যেদিন তোমার প্রথম আগমনের বার্তা শুনেছিলাম,
মনের মাঝে কি যে আনন্দ হয়েছিল
তা প্রকাশ্য যোগ্য নয়।
দিনটি ছিলো দীপাবলির দিন, দীপাবলির
পুন্যক্ষণে চারিদিকে প্রদিপ্তমান আলোক শিখা
যেমন করে সব অন্ধকার, সব কালো,
সব নৈরাশ্যকে মুছে দিয়ে –
দিকে দিকে আলোর বার্তা ছড়িয়ে দেয়,
ঠিক তেমন করেই তোমার আগুয়ানের ছটা
যেনো আমাদের গৃহের সব নৈরাশ্য, কালো,
গ্লানিকে মুছে দিয়ে বর্ণময় করলো সমস্ত ঘর কে।
যেমন করে একটি মোমবাতি সমস্ত গৃহের অন্ধকারকে
এক নিমিষে গ্রাস করার ক্ষমতা রাখে,
তুমি যেনো আমাদের কাছে ঠিক তেমনি।
তারপর শুরু হলো তোমার ভূমিষ্ঠ হবার প্রতীক্ষা।
দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর, এক এক করে পার করে,
এভাবে প্রত্যাহিকতায় বেড়ে উঠে,
তুমি এলে দীপ্যমান আননে আমাদের জীবনে।
দিনটি ছিল ১২ই জুন, সময় – প্রভাত ৮:১০
তুমি ভূমিষ্ঠ হলে, সেদিন যেনো আনন্দের সব সীমা অতিক্রম করে
এক অনাবিল সুখ অনুভব করলাম আমার প্রতিটা শিরায় শিরায়।
আমদের সাদা – কালো জীবনে তোমার পদচারণে
সবকিছুকে রঙিন করে তুললো।
তাই আমি ভালোবেসে তোমার নাম দিলাম ‘রঙ’।
তোমাকে নিয়ে শুরু হলো –
আমার , আমাদের নতুন পথ চলা !
এই পথে হাটতে চাই দূর, বহুদূর, আরো দূর।
আমার আশির্বাদ তুমি বড়ো হও,
হে নবাগত বেড়ে ওঠো নতুন ভাবে,
সৃষ্টি করো নতুন কিছু, তোমার নাম ছড়িয়ে যাক
দিকে – দিগন্তে, দেশে তথা বিদেশে, এই আমার একান্ত কাম্য।
রচনা কাল – ২৬/৭/২০২০
উৎসর্গ- আমার নবাগত ভাইপো, শ্রী ময়ূখ ঘোষ কে।