• মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
Thursday, July 31, 2025
নবজাগরণ
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ - জ্ঞান অর্জনের বিস্বস্থ সংস্থা
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ - জ্ঞান অর্জনের বিস্বস্থ সংস্থা
No Result
View All Result

শিক্ষায় অনিলায়ন : পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ

চৌধুরী আতিকুর রহমান by চৌধুরী আতিকুর রহমান
June 25, 2025
in অন্যান্য
0
শিক্ষায় অনিলায়ন

Teacher using tablet computer in elementary school lesson

Share on FacebookShare on Twitter

শিক্ষায় অনিলায়ন নিয়ে অনেকদিন ধরেই লেখার ইচ্ছা আমার আছে। অনিলায়নের প্রভাব শুধু আমার উপর নয় সমস্ত পশ্চিমবঙ্গবাসীর উপর পড়েছিল। তার প্রভাব এখনও কাটাতে পারা গেছে কিনা তা প্রতিটি উচ্চশিক্ষায় লিপ্ত এবং আগ্রহী মানুষের কাছে জানতে ইচ্ছা করে।

তবে কিছুটা যে কাটানো গেছে তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা ভারতে ১ নম্বরে আসা দেখে বোঝা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত।

অনেককেই বোঝানো যায় না। অনিলায়নের জগদ্দল পাথর সরিয়ে প. বঙ্গের উচ্চশিক্ষা নিজের ট্রাকে ফিরে আসছে। অনীলায়ন কি?

একটা উদাহরণ দিয়েই শুরু করি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এফ আই ছাত্র সংসদ ২০২০ শেষে মুসলিম ওবিসি কোটা বহু আন্দোলনের পর মানতে বাধ্য হয়েছে। এই হচ্ছে অনিলায়নের প্রভাব।

অথচ উচ্চশিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতায় আসার পরপরই ঘোষণা করেছিলেন। ২০১২ নাগাদ যা ঘোষিত হয় তা প্রয়োগ করতে আরও আটটি বছর কী করে লাগল? এর পিছনে ছিল অনিলায়নের সূক্ষ্ম হাত। গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্র হরণের প্রচেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন একটা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেষ্টা করবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কি করে পাঠের সুবিধাটি পৌঁছে দেওয়া যায় একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রেও তার অবদান রাখবে। ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যেহেতু মমতা ব্যানার্জি উদ্যোগী হয়েছিলেন তাই তাদের চক্ষুশূল। তারা চেষ্টা করেছিল যেনতেন প্রকারে রোধ করতে। এর মধ্যে সূক্ষ্ম সাম্প্রদায়িকতাও থাকতে পারে তবে সেটা বলার উদ্দেশ্য নয়।  বাম  মহলে ততটুকুই বলা যায় যতটুকুতে মমতার মুসলিম তোষণ প্রচার করা যায়।

অনিলায়ন হল অনিল বিশ্বাসের ছাত্র সংসদ থেকে, বিশ্বদ্যালয়ের পঠনপাঠন, নিয়োগ সবকিছুতেই  রং দেখা, লাল রং। অনিল বিশ্বাসকে বলা যায় ঠান্ডা মাথার এক চৌকস খেলোয়াড়। তিনি প্রায় সমস্ত জীবন কাটিয়েছেন গণশক্তির সম্পাদক হিসাবে। সম্পাদকও ছিলেন আবার বলা যায় মার্কেটিং ম্যানেজারও ছিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকার মত একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার বিপরীত একটি দলীয় মুখপাত্রকে কিভাবে তুলে আনা যায় তা তাঁর কর্মদক্ষতাকে প্রমাণ করে। এমন কোন পশ্চিমবঙ্গবাসী নেই বিশেষ করে শহরবাসী যে তার বাড়িতে জোর করে গণশক্তি ঢোকানো হয়নি। অনেকটা বলা যায় মান না মান ম্যায় তেরা মেহমান।  এই নিয়ে ঝগড়া, অসন্তোষ, মারামারি কিনা হয়নি? কিন্তু দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামপন্থীরা তা সামলে দিয়েছিল।

স্বজনপোষণ, নিজের লোকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, চাকরির ক্ষেত্রে নিজের লোকদের বসিয়ে দেওয়া, এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রেও দলের সার্বিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা বাম আমলের অনেক গুলির মধ্যে কয়েকটি কালো দিক। বিশেষ করে অনিল বিশ্বাস যখন শিক্ষা সেলের প্রধান হয়ে আসেন। স্কুল-কলেজ তো বটেই এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কেও তিনি কুক্ষিগত করেছিলেন। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ থেকে কর্মচারীদের উন্নতি সব কিছুতেই তিনি তাঁর কারিশমা দেখিয়েছিলেন  অবশ্যই পার্টির আনুগত্য প্রাধান্য পেত।

অনিলায়ন থেকে ভূমিসংস্কার, ত্রুটি স্বীকারে বিস্ফোরক বুদ্ধ। বামফ্রন্টের সরকারের আমলে হামেশাই অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। সংবাদমাধ্যমে চর্চা হতো বিস্তর। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার ১০ বছরে তিনিও দলের অন্দরে বেশ কয়েক বার সরব হয়েছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পৌনে চার বছরের মাথায় এ বার তাঁদের সরকারের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে খোলাখুলি এমন কিছু ভুলের কথা নথিভুক্ত করালেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, যার বেশ কয়েকটিকেই বাম রাজনীতিতে রীতিমতো বিস্ফোরক বলে ধরা হচ্ছে! যেমন:

  • স্বীকারোক্তি ১: ‘ভূমি সংস্কার ও গ্রামোন্নয়নের কর্মসূচি এক ধরনের স্থিতাবস্থায় পৌঁছেছিল। কী হবে কার্যকর বিকল্প, তা সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করা যায়নি।’
  • স্বীকারোক্তি ২: ‘কৃষি উৎপাদনে কিছু সাফল্য এসেছিল ঠিকই। কিন্তু আরও কিছু কাজ করার ছিল। কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ও তাকে বাজারজাত করার প্রশ্নে দুর্বলতা ছিল’।
  • স্বীকারোক্তি ৩: ‘পঞ্চায়েতে কিছু কিছু জায়গায় শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সঙ্কীর্ণ মানসিকতার বিস্তার, স্বজনপোষণ এবং কম হলেও দুর্নীতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বাড়িয়েছে’।
  • স্বীকারোক্তি ৪: ‘অনেক সাফল্য সত্ত্বেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অপ্রতুলতা ছিল। তার ফলে সমস্যাও ছিল। বিশেষত, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান রক্ষা করা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী করা সম্ভব হয়নি’।
  • স্বীকারোক্তি ৫: ‘গ্রামাঞ্চলে ও শহরাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় নাগরিক জীবনে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপও সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি’।
  • স্বীকারোক্তি ৬: ‘শিক্ষায় রাজনীতিকরণ সব ক্ষেত্রে এড়ানো যায়নি। কিছু অবাঞ্ছিত পদক্ষেপও ছিল।

২০১৫-র এই স্বীকারোক্তি (সন্দীপন চক্রবর্তী লিখিত, আনন্দবাজার)-তে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের শিল্পায়নে যে ভুল হয়েছিল তার উল্লেখ রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিল্পায়নের প্রতি ওকালতি করেছেন। দলিলটি প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে সিপিআইএমের অন্দরমহলে বিব্রত বোধ থাকলেও অনিলায়ন বিষয়ে কিন্তু কিছু সদস্য সেচ্চার হয়েছেন। এরইমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অনিলায়নের (রাজনীতিকরণ) বিষয়ে দলের একাংশ পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছেন। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ দিন পরে দলের মধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে অনিলায়নের বিরুদ্ধে একটি মত প্রতিষ্ঠা করলেন অন্যতম পলিটব্যুরো সদস্য। অনিলায়নের বিরুদ্ধে এটাই ছিল তাঁর নীরব প্রতিবাদ। বেঁচে থাকা কালে (২০০৬ নির্বাচনের আগে অনিল বিশ্বাস মারা যান)  সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের সঙ্গে বুদ্ধবাবুর সম্পর্ক ছিল বেশ মসৃণ। বুদ্ধবাবু  ও অনিল বাবুর জন্মদিন এক। 

সুমন সেনগুপ্ত দেশ পত্রিকায় ১৭. ০১. ১০ তারিখে লিখছেন, তাঁর আমলে (জ্যোতি বসু) অবশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে মৌলিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। যদিও সাক্ষরতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। মহিলা সাক্ষরতার হার অন্য রাজ্যের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো। তাঁর শাসনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় গণটোকাটুকি অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। কিন্তু বাংলা ও বাঙালির শিক্ষা জগৎকে তথাকথিত এলিট বিরোধী শিক্ষাব্যবস্থায় মুড়ে ফেলার লক্ষ্যে প্রভাবিত হলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

জ্যোতি বাবুর রাজত্বকালে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি তুলে দেওয়া, প্রেসিডেন্সির শিক্ষকদের বদলি নীতি, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকদের অতিমাত্রায় বাম রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক করে তোলার অভিপ্রায়ের মাশুল বাঙালি জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে যেতে হবে।

সাক্ষরতায় হোক অথবা শিক্ষার উৎকর্ষ সবেতেই রাজ্যের রেংকিং আপেক্ষিকভাবে নেমে গিয়েছে অনেক নিচে। স্কুলে যাওয়ার হার, স্কুলে না যাওয়া ও ড্রপ আউটের পরিসংখ্যান সর্বভারতীয় স্তরের গড়ের চেয়ে অনেক নিচে চলে গিয়েছে। স্কুলে যাওয়ার হারের ভিত্তিতে ১৬ টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বাদশে গিয়ে পৌঁছেছিল। পশ্চিমবঙ্গের নিচের চারটি রাজ্য উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও উড়িষ্যা। সিএজি রিপোর্টেও বহুবার রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষাখাতে প্রচুর ব্যয়ের কথা বলা হয়েছিল বামফ্রন্টের কর্মসূচিতে। কিন্তু সেই বামফ্রন্ট সরকারেরই একসময়ের অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র তাঁর কমিশনের রিপোর্টে মন্তব্য করেছেন এই ব্যয়ের ৯৫%-ই চলে যায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বাবদ।

সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা জুড়ে বহু শূন্যপদ পড়ে থেকেছে দিনের-পর-দিন। এসব পূরণ করতে গেলেও সেখানে শাসক দলের সিলমোহর প্রাপ্ত প্রার্থী প্রয়োজন। বহু স্কুল-কলেজের অস্তিত্ব শুধুমাত্র খাতায়-কলমে রয়েছে, আদতে সেখানে আর যাই হোক শিক্ষাদান চলতে পারে না। এ অবস্থার রকমফের আজও হয়নি।

উচ্চশিক্ষায় পার্টির শিক্ষা সেলের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণের ফলে মেধার অবলুপ্তি তথা নিম্ন ও মধ্য মেধার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাঙালি ছেলে মেয়েদের শোচনীয় ফলাফল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা যৎসামান্য পাসের হার দেখে উদ্বেগের মাত্রা বেড়েছে বৈ কমেনি। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিকেও একসময় এ রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সরকারি কর্মচারীদের মাইনে ও ভাতা বৃদ্ধির ঢালাও বন্দোবস্ত থাকলেও তাঁদের কর্মসংস্কৃতি ফেরানো হয়নি। সরকারি কর্মচারীরা তাঁর কথা শোনেননি, এ কথার উল্লেখ করে স্বয়ং বসুই বলেছেন “কাকে কাজ করতে বলব, চেয়ার টেবিল কে?” সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে।”

এবার আমি ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমার সব রকম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমি কলেজ পড়ানো বা হেডমাস্টার হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে সহপ্রধান শিক্ষক হিসাবে অবসর নি। মেনে নিয়েছিলাম সবাই সবকিছু পায় না। মেটিয়াবুরুজ এলাকার এবিটিএ-র জোনাল সেক্রেটারি যিনি ছিলেন তিনি বলে বলে শিক্ষক নিয়োগ করতেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতেন, অবশ্যই দলদাস। তাঁর এক ভাই আরএসএস এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। নিয়োগে তার প্রতিফলন পড়বেই। ওঁর অবসরের পর যিনি জোনাল সেক্রেটারি হয়ে এলেন তিনি একজন উর্দুভাষী। অথচ মেটিয়াবুরুজে সংখ্যাগুরু মানুষ বাংলাভাষী মুসলিম। তাদের লবি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তৃণমূলের আমলেও আমার সাবঅর্ডিনেট কর্মচারী প্রাক্তন এবিটিএ জোনাল সেক্রেটারি মেয়ে এবং জামাইয়ের চাকরি করে নেয়। হয়তো যোগ্য ছিল।

কিন্তু সর্বশেষ ঘটনাটি আমি বলব তা আমার মনে সংশয় ডেকে আনে। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের বুথ পাশাপাশি দুটি কক্ষে পড়েছিল টালিগঞ্জের মুদিয়ালি এলাকায়। ইলেকশন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২০০-র উপর কোন একটি বুথে ভোটদাতা বেশি থাকলে সেই বুথটিকে দুই ভাগে ভেঙে দিতে হয়। আমি সহ প্রধান শিক্ষক ২০১৭-য় ১০-১১ মাস পর ৩১-শে মার্চ আমার অবসরের দিন নির্ধারিত ছিল। আর আমার সহকর্মী এখনও চাকরী করছে। জানেন, আমার ভাগ্যে পড়েছিল ৮০০ জন ভোট দাতা এবং তার ভাগ্যে মাত্র ৫০০ জন ভোটদাতা। অবশ্য কাজ আমি আগেই গুছিয়ে নিয়ে বাসে ডিসিআরসি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তার আধঘন্টা পর পাশের বুথের ভারপ্রাপ্ত স্কুলে sub-ordinate কর্মচারীটি এলেন। তখনই আমার মনে দৃঢ়বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা জগৎ-এর অনিলায়ন এর মত নির্বাচন দপ্তরেও এদের লবি বেশ জোরদার। এমনকি কর্মচারী নিয়োগ, এসএসসি, বিচার বিভাগ থেকে সব জায়গাতে এদের লবি বেশ জোরদার। অবশ্য বিজেপি/আরএসএস, সিপিএম ইত্যাদি ক্যাডারভিত্তিক দলগুলির বিশেষ দোষ বা গুণ যায় বলুন ষোলআনা বর্তমান; প্রথমেই বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করা।

অনিলায়নের ফলে উচ্চশিক্ষায় মধ্যমেধার ও স্বল্প মেধার বাড়বাড়ন্ত সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় বাম আমলে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গের ভবিতব্য হয়ে গিয়েছিল। এই পরম্পরা ভাঙতে পারার ফলেই বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উৎকর্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে।

 

‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

Post Views: 4,180
Tags: Educationশিক্ষাশিক্ষায় অনিলায়ন
ADVERTISEMENT

Related Posts

হুমায়ুন কবীর : যুগসন্ধিক্ষণের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি
অন্যান্য

হুমায়ুন কবীর : যুগসন্ধিক্ষণের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও একজন বিদগ্ধ বাঙালী বুদ্ধিজীবি

বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি একদিকে আধুনিক শিল্প-সাহিত্যের জগতে বিচরণ করেছেন সবলীলভাবে, পাশাপাশি রাষ্ট্রিক-সামাজিক ক্ষেত্রে লাভ করেছেন ঈর্ষণীয়...

by আমিনুল ইসলাম
July 18, 2025
আমাদের জ্ঞানচর্চা আজও দ্বিখণ্ডিত, পক্ষপাতদুষ্ট ও সাম্প্রদায়িকতায় পরিপূর্ণ
অন্যান্য

আমাদের জ্ঞানচর্চা আজও দ্বিখণ্ডিত, পক্ষপাতদুষ্ট ও সাম্প্রদায়িকতায় পরিপূর্ণ

আমাদের পাঠ্যক্রমে যে পাঠ্যসূচি পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে, সেখানে অখণ্ড বাঙালি চেতনা কোথায়? অবিভক্ত বাংলায় ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত...

by আমিনুল ইসলাম
June 25, 2025
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বৌদি কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক আদৌ কি প্রেমের ছিল?
অন্যান্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বৌদি কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক আদৌ কি প্রেমের ছিল?

লিখেছেনঃ পুলক চট্টোপাধ্যায় “ফুলের তােড়ার ফুলগুলিই সবাই দেখিতে পায়, যে বাঁধনে তাহা বাঁধা থাকে তাহার অস্তিত্বও কেহ জানিতে পারে...

by অতিথি লেখক
July 18, 2025
কাদম্বরী দেবী
অন্যান্য

কাদম্বরী দেবীঃ রবী ঠাকুরের নতুন বউঠানের কিছু অজানা তথ্য

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম ‘কুশারী বংশের পঞ্চানন ঠাকুর পাথুরেঘাটা, জোড়াসাঁকো ও কয়লাঘাটের ঠাকুর গােষ্ঠীর আদি পুরুষের অন্যতম। পঞ্চাননের পুত্র...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
June 25, 2025

Facebook Page

নবজাগরণ

ADVERTISEMENT
No Result
View All Result

Categories

  • English (9)
  • অন্যান্য (11)
  • ইসলাম (28)
  • ইসলামিক ইতিহাস (23)
  • ইহুদী (3)
  • কবিতা (37)
  • খ্রিস্টান (6)
  • ছোটগল্প (6)
  • নাস্তিকতা (18)
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (24)
  • বিশ্ব ইতিহাস (26)
  • ভারতবর্ষের ইতিহাস (196)
  • রাজনীতি (38)
  • সাহিত্য আলোচনা (72)
  • সিনেমা (18)
  • হিন্দু (16)

Pages

  • Cart
  • Checkout
  • Checkout
    • Confirmation
    • Order History
    • Receipt
    • Transaction Failed
  • Contact
  • Donation to Nobojagaran
  • Homepage
  • Order Confirmation
  • Order Failed
  • Privacy Policy
  • Purchases
  • Services
  • লেখা পাঠানোর নিয়ম
  • হোম

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi

©Nobojagaran 2020 | Designed & Developed with ❤️ by Adozeal

Login to your account below

Forgotten Password?

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Don't have an account yet? Register Now
1
Powered by Joinchat
Hi, how can I help you?
Open chat
wpDiscuz
0
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
| Reply