লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা যেসব সন্দেহের অবতারণা করে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল।
১) নং সন্দেহঃ নাস্তিক্যবাদীরা বলে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা আল্লাহ বলে কিছু নেই। কারণ তাঁকে দেখা যায় না। আর যা দেখা যায় না তা অস্তিত্বহীন। আল্লাহর অস্তিত্ব যদি থাকত তাহলে নিশ্চয় আল্লাহকে দেখতে পাওয়া যেত। যেহেতু আল্লাহকে দেখা যায় না সেজন্য এই ব্রহ্মান্ডে আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই। এই বিশ্ব স্বতস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
সন্দেহের নিরসনঃ এটা কোন যুক্তিযুক্ত কথা নয় যে যা দেখা যায় তার অস্তিত্ব নেই। যা দেখা যায় না তার অস্তিত্ব নেই – এই কথা ঠিক হলে আমরা মানুষের মনকে, বাতাসকে, ইথার তরঙ্গকে, তারের ভিতর বিদ্যুৎকে দেখতে পাই না। তাবলে কি তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। অবশ্যই এদের অস্তিত্ব আছে যা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
আমাদের ইন্দ্রিয়ের সংখ্যা মোট পাঁচটি। যেমন চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক। চোখ দিয়ে আমরা আলো বা কোন বস্তু দেখি, কর্ণ দিয়ে আমরা শব্দ শুনতে পাই, নাসিকা দিয়ে আমরা গন্ধের ঘ্রাণ পাই, জিহ্বা দিয়ে আমরা কোন বস্তুর স্বাদ আস্বাদন করি এবং ত্বক দিয়ে আমরা শীত, গ্রীষ্ম, স্পর্শ, ব্যাথা – বেদনা অনুভব করি।
একটি ইন্দ্রিয় অপর ইন্দ্রিয়ের কাজ করতে পারে না। যেমন, চোখ দ্বারা আমরা গন্ধ, ব্যাথা-বেদনা, স্পর্শ, স্বাদ অনুভব করতে পারি না, কান দ্বারা স্বাদ, গন্ধ বুঝতে পারিনা, নাক দ্বারা দেখা যায় না, ত্বক দ্বারা স্বাদ অনুভব করতে পারি না। সুতরাং এককথায় একটি ইন্দ্র অপর ইন্দ্রিয়ের কাজ করে না।
এই পাঁচটি ইন্দ্র দ্বারা আমরা পাঁচটি বস্তুর অস্তিত্বের সন্ধান পাই। তা ছাড়া অন্য কোন বস্তুর সন্ধান পাই না। ষষ্ট বস্তুর সন্ধান পাই না। আমাদের যদি চারটি ইন্দ্রিয় থাকত তাহলে আমরা এই ব্রহ্মান্ডের চারটি বস্তুর অস্তিত্বের সন্ধান পেতাম পঞ্চমটার পেতাম না। তাই কান না থাকলে শুনতে পেতাম না, চোখ না থাকলে দেখতে পেতাম না, নাক না থাকলে ঘ্রাণ অনুভব করতে পারতাম না, জিহ্বা না থাকলে স্বাদ অনুভব করতে পারতাম না, ত্বক না থাকলে ব্যাথা বেদনা, আঘাত, স্পর্শ অনুভব করতে পারতাম না। সেজন্য আমরা একটা ইন্দ্রিয় না থাকে আমরা সেই ইন্দ্রিয়ের কাজকে অস্বীকার করে বসতাম। যেমন অন্ধ মানুষ দেখতে পায় না বলে দৃশ্যমান বস্তুর অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করে, যেমন কালা মানুষ শব্দের অস্বীকার করে। আবার দেখা যায় আমাদের গৃহপালিত জন্তুরা সুনামী (জলোচ্ছ্বাস) ও ভুমিকম্পের পূর্বাভাষ বুঝতে পারে কারণ তা বোঝার যে ইন্দ্রিয় তা সেই জন্তুদের মধ্যে আছে, পক্ষান্তরে মানুষের সে ইন্দ্রিয় না থাকার জন্য মানুষ তা বুঝতে পারে না। প্রজাপতি বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে দুরবর্তী সঙ্গীকে সংকেত পাঠাতে সক্ষম কিন্তু মানুষ তা পারে না। যেমন নাস্তিকেরা আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কে এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে অনুভব করতে না পেরে অস্বীকার করে বসেছে।
সুতরাং একথা মনে করার কোন প্রয়োজন নেই যে মানুষ আল্লাহকে দেখতে পায় না এবং তাঁর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারি না বলে তাঁর অস্তিত্ব নেই। এই মহাবিশ্বের রহস্য অপার এবং আল্লাহকে প্রত্যক্ষ করার ইন্দ্রিয় আমাদের কাছে নেই। আল্লাহকে প্রত্যক্ষ করার ইন্দ্রিয় আমাদের কাছে থাকলে আমরাও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কে প্রত্যক্ষ করতে পারতাম।
কথিত আছে, জনৈক দরবেশকে এক নাস্তিক যুবক প্রশ্ন করলঃ
১) আপনারা বলেন, আল্লাহ তায়ালা সব জায়গায় বিরাজমান। অথচ আমি কোথাও তাঁকে দেখতে পাচ্ছি না। দয়া করে আমাকে দেখিয়ে দিন ।
২) আপনারা বলেন, ইবলিশ শয়তান আগুন থেকে সৃষ্টি, আর তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আবার জাহান্নামের আগুনেই ফেলা হবে। তাহলে আগুন আগুনকে কিভাবে পুড়াবে বা শাস্তি দিবে?
৩) আপনারা বলেন, মানুষ যা করে, আল্লাহই করান। তাহলে পাপ কর্মের জন্য মানুষ দোষী হবে কেন?
শুনে দরবেশ সাহেব কোন উত্তর না দিয়ে মাটির একটি ঢিল তুলে যুবককে লক্ষ্য করে মারলেন। তাতে যুবক প্রচন্ড আঘাত পেল। সে তখন কাজীর কাছে গিয়ে দরবেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, আমি দরবেশকে তিনটি প্রশ্ন করায় তিনি তার উত্তর না দিয়ে আমায় ঢিল মেরেছেন। আমার শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে গেছে।
কাজী সাহেব দরবেশকে বললেন, আপনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ঢিল মেরেছেন কেন? উত্তরে দরবেশ সাহেব বললেন, আমি ঐ এক ঢিলেই তার তিনটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। যুবক বলল, সেটা কিভাবে? দরবেশ যুবককে ১ নং প্রশ্নের উত্তরে বললেন, তুমি আল্লাহকে দেখতে চেয়েছ। আর তুমি বলছ, তোমার সমস্ত শরীরে ব্যাথা হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তোমার শরীরে তো কোথাও ব্যাথা দেখতে পাচ্ছি না। তুমি প্রথমে তোমার ব্যাথাটা দেখিয়ে দাও, তারপর আমি তোমাকে আল্লাহ দেখিয়ে দেব। জেনে রাখ, ব্যাথা যেমন চোখে দেখা যায় না, উপলব্ধি করতে হয়, আল্লাহকেও তেমনি চোখে দেখা যায় না, উপলব্ধি করতে হয়। বাকি দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ুন মাওলানা নজরুল হক সাহেবের ‘কুট প্রশ্নের উত্তর’ দ্বিতীয় খন্ড।
২) নং সন্দেহঃ এই প্রশ্ন শুনে অনেকে বলেন, আল্লাহ থাকলেও থাকতে পারেন কিন্তু নিশ্চয়তা তো নেই। না থাকতেও তো পারে। তখন ধর্ম কর্ম করে জীবন বেকার হয়ে যাবে। নামায রোজা করে জীবন বর্বাদ হয়ে যাবে। তাই গোটা বিষয়টি অনিশ্চিত এবং সন্দেহপূর্ণ। সুতরাং পরকালের অনিশ্চিত সুখের আশায় দুনিয়ার নিশ্চিত সুখকে বিষর্জন দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে কি?
সন্দেহের নিরসনঃ উক্ত প্রবাদ বাক্যটি সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ওটা কেবল ঐখানে প্রযোজ্য, যেখানে নিশ্চিত বস্তুর প্রতিদানে অনিশ্চিত বস্তুটি সমান হয়। কিন্তু যেখানে আমরা নিশ্চিত বস্তুর প্রতিদানে অনিশ্চিত বস্তুটি বহুগুনে বেশী পাওয়ার আশা বা সম্ভাবনা থাকে, সেখানে ঐ প্রবাদ বাক্যটি খাটে না। আমরা এবং বস্তুবাদীরাও বাস্তব জীবনে এই রকম বহু অনিশ্চিত বস্তুর আশায় নিশ্চিত বস্তুকে কুরবানী করি বা বিষর্জন দিই। যেমন, দশ টিন ধান জমিতে বীজ করার জন্য ফেলে দিই এবং চাষের জন্য হাজার হাজার টাকা অগ্রিম খরচ করি অনিশ্চিত ফসলের আশায়। অথচ এই ফসল নাও হতে পারে। দশ টিন নষ্ট করে হাজার টিন পাওয়ার আশাতেই এটা করা হয়। চাষীর চিন্তাধারা – ‘যদি দৈবাৎ ফসল নাই হয়, তবে মাত্র দশ টিন ধান যাবে, কিন্তু যদি হয়েই যায়, তখন অন্য লোকেরা হাজার টিন পেয়ে লাভবান হবে, আর না পাওয়ার আফশোষে আমার বুক ফেটে যাবে। সুতরাং একটা ঝুঁকি নেওয়াই যাক।
অনুরুপ ভাবে লাখ টাকার আশায় লটারীর টিকিটে একটাকা খরচ করে, দুরারোগ্য ব্যাধী থেকে মুক্ত হওয়ার আশায় তিক্ত ঐষধ সেবন করে ও টাকা খরচ করে, ভালো চাকুরীর আশায় পড়াশুনার পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে, অমূল্য মুক্তা সংগ্রহের আশায় জীবন পণ করে সমুদ্রে ডুব দেয়, টাকা উপার্জনের আশায় ব্যাবসা উপলক্ষে সমুদ্র পাড়ি দেয় এবং হীরা উত্তোলনের আশায় জীবন তুচ্ছ করে গভীর খাদে নামে। অথচ এ সবই অনিশ্চিত আশা। এইভাবে যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে চাষ করে, ব্যাবসা করে, পড়াশুনা করে, সমুদ্র পাড়ি দেয় ও গভীর খাদে নামে, তাদিকে কেউ বোকা বলে না, বরং বুদ্ধিমান ও অধ্যাবসায়ী বলে তাদের প্রশংসা করে। যারা ঝুকি না নেয়, বরং তাদেরকেই লোকে বোকা বলে।
…ঠিক তেমনি, দুনিয়ার জীবন মাত্র সত্তর বছরের, আর পরকালের জীবন অনন্ত। সুতরাং যদি জান্নাত-জাহান্নাম দৈবাৎ নাই থাকে, তবে আমি মাত্র সত্তর বছরের জন্য কষ্ট পেলাম। আর যদি থেকেই থাকে, তবে অনন্ত পরকালের জন্য ঠকলাম। তখন ধার্মিকদের জান্নাতে যাওয়া দেখে যে আফশোষ হবে, সেই আফশোষ বুকে নিয়ে জাহান্নামে পুড়তে হবে অনন্তকাল। সুতরাং জীবনের কয়েকটা দিন একটু ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি এবং এটাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ ।
তাছাড়া আসল কথা হচ্ছে – আখেরাত বা পরকালের প্রতি আমার ইমান দোদুল্যমান নয়, বরং নিরেট। আখেরাত অবশ্যই আছে এবং তা নিশ্চিত। এতক্ষন যে যুক্তিগুলো দিলাম, তা তোর কুমন্ত্রণার ও কূটপ্রশ্নের উত্তর মাত্র। যেমন, হযরত আলী (রাঃ) তর্কের খাতিরে এক কাফেরকে বলেছিলেন, যদি তোমার কথাই সত্য হয় ও পরলোক বলে কিছু না থাকে, তবে তুমি, আমি-আমরা দুজনেই মুক্তি পাব। কিন্তু যদি আমার কথা সত্য হয় ও হিসাব কিতাব হয়, তবে আমি মুক্তি পাব, কিন্তু তুমি গ্রেফতার হয়ে যাবে। আমি উভয় অবস্থাতায় মুক্তি পাচ্ছি, কিন্তু তুমি পাচ্ছ না। সুতরাং সর্বাবস্থায় মুক্তিলাভের পথ অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি?
আলী (রাঃ)-এর ঐ কথা বলার মানে এই নয় যে, তাঁর বিশ্বাসও দুর্বল ও দোদুল্যমান ছিল। বরং ওটা ঐ দুর্বল বিশ্বাসের কাফেরের জ্ঞানানুসারে তাকে বুঝান হয়েছিল। বস্তুতঃ আলী (রাঃ)-এর ইমান ছিল নিরেট ও মজবুত। … তেমনি আমার ইমানও দুর্বল নয় বরং নিশ্চিত। সুতরাং বহু নিশ্চিত সুখের আশায় অল্প নিশ্চিত সুখ বিসর্জন দেওয়া আমার জন্য একান্ত জরুরী।
বর্ণিত আছেঃ একদল নাস্তিক একবার ইমাম আজম আবু হানিফা (রহঃ) এর সঙ্গে আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে মুনাযারা (বিতর্ক) করতে চায়। তাদের দাবী ছিল ‘আল্লাহ’ বলে কেউ নেই। মহাবিশ্ব আপনিই সৃষ্টি হয়েছে ও প্রাকৃতিক নিয়মে আপনিই চলছে। ইমাম সাহেব মুনাযারা করতে সম্মত হলে মুনাযারার জন্য দিন ধার্য করা হল। নির্দিষ্ট দিনে দোজলা নদীর অপর পারে মুনাযারা মঞ্চ তৈরী হল। হাজার হাজার জনতা মুনাযারা দেখার জন্য সমবেত হত। নাস্তিকরা বড় বড় কিতাব নিয়ে দলবলসহ মঞ্চে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে উপস্থিত হল। কিন্তু ইমাম সাহেব নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হতে পারলেন না। তখন নাস্তিকরা হাসাহাসি করতে লাগল ও বলতে লাগল, ইমাম সাহেব বোধ হয় ভয়ে আর আসবেন না।
প্রায় দুই ঘন্টা দেরী করে ইমাম সাহেব একাই খালি হাতে সভায় হাজির হলেন। তখন নাস্তিকরা তাঁকে বলল, ইমাম সাহেব, আপনার মত লোকেরও দেখছি সময়ের জ্ঞান নেই। এতো দেরি হলো কেন? উত্তরে তিনি বললেন, “ঠিক সময়েই আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু নদীর ঘাটে এসে দেখলাম, নদীতে বন্যা এবং পারাপারের কোন নৌকা নেই। কি করে পার হব? এ কথা চিন্তা করতেই হঠাৎ দেখলাম, একটি গাছ আপনা আপনিই কাটাই-ফাড়াই হয়ে বিনা মিস্ত্রিতেই একটি নৌকা তৈরী হল ও বিনা মাঝিতেই নৌকাটা লোকজনকে পার করতে লাগল। আমিও সেই নৌকায় চড়ে পার হলাম। তাই এই দেরী।”
একথা শুনে নাস্তিকরা হো গো করে হেসে উঠল ও বলল, “ইমাম সাহেবের মাথাটা বুঝি খারাপ হয়ে গেছে। কারণ, বিনা মিস্ত্রিতে কখনো নৌকা তৈরী হয়? না বিনা মাঝিতে কখনো নৌকা চলে? আপনি পাগলের মত কথা শুনালেন যে। তখন ইমাম সাহেব বললেন, ‘ঐ কথা বলার জন্য যদি আমি পাগলের মতো হই, তবে তোমরা সব বদ্ধ পাগল। কারণ, একটা সামান্য নৌকা যদি বিনা মিস্ত্রিতে তৈরী না হয় ও বিনা মাঝিতে না চলে, তবে এই মহাবিশ্ব কি করে বিনা মিস্ত্রিতে তৈরী হতে পারে ও বিনা মাঝিতে (পরিচালকে) এককথায় সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ছাড়া চলতে পারে? আমার দাবী যদি পাগলের মত হয়, তবে তোমাদের দাবী দেখছি বদ্ধ পাগলের মত।
একথা শুনে নাস্তিকরা লা-জওয়াব হয়ে পালিয়ে গেল। উক্ত মুনাযারায় তিনি বিজয়ী হলেন ।
তাই বলছিলাম, এই বিশ্বে কোন কর্মই বিনা কর্তাই সম্পন্ন হয় না। যেখানেই কর্ম আছে, তার পিছনে কোন কর্তাও আছে। যেমন, কবিতার পিছনে কবি, শিল্পের পিছনে শিল্পী, রান্নার পিছনে রাঁধুনী, লেখার পিছনে লেখক, নাটকের পিছলে নাট্যকার, গানের পিছনে গায়ক, বিজ্ঞানের পিছনে বিজ্ঞানী, নিয়মের পিছনে নিয়ামক ও ঘরের পিছনে ঘরামী অবশ্যই বিদ্যমান আছে। তেমনি সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টা অবশ্যই মওজুদ আছেন। তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ। তাই আমার আল্লাহ-বিশ্বাস ও দোদুল্যমান নয়, বরং তা হচ্ছে সবল ও নিশ্চিত।
তথ্যসূত্রঃ
- ইবলিসের বিষাক্ত ছোবল ও তার প্রতিকার – হজরত মাওলানা নজরুল হক
- ইয়াহইয়াহ উলুমিদ দ্বীন – হজরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এর বিভিন্ন গ্রন্থ।
পরের পর্বটি পড়ুন
নাস্তিকদের জটিল প্রশ্ন মহান আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন?
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।