সিরিয়া র এখন যারা শাসক তাদের বলা হয় নুসাইরি। এরা আলি (রা.) কে আল্লা বলে। কলমাও পৃথক। নামাজ, হজ্জ, রোজা প্রচলিত কেন মুসলিম ফরজকে মানে না। এদের জন্মদাতা ইবন নুসাইর নবম শতাব্দীতে ইরাকে এই মত প্রচার করতে থাকে। এর ফল হল ১২ ইমামি শিয়ারা এদের বিতাড়িত করে। এরা শাম দেশের লাটাকিয়াতে জায়গা নেয়। সেখানে পৌঁছেও শিয়াদের বিভিন্ন গ্রুপের সংগে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়ে যায়। সব থেকে বেশি যারা এদের ধর্মান্ধতার শিকার হয় তারা সিরিয়াবাসী অপর শিয়াগোষ্ঠী ৭ ইমামি ফাতেমিরা।
প্রথম ক্রুসেডে ১০৯৭ নাগাদ খ্রিস্টান বাহিনিকে এরা সাথ দেয়, এরা চিরকালই বহিরাগত শত্রুর সংগে হাত মিলিয়ে মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি করেছে। মুসলিম সেলজুকরা যখন ক্রুসেডারদের বাধা দিয়েও এদেসা রক্ষা করতে পারলো না তখন পিছিয়ে এসে বর্তমান সিরিয়ার অ্যান্টিয়কে সমবেত হয় এবং প্রবল বাধা দেয়। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার জন্যে পরাজিত হয়। এরপর হোমস শহরটি দখল করার সময় নুসাইরিরা ক্রুসেডারদের সাহায্য করে। যদিও নুসাইরিদের তারা প্রথম দিকে মুসলিমই ভেবেছিল। কিন্তু ভেজাল ধরা পড়ার পর সবরকম সহায়তা লাভ করে।
এই প্রেক্ষিতে সুন্নি মুসলিমদের টনক নড়ে তাই একের পর এক ফতোয়া বার হয়ে আসে। ইবন কাশির (র. মৃত ১৩৪২ খ্রি.) বলেছেন, মুসলিম তার ইমানের প্রবেশ উপলক্ষ্যে ঘোষণা করে, ‘লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদর রসুলল্লালাহ’ (সোয়াল্লালাহে আলায়হেসসালাম)। নুসাইরিরা ঘোষণা করে, ‘আলি (রা.) ছাড়া কোন উপাস্য নেই, মুহম্মাদ (দ.) ছাড়া কোন পর্দা নেই, সালমান ফারশি (রা.) ছাড়া কোন প্রবেশদ্বার নেই’। (সম্মাননা উপাধিগুলি আহলে সুন্নাত জামাতের দেওয়া)। বিখ্যাত দার্শনিক হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম আবু হামিদ আল গাজ্জালি (র. ১০৫৮-১১১১)-এর মতে, ‘নুসাইরিরা রক্তসম্বন্ধ, টাকা-পয়সা, বিবাহ ও হালাল প্রাণীহত্যা সকল ক্ষেত্রেই ইসলাম বিরোধী’ তাই ওয়াজেবুল কতল।
আহমদ ইবন তাইমিয়া (র. ১২৬৯-১৩২৮) সিরীয় বংশোদ্ভূত সুন্নি এই পন্ডিত, এখনও প্রাসঙ্গিক এক ফতোয়ায় বলেন, ‘নুসাইরিরা ইহুদি ও খ্রিস্টান অপেক্ষা আরও অধিক ধর্মবিরোধী, এমনকি অনেক বহুত্ববাদী অপেক্ষাও ধর্মবিরোধী। এরা ফ্রাঙ্ক (ক্রুসেডার), তুর্কি (পাগান মোঙ্গল) বা অন্যান্য যুদ্ধবাজ ধর্মবিরোধী অপেক্ষাও মুসলিমদের আরও বহু বেশি ক্ষতি করেছে। অবুঝ মুসলিমদের কাছে তারা শিয়াদের মত ব্যবহার করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা আল্লাহ, তাঁর রসুল কিংবা তাঁর বইয়ের উপর কোন বিশ্বাস রাখে না। উপসংহারে তিনি বলেছেন, একজন মুসলিমের কাছে, ইসলামি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা ও কঠোর শাস্তিপ্রদান হল সর্বোত্তম ধর্মীয় কার্য এবং সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বাধ্যবাধকতাও বটে’।
চতুর্দশ শতকের ভূপর্যটক ইবন বতুতা, তারা কেমন করে সরকারের মসজিদ তৈরী ও আবাদ বিষয়ক হুকুমটিকে পালন করছে সে সম্বন্ধে বলেছেন, ‘প্রতিটি গ্রামে মসজিদ তৈরী হয়েছিল গৃহসমষ্টি থেকে দূরে, যেখানে গ্রামের লোকেরা না প্রবেশ করে না রক্ষণাবেক্ষণ করে। তারা প্রায়ই সেখানে গরু বা গাধার পালগুলিকে রেখে দেয়। যখন কোন বহিরাগত এসে সেখানে গিয়ে নামাযের জন্যে আযান শুরু করে তখনই তারা বলতে শুরু করে, গাধার মত ডাক বন্ধ কর, তোমার জন্যে দানাপানি নিয়ে যাচ্ছি’। পাঁচ শতক পরে ওসমানিয়া শাসনে একই প্রচেষ্টা চালানো হলে মসজিদগুলি তখনও বিরান পড়ে থাকে, ওদের ধার্মিকেরাও সে পথ মাড়ায় না। কয়েকটি পুনরায় আস্তাবলে পরিণত হয়েছে।
১৯১৬ নাগাদ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া মিলে গোপণে একটি চুক্তি করে যাকে বলা হয় সাইকস পিকো চুক্তি। এই চুক্তি অনুযাযী প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ওসমানিয়া সালতানাতের পতনের পর অখন্ড সিরিয়ার জেরুজালেম সহ ফিলিস্তিন পাবে ব্রিটেন, বাকি সিরিয়া পাবে ফ্রান্স। রাশিয়ার ভাগে পড়ল তুরস্কর বসফোরাস ও দার্দানেলিস প্রণালী এবং ইস্তাম্বুল শহর।
মুসলিম ওসমানিয়াদের বিরুদ্ধে মুসলিম আরবদের জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়া হয়। এ সব করার জন্যে লরেন্স অব আরাবিয়ার মত ব্যক্তিরা ময়দানে নেমে পড়ে। লরেন্স আরবদের নেতৃত্ব দানের জন্যে বেছে নেয় নবী (স.)-এর বংশধর হেজাযের শাসক হোসেন বিন আলিকে (তখন নযদের শাসক ছিল সৌদরা)। যাঁকে আমরা শরিফ হোসেন নামেই অধিক চিনি। এঁর তৃতীয় পুত্র রণকুশলী ফয়জল একে একে তুর্কি এলাকাগুলি দখল করে ১৯১৭-র নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ ঢুকে পড়লেন দামাস্কাসে। ওদিকে ব্রিটেন মিশর থেকে গাজা হয়ে জেরুজালেম দখল করে দামাস্কাসে ঢুকে পড়ল। সুযোগ বুঝে ব্রিটেন বেলফুর ঘোষণা করে ফিলিস্তিনের মধ্যেই ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার করে।
এতক্ষণ পর্যন্ত ফ্রান্স হাত গুটিয়ে বসে ছিল। ফয়জল বাহিনি যেই দামাস্কাসে প্রবেশ করল অমনি তারা ভূমধ্যসাগর দিয়ে এসে বর্তমান মাউন্ট লেবাননে ঢুকে পড়ে। ক্রুসেডের শেষে পিছনে পড়ে থাকা ক্যাথলিক ফ্রাঙ্কদের স্বাধীনতার নামে লেবাননের এলাকা বাড়িযে নিল। এখানেই পরবর্তীতে লেবানন রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফয়জল বিন শরিফ হোসেন তিন বছর দামাস্কাসে শাসক থাকার পর সান রেমোঁতে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্তিতিতে সমস্ত সিরিয়ার দাবিদার রূপে নিজেকে উপস্থাপন করে এবং কথামত দামাস্কাসে সৈন্য প্রেরণ করে ফয়জলকে উৎখাত করে। অখন্ড সিরিয়া তে সংখ্যাগুরু সুন্নিদের শাসনের এখানেই ইতি।
এরপরও সুন্নিরা ইজ্জদ্দিন আল কাশামের নেতৃত্ত্বে তীব্র লড়াই চালিয়ে যায়। কিন্তু আল কাশামকে বিপর্যস্ত করে তোলে ঘর শত্রু বিভীষণ সেই নুসাইরিরা। আল কাশাম ছিলেন কাদেরিয়া তরিকার মুরিদ। তিনি ফরাসি ও নুসাইরি যৌথ বাহিনির তাড়নায় ফিলিস্তিনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানেই ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বাহিনির হাতে শহিদ হন। তাঁর নামেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের মুখ হামাসের লড়াকু ব্রিগেডের নাম দেওয়া হয় আল কাশাম ব্রিগেড।
লেবাননের ক্যাথলিক মারুণনীয়দের পর ফরাসিরা নুসাইরিদের উপরই ছিল সর্বাধিক উপুড় হস্ত। কারণটি হল এরা ১০৯৭-এ ক্রুসেডের প্রাথমিক দিনগুলিতে ক্রুসেডারদের প্রভূত সাহায্য করেছিল। এদের মূল ধারার মুসলিমদের মধ্যে গণ্য করার জন্যে প্রায় ফরাসীরা ১০০০ বছর ধরে ব্যবহৃত নুসাইরি গোষ্ঠীনামটি পাল্টে ‘আলাওয়ি’ / ‘আলাবী’ (হযরত আলি-রা.-র অনুগামী) নামকরণ করে। রাজা ফয়জল ও সমস্ত আরবদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সুন্নি (৮০ শতাংশ) আরবরা ফরাসি অধিকৃত সেনা ও প্রশাসন যোগ দেয়নি। ফাঁকা জায়গাগুলি পূরণ করা হয় এই নুসাইরিদের দিয়ে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনিতে সংখ্যাগুরুত্বের সুবিধা নিয়ে এবং মিসেল আফলাকের বাশ পার্টির উচ্চপদে থাকা নুসাইরিরা ১৯৪৬-এ ফরাসি ম্যান্ডেট শাসন শেষে সুন্নিদের হাতে হস্তান্তরিত ক্ষমতাকে বার বার অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শেষ করে দেয়। এমন হল ১৯৬৬ নাগাদ দেখ গেল যে সিরীয় তখতের দাবিদার হিসাবে কোন সংখ্যাগুরু সুন্নি নেই। সালাহ জাদিদ ও হাফেজ আল আসাদ দুজনেই নুসাইরি। অবশেষে ১৯৭০-এ এসে এই নুসাইরিরা ‘হাফেজ আল আসাদ রূপে’ ক্ষমতা দখল করে। আর সঙ্গে সঙ্গে যে ১২ ইমামিরা তাদেরই দলছুট করে রেখে ঘুলাত আখ্যা দিয়ে রেখেছিল তারা এদের সাদরে টেনে নেয়। এক লেবাননি ১২ ইমামি আলেম এদের উপর থাকা কুফরি ফতোয়া তুলে নেয়। ১২ ইমামিরা ইরানে সংখ্যাগুরু ও লেবাননি শিযাদেরও সংখ্যাগুরু। হেজবুল্লাহ এদের সৃষ্টি।
১৯৭০-এ হাফেজ আল আসাদ যে বিমান বাহিনির প্রধান ছিল সে প্রেসিডেন্ট হয়ে বসে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ১৯৬৭ নাগাদ ইসরায়েল কর্তৃক গোলান হাইটস দখলে বিমান ওড়ায়নি। তার সময়ই রাশিয়া লাটাকিয়ার বন্দর তারতুসে তাদের নৌঘাঁটি তৈরী করে। রাশিয়ার মাথাব্যাথা এখনেই। ভূমধ্যসাগরে প্রবেশে এটাই প্রবেশপথ। তাই রাশিয়া আর ইরানের দরকার একটি ঝামেলা বিহিন করিডর। কিন্তু সুন্নিরা কোনদিনই তার শাসন মেনে নেয়নি। ১৯৭৯-তে আলেপ্পোয় ব্যাপক গণবিদ্রোহ হয়। হাফেজ হাজার তিনেক মানুষকে শহিদ করে। ১৯৮২-তে হামায় ইখওয়ানের পরিচালনায় বিদ্রোহ হলে হাফেজ আকাশ থেকে বোমা মেরে ২০ হাজার মানুষকে শহিদ করে। বর্তমান গবেষণায় জানা যায় এই হাফেজ নামক অমুসলিমটি ১৯৮২-র সাবরা-শাতিল্লা তাঁবুতে ইসরায়েল ও খ্রিস্টান কাতায়েবদের সহযোগিতায় ৩৫০০ ফিলিস্তিনি শরনার্থী হত্যার জন্যেও দায়ী। ফিলিস্তিন আন্দোলনকে সিরিয়া ও লেবানন থেকে উচ্ছেদের জন্যেও দায়ী।
২০০০-এ হাফেজ মারা যায়। বাসার প্রেসিডেন্ট হলে বিদ্রোহ জারি থাকে। বর্তমান বিদ্রোহ ছিল শান্তিপূর্ন। ২০১১-র মার্চ নাগাদ যা শুরু হয়। প্রথমে সিরিয়া র সরকার কৃষকদের দাবিকে উপেক্ষা করে। উপেক্ষা করার কারণ হল সিরিয়া জুড়ে খরা এবং এই খরার বলি অধিকাংশই সুন্নি কৃষক। রাজনৈতিক, সরকারি বা সামরিক উচ্চপদগুলি প্রধানত ১২ শতাংশ নুসাইরি, 2 শতাংশ দ্রুজ বা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্যে নির্ধারিত থাকলেও সিরিয়ার অঝিকাংশ ব্যবসা ও কৃষিযোগ্য জমির মালিক সুন্নিরা। আর্থিক বনিয়াদও শক্ত। এটা ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যায় আসাদরা। ১৪ বছর বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রের দেওয়াল লিখন দিয়ে যে আন্দোলনের সূত্রপাত সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাসার বাহিনির নুসাইরিরা গুলি চালালে ব্যাপক গণ বিদ্রোহ হয়। বাসার কোনঠাসা হয়ে গেলে ২০১৪ নাগাদ আইসিস ঢোকে। আইসিস এসে বাসরের থেকে বেশি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আইসিসকে দমন করব এটা দেখিয়ে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র পরে রাশিয়া প্রবেশ করে। রাশিয়া, বাসার, ইরান তো কোনদিনই আইসিসের প্রধান ঘাঁটি রাক্কা আক্রমণ করেনি। আইসিসও কোনদিন ইসরায়েল, ইরান আর রাশিয়ায় সন্ত্রাসী আক্রমণ করেনি।
বাসার প্রথম থেকেই ব্যারেল বোমা, রাসায়নিক বোমা আক্রমণ করে কাদের মারছে যা্দের তার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছে তাদের সংখ্যা ৬ লক্ষ, শরনার্থী ৫০ লক্ষ। সিরিয়ার সোয়া ২ কোটি জনতার ৮০ শতাংশই সুন্নি। স্বাভাবিক ভাবেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি। তবে শেষ যুগে মুসলিমরা বিপর্যস্ত হলেও আবার ফিরে আসবে এটা তো আমরা জানি।
সারাংশঃ আহমদ ইবন তাইমিয়া (র. ১২৬৯-১৩২৮) সিরীয় বংশোদ্ভূত সুন্নি এই পন্ডিত, এখনও প্রাসঙ্গিক এক ফতোয়ায় বলেন, ‘নুসাইরিরা ইহুদি ও খ্রিস্টান অপেক্ষা আরও অধিক ধর্মবিরোধী, এমনকি অনেক বহুত্ববাদী অপেক্ষাও ধর্মবিরোধী। এরা ফ্রাঙ্ক (ক্রুসেডার), তুর্কি (পাগান মোঙ্গল) বা অন্যান্য যুদ্ধবাজ ধর্মবিরোধী অপেক্ষাও মুসলিমদের আরও বহু বেশি ক্ষতি করেছে। অবুঝ মুসলিমদের কাছে তারা শিয়াদের মত ব্যবহার করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা আল্লাহ, তাঁর রসুল কিংবা তাঁর বইয়ের উপর কোন বিশ্বাস রাখে না। উপসংহারে তিনি বলেছেন, একজন মুসলিমের কাছে, ইসলামি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা ও কঠোর শাস্তিপ্রদান হল সর্বোত্তম ধর্মীয় কার্য এবং সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বাধ্যবাধকতাও বটে’।
ভোজনরত কষাই বাসার।
আরও পড়ুন,
১) আফগানিস্থান কি সাম্রাজ্যবাদীদের বধ্যভূমির পরীক্ষাগার হয়ে উঠছে?
২) দামাস্কাস ইস্পাতের ও কোফতাগরির প্রায় বিলুপ্তি কাঁচামালের অভাবে
৩) পারস্য বা ইরান সাম্রাজ্যের সংক্ষিপ্ত ও রোমাঞ্চকর ইতিহাস
৪) আরব বিশ্বে ওহাবী আন্দোলন ও নজদের মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী