ে মাতামাতি। কাব্যের হিরো, ঐতিহাসিক চরিত্র, ধর্মের আদর্শ পুরুষ সব এক সঙ্গে গুলিয়ে দিয়েছেন। ভারতের আরও গর্ব ছিল আমাদের দেশে অশোকের মত রাজা ছিলেন, বুদ্ধের মত পুরুষ জন্মেছিলেন। মধ্যযুগও অন্ধকারের যুগ নয়, ওই যুগে নতুন স্থাপত্য, ভাস্কর্য, শিল্পকলা, সঙ্গ পীত, সাহিত্য নানা ক্ষেত্রে আমাদের ইংরেজ-পূর্ব নাগরিক সভ্যতা সবই মুসলমান ও হিন্দুর যৌথ উদ্যোগে সম্ভব হয়েছিল। একে অস্বীকার করে আর এস এস বর্তমান রাজনৈতিক প্রয়োজনকে বৈধতা দানের জন্য অবিমিশ্র মৌলিক ভারতীয় সংস্কৃতির উদ্ভট তত্ত্ব উপস্থিত করতে চায়। বিভিন্ন জাতির মানুষের সংমিশ্রণ ও উৎস বিচার করে জানা গেছে ভারতের বৃহৎ অংশের মানুষই তথাকথিত আর্য নয়। ভারতীয় হিসেবে নানা জাতি এদেশে সহাবস্থান করেছে ও করছে। হিন্দু মৌলবাদীরা কিন্তু এসব বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ভারতীয়ত্ব, হিন্দুত্ব ও আর্যত্বকে সমর্থক করে দেয়। আর এই বিকৃত সংস্কৃতিচর্চা সংঘ পরিবারের হাতে হয়ে উঠেছে এক একটি অমোঘ অস্ত্র। ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়িয়ে মারছে নিরীহ সংখ্যালঘুদের। ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, ধ্বংস হচ্ছে দেশের সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে রেখেই ১৯৪৭ সালে ইউনেস্কো পৃথিবীর সমস্ত দেশের শিক্ষকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যে, পাঠ্য-পুস্তকে যেন ফ্যাসিবাদ, জাতি বিদ্বেষ, ধর্ম বিদ্বেষ বা ধর্মীয় মৌলবাদ বিষয়ক কোনো লেখা বা রচনা স্থান না পায়—এ বিষয়ে পাঠ্য-পুস্তক প্রণেতাদের সচেতন থাকতে হবে। বি জে পি সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন এন সি ই আর টি-র পাঠ্যপুস্তক প্রণেতাগণ এই সমস্ত সতর্কবাণীকে সজ্ঞানে লঙ্ঘন করছেন। তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ-বহুত্ববাদী ভারতের শিক্ষার আঙিনায় গৈরিক পতাকা উত্তোলনের চেষ্টায় কোনও কার্পণ্য করেননি। একদিকে তার তষ্ঠানগুলির মাথায় বসিয়েছেন সংঘ-অনুগত হিন্দুত্বের আদর্শে বিশ্বাসী পছন্দসই মানুষদের। অন্যদিকে তারা পাঠ্যবস্তু, বিশেষ করে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক থেকে (৮-১২ শ্রেণি) অবাঞ্ছিত পক্ষপাতকে বিদায় নিয়ে ‘প্রকৃত ভারতীয়’ দৃষ্টিভঙ্গি আমদানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি যে আগাগোড় অসাংবিধানিক তা বলাই যায়।
এরই অঙ্গ হিসেবে বাবরি মসজিদের পর আবার তাজমহল বিতর্ক। অনুপম স্থাপত্য হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মহিয়সী বেগম মুমতাজের সমাধিক্ষেত্র তাজমহলের আবেদন আজও অমলিন ও অম্লান। ঐতিহাসিক এই সমাধিটি এখন আমাদের দেশের একটি জাতীয় সম্পদ। ফলে গোটা বিতর্কটিরই কোনও অর্থ হয় না। আরও হাস্যকর ভারতের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য কীর্তি তাজমহলকে নানাভাবে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা। এই অপ্রচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলছে।
মানবতার সংকটেও আমাদের সংবিধানের রক্ষকগণ নতুন দিশা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইতিহাসে ভয়ঙ্কর সব ঘটনার কথা জানা যায়, কিন্তু দুনিয়ার যাবতীয় নৃশংসতাকেও ছাপিয়ে গেছে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার। ভারতের ভূমিকাও বড় হতাশাব্যঞ্জক। অত্যাচারিত হয়ে নির্ঘাত মৃত্যুর ভয়ে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাঁদেরও তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটা মানবতার চরম অবমাননা। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভারত অতীতে অন্যকে নানাভাবে আশ্রয় দিয়েছে। অন্যকে আপন করে নেওয়াই তো ভারতের সনাতনী ঐতিহ্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, বিজেপি ২০১৫ সালে অস্থায়ী নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করেছে—যেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক, ইহুদি, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মাবলম্বীগণ ভারতে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে পারবে। শুধু প্রবেশ করতে পারবে না মুসলিম শরণার্থীরা। বিজেপি সংবিধানের ৯ ও ১৪ নম্বর ধারাকে অবমাননা করেছে। মানবতার প্রশ্নে ধর্মীয় প্রসঙ্গ কেন আসবে? রোহিঙ্গারা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ, নিগৃহীত ও উৎপীড়িত সম্প্রদায়। অথচ মানবতা আজ ধর্মের নিগঢ় আবদ্ধ।
ফলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ আজ কঠিন সংকটের সম্মুখীন। সর্ব ধর্মের দেশে আজ ধর্মের নামেই নৃশংস হত্যালীলা চলছে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর হিন্দুত্ববাদী শক্তির মানবতাবিরোধী কাজকর্ম ভয়ঙ্করভাবে ডিজিটাল ভারতের বুকে নেমে এসেছে। সাম্প্রদায়িকতার পথে হাঁটছে দেশের সরকার। নতুন সরকারের কাজকর্মের ধরন থেকেই মুখ ও মুখোশের ফারাক প্রকট হয়ে উঠছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের তাণ্ডবে বি আর আম্বেদকরের ভারতবর্ষ থেকে রোহিত ভেমুলারা হারিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের পোশাক, খাদ্যাভ্যাসসহ ব্যক্তিগত আচরণের উপর আক্রমণ আনা হচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা যদি সোচ্চার না হই তাহলে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সার্থকতা কোথায়?
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।