লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে চার্লস ডারউইন তাঁর বিবর্তনবাদের মতবাদ পেশ করেন এবং তিনি দাবী করেন যে মানুষের পূর্বপুরুষ ছিল বাঁদর বা শিম্পাজী, বিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে মানুষে পরিণত হয়েছে। ডারউইন যে মতবাদ খাড়া করেছেন তার ভিত্তি হল সফরের পর্যবেক্ষণ। তিনি দাবী করেন, তাঁর সফরকালীন সময়ে বনজঙ্গল ও সমুদ্রে তিনি যেসব পর্যবেক্ষণ করেন সেসব থেকে পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে তিনি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিভিন্ন নতুন বিষয় লক্ষ্য করেন। তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, পৃথিবীর প্রতিটি জন্তু স্বাভাবিক ও প্রকৃ্তিগতভাবেই বিবর্তিত ও উন্নীত হয়েছে। বস্তু ও প্রানী সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে তার প্রকৃ্তি আপনাআপনিই বদলে ফেলেছে। জলে স্থলে, সমুদ্র ও জঙ্গলে যেসব বড় প্রানী আজকাল দেখতে পাওয়া যায় সেসব আগে ছিল অন্যরকম। বুকে ভর দিয়ে চলা প্রাণী হাজার হাজার বছরে চতুস্পদ প্রাণীতে উন্নীত হয়। আবার চতুস্পদ প্রানী দ্বপায়ী প্রাণীতে উন্নীত হয় এর বহু বছর পর। এর আগে জলজ প্রাণী স্থলে আসলে বিবর্তনের মাধ্যমে তার আকৃতি ও প্রকৃ্তি বদলে যায়। এটাই ছিল ডারউইনের মতবাদ।
কিন্তু ডারউইন যে মতবাদ খাড়া করেছিলেন তার পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি ছিল না। আন্দাজের উপর ভিত্তি করে তাঁর মতবাদ খাড়া করেছিলেন। তিনি বস্তুর প্রকৃ্তি, এর রাসায়নিক প্রক্রিয়া, সচল প্রাণীর প্রক্রিয়া, এদের উপাদান সমুহের বিন্যাস, এদের দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি বিষয়ে গভীর পরীক্ষা নীরিক্ষা করেননি। কেবলমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে তাঁর মতবাদ খাড়া করেছিলেন। ফলে বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নেই তাঁর ভ্রান্ত মতবাদ মুখ থুবড়ে পড়ে।
এক সময় নাস্তিক্যবাদীরা যখন জগৎসৃষ্টির রহস্য নিয়ে দিশেহারা হয়েছিলেন এবং সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে কোন মনপুতঃ থিওরী পেশ করতে পারছিলেন না তখন চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতবাদ তাঁদের প্রাণে নতু্নভাবে চেতনার সঞ্চার হল। চার্লস ডারউইনের এই মতবাদ আর দেরী না করে লুফে নিলেন। কিন্তু তাঁদের এই উৎফুল্লতা মোটেই শোভনীয় নয় কারণ চার্লস ডারউইন নিজে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিলেন। (দেখুন অরিজিন অফ স্পেসিস, চার্লস ডারউইন, পৃষ্ঠা-৪৫০)
ডারউইন তাঁর গবেষণা শুরু করেন সফরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। তাঁর জন্ম হয় ১৮০৯ সালে। তাঁর এই ৭১ বছরের জীবনে মাত্র একবার লণ্ডনের বাইরে যান। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। তিনি দক্ষিন আমেরিকা ও এর উপকুল অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপসমূহে ভ্রমণকালে তিনি মানুষের গঠন ও কাঠামোর সঙ্গে বনমানুষ, বাঁদর ও দ্বীপপুঞ্জে এমন সব প্রাণী দেখেছিলেন যেসব তিনি এর আগে কখনোই দেখেননি। তিনি সফরকালীন সময়ে যা কিছু দেখেন, বলা হয় তাতে জীবনের বৈচিত্র সম্পর্কে তাঁর ধ্যান ধারণা বদলে দেয়।
মজার কথা হল, মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে ইংল্যাণ্ডে ফিরে এসে তিনি আর কখনো সারা জীবনে আর সফরে যাননি। একবার সফর করেই তিনি বিশ্ব-বৈচিত্রের রহস্য বুঝে ফেললেন এবং এই বোঝার ফলে তাঁর বাড়ির একটি কুঠুরীতে সফরের পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তি করে তাঁর থিওরী প্রতীষ্ঠা করার জন্য সারা জীবন অতিবাহিত করেন। অথচ আল বিরুনী, ইবন বতুতা, ফা হিয়েন সারা পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেও এমন কোন প্রাণীর মধ্যে বৈচিত্র বনমানুষ ও মানুষের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে বের করে একটাকে অপরটির পূর্বপু্রুষ বলে দাবী করলেন না পক্ষান্তরে ডারউইন সাহেব একটি চোর কুঠুরীতে বসে মানবসৃষ্টির রহস্য অনায়াসে বলে দিতে পারলেন। যদিও তৎকালীন যুগে বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না যে একটি চোর কুঠুরীতে বসে বসে হাজারো পর্দার অভ্যন্তরে নিরীক্ষণ করতে পারেন অর্থাৎ শতাব্দী-শতাব্দীর অগ্র পশ্চাতের পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। একটা মহাদেশে ছোট অংশ এবং তার আশেপাশের কিছু দ্বীপ ভ্রমণকারী একজন ব্যাক্তি এ দাবী করেন যে, তিনি পৃথিবীর বৈচিত্র এবং বিশ্বভূখণ্ডে বিরাজমান প্রাণীদের প্রকৃ্তি সম্পর্কে তিনি সবকিছু জেনে গেছেন তাহলে তাকে চরমতম উন্মাদ বা পাগলই বলতে হবে। কিন্তু নাস্তিক্যবাদীরা কোন বিরোধীতা না করেই এই থিওরীকে লুফে নিলেন।
সমালোচনা
ডারউইন এবং তাঁর অনুসারীরা যে পর্যবেক্ষনের কথা বলেন তা হল সব থেকে বড় ধোকা। এই ধোকাবাজীর মাধ্যমে সারা দুনিয়াকে তারা বোকা বানিয়ে রেখেছে বহুকাল ধরে। কেননা, এই বৈচিত্রময় পৃথিবীর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রাণীর মৌলিকতায় কখনো কোন পরিবর্তন আসেনি। ঝিঁ ঝিঁ পোকা হাজার বছর আগেও ঝিঁ ঝিঁ পোকা ছিল। টিকটিকির চেহরা হাজার বছর আগেও আজকের টিকটিকির মতোই ছিল । তাদের দেহের মধ্যে সামান্যতমও পরিবর্তন হয়নি। উদ্ভিদ-গাছ, প্রাণী, মানুষ হাজার হাজার, বরং লক্ষ লক্ষ বছরের অবসরেও তাদের মৌলিকতায় কোন পরিবর্তন হয়নি, যেমন ছিল ঠিক তেমনই থেকে গেছে। কখনো এমন হয়নি যে একটি প্রাণী থেকে উন্নীত হয়ে অন্য প্রাণীতে রুপান্তরিত হয়েছে।
জীবাশ্ম বিজ্ঞান ও ডারউইনের মতবাদঃ জীবাশ্ম আবিস্কার হওয়ার পর ডারউইনপন্থীরা আশা করেছিলেন যে এর মাধ্যমে তাঁদের মতবাদ সত্য বলে প্রমাণিত হবে। কিন্তু জীবাশ্ম বিজ্ঞানের উপর গবেষণা করার পর উল্টো ডারউইনের মতবাদ আরষও বেশী মৃত্যুমুখে পতিত হল । গবেষণার ফলাফল গেল ডারউইন মতবাদের বিরুদ্ধেই। দৃষ্টান্তস্বরুপ একটি ব্যাঙকে ধরা যাক। ২৫০ মিলিয়ন বছর আগের পুরোন জীবাশ্ম প্রমাণ করেছে যে এখনকার ব্যাঙ ও তখনকার ব্যাঙের মধ্যে কোন ফারাক পরিলক্ষিত হয়নি।
১৫০ বছর অথবা তার আগে পৃথিবীর বিভিন্ন মৃত্তিকা গর্ভে প্রাপ্ত লক্ষ লক্ষ জীবাশ্ম প্রমাণ করে যে মাছ সব সময় মাছই ছিল। পোকা মাকড় সব সময় পোকামাকড়ই ছিল। পাখি সর্বদাই পাখিই ছিল। বুকে ভর দিয়ে চলা প্রাণী বিকে ভর করে চলে আসছে অনন্তকাল থেকেই। কিন্তু এমন একটি জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে সক্ষম হননি যে, সেই জীবাশ্ম দ্বারা প্রমাণ হয় বা সামান্য ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে প্রাণীর শরীরে কোনরকম মৌ্লিক পরিবর্তন এসেছে। এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি প্রমাণ হয় যে বুকে হাঁটা প্রাণী পাখিতে পরিণত হয়েছে বা কোন বানরে পরিণত হয়ে ক্রমে বনমানুষ থেকে মানুষে রুপান্তরিত হয়েছে।
সুতরাং চার্লস ডারউইনের চিন্তাধারা এক অদ্ভুত ও অমূলক চিন্তাধারা। যার পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তাঁর মতবাদ এতই নিকৃষ্ট পর্যায়ের যে শেষ পর্যন্ত তিনি মানু্ষের মতো সভ্য প্রাণীকে বানরের কাতারে সামিল করেছেন। ডারউইন সাহেব দেখেছেন যে মানুষকে দেখতে কিছুটা বানরের মতো তাই মানুষ বানরের পূর্বপুরুষ।
কি অদ্ভুত কল্পনা! কি অমূলক ও ভ্রান্ত তাঁর থিওরী। তিনি আমাদের পূর্বপুরুষকেও চিনতে পারলেন না। তিনি মানুষ ও জন্তু জানোয়ারের মধ্যে সামান্য পার্থক্যও নিরুপন করতে পারলেন না। মানুষের আকৃ্তির সঙ্গে বানরের আকৃ্তির সামান্য মিল থাকলেও কোনক্রমেই বলা যায় না যে বানর মানুষের পূর্বপুরুষ। মানুষের সাথে বানরের দৈহিক ও অস্থিমজ্জার সাদৃশ্যের জন্য একথা প্রমাণ হয় না যে তারা একটাই প্রজাতির প্রাণী। কেননা, অনেক প্রাণীই এমন আছে যাদের প্রকৃ্তভাবে স্বভাব, বুদ্ধি ও আকৃ্তি একই রকমের। যেমন, কড মাছ ও হেডেক মাছ একই রকমের সামুদ্রিক মাছ, তারা একই রকমের মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করে এবং একই রকমের শরীররের অধিকারী। তবুও কেউ বলে না যে তারা একটি অপরটির পূর্বপুরুষ। বাবুই পাখি ও চড়ুই পাখির আকৃ্তি একই রকমের। তাদের অস্থি মজ্জা কেটে পরীক্ষা করলে তাহলে কোন পার্থক্যই পাওয়া যাবে না। তাদের স্বভাব ও কার্যপ্রণালীর মাধ্যমে পার্থক্য নিরুপন করা হয়। কোন বাবুই্ পাখির বাচ্চাকে যদি চড়ুই পাখির ঝাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বাবুই পাখি কখনো চড়ুই পাখিকে অনুসরণ করে না। সৃষ্টির আদি কাল থেকেই তারা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। তবুও কেউ বলে না যে একটি অপরটির পূর্বপুরুষ।
এই বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে অনেক প্রাণী আছে যারা দেখতে একটি অপরটির মতো। যেমন, এলিগেটর ও কুমির একই আকৃ্তির, পাবতা মাছ ও বোয়াল মাছ একই রকমের, শোল মাছ ও টাকি মাছ, কবুতর ও ঘুঘু, টিকটিকি ও গুইসাপের আকৃতি দেখতে একই রকমের। এদের সাদৃশ্যের মধ্যে বিশেষ কোন ফারাক নেই । তাহলে ডারউইনপন্থীরা কি কি বলবেন যে বোয়াল মাছ পাবতা মাছের পূর্ব পুরুষ, এলি্গেটর কুমিরের পূ্র্বপুরুষ, শোল মাছ টাকি মাছের পূর্বপুরুষ, কবুতর ঘুঘু পাখির পূ্র্বপুরুষ, টিকটিকি গুইসাপের পূ্র্বপুরুষ?
এরকম ধরণের কথা তো রাঁচীর পাগলা গারদের কোন উন্মাদ-পাগলেরাও বলে না। কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর পাগলের সর্দার চার্লস ডারউইন বলেছেন। আর নাস্তি্ক্যবাদীরা তা বিনাবাক্য প্রয়োগে একলাফে লুফে নিলেন। তাদের মনে এই প্রশ্নটুকুও জাগল না এলিগেটর ও কুমিরের মধ্যে, পাবতা মাছ ও বোয়াল মাছের মধ্যে, শোল মাছ ও টাকি মাছের মধ্যে, টিকটিকি ও গুইসাপের মধ্যে যতটুকু সাদৃশ্য আছে তার থেকেও বেশী বৈসাদৃশ্য বানর ও মানুষের মধ্যে রয়েছে। বানর একধরণের কুশ্রী, কদাকার, খর্ব প্রকৃ্তির প্রাণী। তাই তাদের পূর্বপুরুষ আরও কুশ্রী ও কদাকার হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই এই কুশ্রী কদাকার প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে এতো উন্নত, সুন্দর, সুস্থ, লম্বাকৃ্তি মানুষে পরিণতয় হওয়া নিতান্তই অবৈজ্ঞানিক ও যুক্তিবাদের বিরোধী।
মানুষের পূর্বপুরুষ যে বানর ছিল না তার প্রমাণ পাওয়া যায় উভয়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে। মানুষের বৃদ্ধাঙ্গুলি সচল ও সক্ষম। খাদ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে দুনিয়ার যাবতীয় কঠিন কাজ এই বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা সম্পন্ন হয়। পক্ষান্তরে বানরের বৃদ্ধাঙ্গুলি অচল এবং অকর্মন্য। বিজ্ঞানে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে অচল অকর্মন্য অথবা লয়প্রাপ্ত বস্তু থেকে সচল, সক্ষম এবং বর্দ্ধিষ্ণু বস্তুতে পরিণত হতে পারে না। মানুষের আকৃ্তি লয় পেতে পেতে বানরের আকৃ্তিতে পরিণত হওয়া হয়তো সম্ভব হতে পারে কিন্তু কদাকার বানর মানুষে পরিণত হতে পারে না।
জীববিজ্ঞানে ব্যাবহার অব্যাবহারের সূত্রে বলা হয়েছে যে,
“যদি কোন অঙ্গ দীর্ঘদীন অব্যাবহার করা হয় তাহলে তা ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। অপরদিকে অঙ্গকে ব্যাবহারের ফলে সুঠাম হয় ও সবল হয়।”
যদি এই সূত্রকে আমরা বিবর্তনবাদের উপর প্রয়োগ করি তাহলে চার্লস ডারউইনের মতবাদের বালুকাপ্রসাদ ক্ষণিকের মধ্যে ধুলিস্যাত হয়ে যায়।
বানরের বৃদ্ধাঙ্গুলি অচল ও অক্ষম। পক্ষান্ত্রে মানুষের বৃদ্ধাঙ্গুলি সচল ও সক্ষম। তাহলে বানর কিভাবে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলি দীর্ঘদিন ব্যাবহার করে সক্ষম ও সবল মানুষে পরিণত হয়ে গেল? ব্যাবহার অব্যাবহারের সূত্র যদি সত্য বলে মেনে নেওয়া যায় তাহলে এর উত্তর বস্তুবাদী নাস্তিকদের দিতেই হবে। যারা ডুবন্ত মানুষের খড়কুটো আশ্রয়ের মতো ডারউইনের মতবাদ আঁকড়ে ধরে আছেন।
ব্যাবহার অব্যাবহারের সূত্র অনুযায়ী মানুষ দীর্ঘদীন নিজের আঙ্গুল অব্যাবহারের জন্য অক্ষম হতে পারে কিন্তু যা একেবারেই অক্ষম যা কোনদিন ব্যাবহারই করা হয়নি তা সক্ষম কোনদিনই হতে পারে না।
সুতরাং চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতবাদ একবিংশ শতাব্দীর একটি ভ্রান্ত মতবাদ।
নিবর্তনবাদ সম্পর্কে আরও জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি পড়ুন,
তুরস্কের জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক হারুন ইয়াহইয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচয়
গবেষণায় প্রমাণিত : ডারউইনের বিবর্তনবাদ মিথ্যা : মানুষ বানর সন্তান নয়