• মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
Friday, August 22, 2025
নবজাগরণ
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ - জ্ঞান অর্জনের বিস্বস্থ সংস্থা
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ - জ্ঞান অর্জনের বিস্বস্থ সংস্থা
No Result
View All Result

অমর স্বাধীনতা সংগ্রামী ফজলে হক খায়রাবাদী

নবজাগরণ by নবজাগরণ
June 26, 2020
in ভারতবর্ষের ইতিহাস
0
আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী

চিত্রঃ আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী, Image Source: roar.media

Share on FacebookShare on Twitter

 

মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম

ফজলে হক খায়রাবাদী (রহঃ) ১৭৯৭ খ্রীষ্টাব্দে অযোধ্যার অন্তর্গত ‘খায়রাবাদ’ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফজলে ইমাম ছিলেন সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ জ্ঞান সাধকদের মধ্যে অন্যতম ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন। ফজলে ইমাম ছিলেন দিল্লী শহরের ‘সদরুস সুদুর’ বা সরকারের প্রধান আইন ব্যাখ্যাতা। পিতার যত্নে ফজলে হক খায়রাবাদী অতি অল্প বয়সেই কুরআনের হাফেজ ও ইলমে মা’লাকুত (ন্যায়শাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও প্রাচীন পদার্থবিদ্যা ইত্যাদি) প্রভৃতিতে একজন বিজ্ঞ আলেমে পরিণত হন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিস দেহলবী (রহঃ) এর কাছে হাদীস ও দ্বীনিয়াত শিক্ষা করেন। এই সময় আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদীর অসাধারণ ধী-শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।

সেই সময় শিয়াদের প্রচণ্ড উৎপাত শুরু হয়েছিল। সেজন্য শাহ আব্দুল আজীজ দেহলবী (রহঃ) শিয়াদের কয়েকটি মতবাদ খণ্ডনে ‘তোহফায়ে এসনা আশারিয়া’ রচনা করেন, ফলে সারা মুসলিম জাহানের সর্বত্র সাড়া পাড়ে যায় । ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যেই সর্বাপেক্ষা অধিক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সেসময় শিয়াদের বিখ্যাত আলেম মীর বাকের সহ একদল শিয়া আলেম দিল্লীতে শাহ সাহেবের সঙ্গে মুনাযারা (তর্কযুদ্ধ) করার জন্য আসেন। মীর বাকের উটের পিঠে কিতাব-পত্র বোঝাই করে দিল্লীতে শাহ সাহেবের আস্তানায় আগমন করেন। শাহ সাহেব শিয়া মেহমানদের খেদমত করার জন্য কয়েকজন ছাত্রকে নিয়োগ করেন । এই ছাত্রদের মধ্যে অল্পবয়সী আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদীও ছিলেন। সন্ধার পর খায়রাবাদী মেহমানদের খিদমতে উপস্থিত ছিলেন। মীর বাকের নানা কথার মাঝে খায়রাবাদীর পড়াশুনার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। কথায় কথায় ‘উফুকুল মুবীন’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থের দুইও একটি জটিল বিতর্ক সম্পর্কে আলোচনা হতে লাগল। আল্লামা খায়রাবাদী এই জটিল প্রশ্নের শুধু মীমাংশা করে দিলেন তা নয়, নতুন কয়েকটি প্রশ্নের অবতারণাও করলেন। প্রসঙ্গত তিনি এই কথাও প্রমাণ করে দিলেন যে, উক্ত গ্রন্থের মূল গ্রন্থকার সমস্ত বিষয়ে ভূল সিদ্ধান্ত করেছেন। আল্লামা খায়রাবাদীর এই অসাধারণ পাণ্ডিত্ব দেখে শিয়া আলেম মীর বাকের একেবারে হতভম্ভ হয়ে গেলেন। তিনি মনে মনে ভাবতে লাগলেন, শাহ আব্দুল আজীজের একটি বালক শাগরীদের জ্ঞান গরিমার যদি এই পরিচয় পাওয়া যায় তাহলে খোদ শাহ সাহেবের সঙ্গে বিতর্ক (মুনাযারা) করা বৃথা। এর চেয়ে পালিয়ে মুখ রক্ষা করাই উত্তম হবে। জনসমক্ষে হেরে অপমানিত হওয়ার চেয়ে পালিয়ে বাঁচাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সকাল বেলায় শাহ সাহেব মেহমানদের খোঁজ খবর নিতে এলেন, তখন দেখলেন মেহমান খানা শূন্য। সকলেই পলায়ন করেছে। অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন, সন্ধার দিকে খায়রাবাদীর সঙ্গে মীর বাকেরের একদফা আলোচনা হয়েছিল। তখন শাহ সাহেব বুঝতে পারলেন, খায়রাবাদীর ভয়ে মীর বাকের পালিয়েছে । তখন তিনি প্রিয় শাগরীদকে ডেকে তিরস্কার করলেন এবং সম্মানিত মেহমানদেরকে ভয় দেখানোর জন্য শাসন করলেন। (তাযিরায়ে উলামায়ে হিন্দ)

আল্লামা খায়রাবাদী বাল্যকাল থেকেই দিল্লীর তদানীন্তন শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবি ও আলেমদের সংসর্গে অতিবাহিত হয়েছিল। তিনি যৌবনের প্রারম্ভে পিতার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। অসাধারণ মেধা ও প্রজ্ঞা প্রদর্শন করে তিনি অতি অল্পদিনের মধ্যেই ভারতীয় উপমহাদেশের আলেম সমাজের শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত হন।

আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদীর পিতা ফাজলে ইমাম ইন্তেকাল করলে তিনি দিল্লীর শেরেস্তাদারের চাকরী শুরু করেন। দিল্লীর পরিবেশ ছিল কাব্য ও সাহিত্য আলোচনায় মুখর। মির্জা গালিব, হাকিম মুমিন খান, মুফতী সদরুদ্দিন খান, আযুরদাহ, ইবরাহীম যওক প্রমুখ শিল্পী সাহিত্যিকদের সাথে আল্লামা খায়ারাবাদীর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। উর্দূ সাহিত্যের অমর কাব্যগ্রন্থ ‘দীওয়ানে – গালিব’ এর পাণ্ডুলিপি পরিমার্জিত ও সংশোধন করে সর্বাঙ্গসুন্দর দীওয়ানে রুপান্তরিত করার জন্য কবি মির্জা গালিব সেটিকে আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদীর হাতে সমর্পন করেন। গালিবের এই অমর দীওয়ানের প্রতিটি পৃষ্ঠায় আল্লামা খায়রাবাদীর সমঝদার হাতের  স্পর্শ বিদ্যমান। মির্জা গালিব আল্লামা খায়রাবাদীর এই পরিশ্রমকে উচ্ছাসিত ভাষায় স্বীকার করেছেন। (গুলেরা’না, পৃষ্ঠা-৩১২) মির্জা গালিবের পত্রাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পত্র আল্লামা খায়রাবাদীকে লিখিত হয়েছিল।

আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী চাকরী জীবনের শেষ পর্যন্ত ‘সদরুস সুদুর’ পদে উন্নীত হয়েছিলেন। কিন্তু জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞানীগুনির সহচর্যই ছিল তাঁর সর্বাপেক্ষা প্রিয়। চাকরী জীবনেও তিনি বিশেষ যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। চাকরী জীবনে থাকাকালীন তিনি কখনো জ্ঞান-চর্চা থেকে সরে থাকেন নি। তিনি ১২টি জ্ঞানগর্ভ পুস্তক রচনা করেন যা তাঁর গভীর প্রজ্ঞার সাক্ষী হয়ে এখনও পর্যন্ত বেঁচে আছে। এইগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি পুস্তক দেশে-বিদেশে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চতর স্তরে পাঠ্যতালিকাভূক্ত। তাঁর প্রত্যকটি রচনায় ভাষার চমৎকারিত্বে ও বিষয়বস্তুর আলোচনায় একক স্থানের অধিকারী হয়ে রয়েছে। বিশেষতঃ মানতিক ও হিকমত বিষয়ে তাঁর গ্রন্থগুলি এমন গভীর তত্ত্ব ও তথ্যপূর্ণ যে, তার প্রতিটি ছত্র পাঠককে এক নতুন বিস্ময়ের জগতে নিয়ে যায়।

‘আসসাওয়ারাতুল হিন্দিয়া’ ও ‘কাসিদায়ে ফিতনাতুল হিন্দ’ পুস্তক দুটি আল্লামা খায়রাবাদীর নির্বাসিত জীবনের বিলাপ-লিপি। আরবী ভাষার কয়েকটি ক্লাসিক ব্যাতীত এও ধরণের গদ্য ও পদ্যের নমূনা বড় একটা দেখা যায় না । আন্দামানের কঠোর বন্দী জীবনে হৃদয়ের উচ্ছ্বাস কাব্যে ও গানে প্রকাশিত হত। কখনো কখনো সেগুলি অন্যরা লিখে রাখতেন। লেখার মত কোন সরঞ্জাম পাওয়া যেত না । কাপড়ে, টুকরো কাগজে, কয়লা বা সামান্য পেন্সিল দ্বারা লিখে রাখা হত।

‘আসসাওয়ারাতুল হিন্দিয়া’ সম্পর্কে ‘সিয়ারুল উলামা’ গ্রন্থে বলা হয়েছেঃ- ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দে স্বাধীনতা সংগ্রামে আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করা ওয়াজীব বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন। এই অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মুকাদ্দামা করা হয় এবং বিচারে তাঁকে যাবজ্জীবন দণ্ডিত করে নির্বাসন জীবন যাপন করার জন্য ১৮৫৯ খ্রীষ্টাব্দে আন্দোমানের দ্বীপে পাঠানো হয় এবং ১৮৬১ খ্রীষ্টাবে তিনি সেই অভিশপ্ত দ্বীপেই মৃত্যুবরণ করেন।

মুফতী ইনায়েত আহমদ কাকুরী আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদীর বহু পূর্বেই আন্দামানে নির্বাসিত হয়েছিলেন। নির্বাসিত জীবনে তিনি ‘তাকবীমুল বুলদান’ নামক গ্রন্থের অনুবাদ করে ইংরেজ রাজ-কর্মচারীর অনুগ্রহ লাভ করেছিলেন এবং তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। আন্দামান থেকে বিদায়ের সময় আল্লামা ফজলে হক খায়রাবাদী কাফনের কাপড়ের টুকরো বস্ত্র এবং কিছু ছেঁড়া কাগজে কয়লা দিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এবং বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলেন যে, এগুলি যেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র মাওলানা আব্দুল হক খায়রাবাদীর হাতে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। এই কাফনের কাপড় ও ছেঁড়া কাগজের সমষ্টিই ‘আসসাওয়ারাতুল হিন্দিয়া’ ও ‘কাসিদাতু ফিতনাতিল হিন্দ’ নামক দুটি পুস্তক।

বৃদ্ধ মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদীকে আন্দামানের কঠোর বন্দী জীবনে যে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছিল তা ‘আসসাওয়ারাতুল হিন্দিয়া’ পুস্তকের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় তার বেদনা অনুরণিত হয়েছে। প্রথম বছর মাওলানাকে সাধারণ কয়েদী শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত করে রাখা হয়। আন্দামানের তদানীন্তন ডেপুটি জেলার প্রাচ্য জ্ঞান বিজ্ঞানের বিশেষ অনুরাগী ছিলেন। বিশেষতঃ উপমহাদেশের জ্যাতির্বিদ্যা সম্পর্কে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। জেলার সাহেবের কাছে জ্যাতির্বিদ্যা সম্পর্কিত একটা পুরাতন ফারসী পাণ্ডুলিপি ছিল। এই পুস্তকটির পাঠোদ্ধারের জন্য তিনি সেটিকে জনৈক শিক্ষিত কয়েদীর হাতে সমর্পণ করেন। সেই কয়েদী আল্লামা খায়রাবাদীর জ্ঞান-গরিমা সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত ছিলেন। তিনি পুস্তকটি মাওলানাকে দেন। নিঃসঙ্গ কারাজীবনে জ্ঞান-চর্চার একটু সুযোগও ছিল তাঁর জন্য সান্তনার উৎস। তিনি অতি যত্নের সঙ্গে পুস্তকটি নকল করলেন এবং স্থানে স্থানে প্রয়োজনীয় টীকা ব্যাখ্যা লিখে দিলেন। জেলার সাহেব টীকা ও ব্যাখ্যা পাঠ করে এত মুগ্ধ হলেন যে, তৎক্ষণাৎ মাওলানার দর্শন লাভের জন্য ব্যারাকে ছুটে এলেন। মাওলানা তখন ব্যারাকে ছিলেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখা গেল, কাঁধে কোদাল ও বগলের নীচে টুকরী নিয়ে সাধারণ কয়েদীর সঙ্গে মাওলানা ব্যারাকের দিকে ফিরে আসছেন। এই দৃশ্য দেখে জ্ঞান পিপাসু জেলারের চক্ষু অশ্রুতে ভরে উঠল। তিনি একটু এগিয়ে এসে মাওলানার হাত থেকে কোদাল ও টুকরী ফেলে দিলেন। অশ্রুভারাক্রান্ত কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন, “হায়! যে হাতের স্পর্শ পেয়ে সোনার কলম ধন্য হত, সেই হাতেই কিনা আজ টুকরী-কোদাল উঠেছে। সেদিন থেকে মাওলানাকে কায়িক শ্রম থেকে অব্যাহতি দান করে লেখাপড়ার কাজে নিয়োজিত করা হয়। গুণগ্রাহী ইংরেজ জেলার মুক্তির জন্যও বিশেষভাবে সরকারের নিকট সুপারিশ করেছিলেন। দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের তরফ থেকেও সরকারের নিকট বার বার মাওলানার মুক্তির জন্য আবেদন-নিবেদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১৮৬১ খ্রীষ্টাব্দে মাওলানার মুক্তির আদেশ হল। মাওলানা খায়রাবাদীর পুত্র মাওলানা শামসুল হক খায়রাবাদী আদেশটি হাতে নিয়ে আন্দামান রওয়ানা হলেন। অভিশপ্ত দ্বীপে অবতরণ করেই দেখতে পেলেন, একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর পিছনে সমস্ত আন্দামানের জনগণ একত্র হয়ে শোক মিছিল করে চলছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন যে, সেটা মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদীর জানাযা। শেষ পর্যন্ত মাওলানা শামসুল হক খায়রাবাদীও শোকসন্তপ জনতার পিছনে মিছিলে শরীক হলেন এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের এই অমূল্য নিধি আন্দামানে অভিশপ্ত দ্বীপে নিজ পিতাকে সমাহিত করে দেশে ফিরে এলেন।

‘আসসাওয়ারাতুল হিন্দিয়া’ পুস্তকটির পাঠোদ্ধার করে তার কতকগুলি নকল কপি প্রস্তুত করা হল এবং সেগুলি বিভিন্ন স্থানে গোপনে পাঠানো হল। উপমহাদেশের সংগ্রামী আলেম সমাজ, বিশেষতঃ দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমগণ পুস্তিকাটির বিপুল সংখ্যক নকল করে প্রচার করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৪১ খ্রীষ্টাব্দে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিশেষ আগ্রহে মাওলানা আদবুশ শাহেদ খান শিরওয়ানী পুস্তকটির উর্দূ অনুবাদ করেন এবং বিজনৌরের বিখ্যাত উর্দূ অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘মদীনার’ সত্বাধিকারী মৌলবী মজিদ হুসাইন মূল আরবী সহ পুস্তকটির প্রকাশ করেন। বলা বাহুল্য, পুস্তকটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই তা ইংরেজ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং প্রকাশক এবং অনুবাদককে অনেক নির্যাতন ভোগ করতে হয়।

 

ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন

১) শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ): এক ঐতিহাসিক পটভূমি

২) সৈয়দ আহমদ শহীদ ব্রেলভী ও ভারতে ওহাবী আন্দোলন

৩) চেপে রাখা মোপলা বিদ্রোহের অজানা ইতিহাস

৪) বাংলার বীর তিতুমীরের অজানা ইতিহাস

৫) নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোসের রাজনৈতিক গুরু মাওলানা উবাইদুল্লাহ সিন্ধীর রাজনৈতিক অভিযান

Post Views: 4,903
Tags: Fazl e Haq KhairabadiHistoryWahabi Movementইতিহাসফজলে হক খায়রাবাদীস্বাধীনতা সংগ্রাম
ADVERTISEMENT

Related Posts

গোপাল পাঁঠা : ইতিহাসের অন্ধকারে এক বিতর্কিত চরিত্র
ভারতবর্ষের ইতিহাস

গোপাল পাঁঠা : ইতিহাসের অন্ধকারে এক বিতর্কিত চরিত্র

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম কলকাতার বউবাজারের মঙ্গলা লেনে জন্মেছিলেন গোপাল পাঁঠা ওরফে গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। পারিবারিক পেশা ছিল পাঁঠার...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
August 18, 2025
সুলতানি যুগের ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের নথি ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান
ভারতবর্ষের ইতিহাস

সুলতানি যুগের ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের নথি ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম গজনীর মাহমুদ ও মহম্মদ ঘোরীর ধারাবাহিক ও সফল সামরিক অভিযানের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
August 9, 2025
ময়ূরাক্ষী তীরবর্তী বীরভূম : ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সমাজের সন্ধানে
ভারতবর্ষের ইতিহাস

ময়ূরাক্ষী তীরবর্তী বীরভূম : ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সমাজের সন্ধানে

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম বঙ্গদেশের অন্তঃস্থলে অবস্থিত বীরভূম জেলার ভূপ্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাস এক গভীর অন্তঃসার ধারণ করে আছে,...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
July 10, 2025
সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল : (১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ)
ভারতবর্ষের ইতিহাস

সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল : (১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ)

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যে সর্বাধিক শক্তিশালী, বুদ্ধিমান ও রাজনৈতিকভাবে দক্ষ ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব। ইতিহাসে...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
June 19, 2025

Facebook Page

নবজাগরণ

ADVERTISEMENT
No Result
View All Result

Categories

  • English (9)
  • অন্যান্য (11)
  • ইসলাম (28)
  • ইসলামিক ইতিহাস (23)
  • ইহুদী (3)
  • কবিতা (37)
  • খ্রিস্টান (6)
  • ছোটগল্প (6)
  • নাস্তিকতা (18)
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (24)
  • বিশ্ব ইতিহাস (26)
  • ভারতবর্ষের ইতিহাস (198)
  • রাজনীতি (39)
  • সাহিত্য আলোচনা (72)
  • সিনেমা (18)
  • হিন্দু (16)

Pages

  • Cart
  • Checkout
  • Checkout
    • Confirmation
    • Order History
    • Receipt
    • Transaction Failed
  • Contact
  • Donation to Nobojagaran
  • Homepage
  • Order Confirmation
  • Order Failed
  • Privacy Policy
  • Purchases
  • Services
  • লেখা পাঠানোর নিয়ম
  • হোম

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi

©Nobojagaran 2020 | Designed & Developed with ❤️ by Adozeal

Login to your account below

Forgotten Password?

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Don't have an account yet? Register Now
1
Powered by Joinchat
Hi, how can I help you?
Open chat
wpDiscuz
0
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
| Reply