মাওলানা আবুল কালাম আজাদ পবিত্র কোরআনের যে ব্যখ্যাগ্রন্থ লেখেন তার ভুমিকায় তিনি বলেন,
“আধুনিক কালের পণ্ডিত এবং সমালােচকগণের মধ্যে একটি সুপ্রচলিত রীতি হইল যে, তাহারা পুরাতন এবং নতুনকে পৃথক করিয়া দেখেন, কিন্তু আমি এইরূপ কোনও পার্থক্য স্বীকার করি না। পুরাতনকে আমি পূর্বপুরুষদের নিকট হইতে উত্তরাধিকার রূপে পাইয়াছি এবং বর্তমানকে আমি রচনা করিতেছি স্বহস্তে। অতীতের সকল দিকের সহিত আমার যেমন ঘনিষ্ঠ পরিচয় রহিয়াছে, আধুনিক কালের সকল চিন্তাধারার সহিত আমার রহিয়াছে সুস্পষ্ট পরিচয়।” (তর্জামানুল কোরআন, বাংলাদেশ)
শুধু কোরআনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রেই নয়, তিনি তাঁর সারা জীবনেই আধুনিক ভাবধারার প্রতি বিশেষভাবে দায়বদ্ধ ছিলেন। ধর্মোন্মত্ততা বা সংকীর্ণতা নয়, তিনি সেই শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারােপ করেন যা মানুষকে আরও উদারচেতা করে। এভাবে জীবনকে দেখার মধ্যে যেমন রয়েছে ইতিহাসমনস্কতা তেমনি রয়েছে বাস্তবতাবােধ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদের পিতা মাওলানা খায়রুদ্দিন (রহঃ) একজন সুফি ঘরানার মানুষ ছিলেন, যিনি গত উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বােম্বে থেকে মক্কায় চলে যান এবং সেখানে বসবাস করেন। সেখানে তিনি বাড়িও নির্মাণ করেছিলেন। খায়রুদ্দিনের সঙ্গে মদিনার বিখ্যাত পণ্ডিত মােহাম্মদ জাহিরের কন্যা আলিয়ার বিবাহ হয়। মক্কাতেই ১৮৮৮ সালে আজাদের জন্ম। বংশের প্রথা অনুযায়ী তার নামকরণ হয় ফিরােজ বখত। তবে মহিউদ্দিন আহমদ নামেই তিনি সাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন। আরবি ভাষায় রচিত তাঁর বাবার দশ খণ্ড বিশিষ্ট একটি গ্রন্থ মিশরে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে পণ্ডিত হিসেবে সুপরিচিত হন। ১৮৯০ সালে তিনি (আজাদের পিতা) সপরিবারে দেশে ফিরে কলকাতায় বসবাস আরম্ভ করেন। ছােটবেলা থেকেই আজাদ অসাধারণ মেধাশক্তির পরিচয় দেন। ১৬ বছর বয়সেই আজাদের শিক্ষালাভ সম্পূর্ণ হয়। সে সময় তাঁর পিতার কাছে যে ১৫ জন ছাত্র শিক্ষালাভ করতেন, আজাদ তাদের দর্শন, গণিত ও তর্কশাস্ত্র পড়াতেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে যুগের বিখ্যাত ‘মাখজান’ পত্রিকায় তার মূল্যবান লেখাসমূহ প্রকাশ হতে থাকে এবং অল্প বয়সেই তিনি জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলনগুলিতে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। এভাবে কিশাের ‘মহিউদ্দিন আবুল কালাম আজাদ’ ছদ্মনামে বুদ্ধিজীবী মহলে খ্যাতিলাভ করেন। অতঃপর নিজস্ব পত্রিকা ‘আল হিলাল’ ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই প্রকাশিত হয়। আজাদের যােগ্য সম্পাদনার কারণেই মূলত ‘আল হিলাল’ দেশে সৃষ্টি করে বিশেষ আলােড়ন।
‘আল হিলাল’ পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মুসলমানদের জাতীয় জীবনের মেনস্ট্রিমে ফিরিয়ে আনা। মাওলানা আবুল কালাম ভারতীয় হিসেবে বিশেষ গর্ববােধ করতেন। দ্বিধাহীন চিত্তে তিনি বলেন যে,
“আমি ভারতের এক অপরিহার্য অংশ এবং আমাকে বাদ দিয়ে এই দীপ্যমান ভারতভূমির গড়ন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমি একটি একান্ত আবশ্যক উপাদান, যা দিয়ে ভারতকে গঠন করা সম্ভব। আমি এই অধিকার কখনই ত্যাগ করতে পারি না।”
এটাই হল মাওলানা আবুল কালাম আজাদের পরিচয়। ভারত গঠনে তার ভুমিকা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা তিনি উপলব্ধি করেন। ‘ধর্ম ও রাজনীতি উভয় ক্ষেত্রে কুরআনে ফিরে যাও’ এই হয়ে ওঠে আজাদের শ্লোগান। তাঁর এ ধরনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশের রাজনীতিতে উলেমা সম্প্রদায় বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন। অবশ্য দেশের রাজনীতিতে পূর্বেও উলেমা সম্প্রদায়ের তৎপরতা পরিলক্ষিত হতাে। কিন্তু আজাদ কর্তৃক ধর্ম ও রাজনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলে মত প্রকাশের ফলে উলেমা সম্প্রদায় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বেশি করে উৎসাহী হয়ে ওঠেন এবং আজাদ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থন লাভ করেন। তবে জীবনের সবক্ষেত্রে কুরআনের অনুসরণ অত সহজসাধ্য বিষয় ছিল না। তথাপি আজাদের এই মতবাদ কুরআনের প্রতি মুসলমান সম্প্রদায়ের মনােযােগ ও আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়ক হয়। তবে ধর্ম ও রাজনীতিকে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত করার নীতি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার তেমন পরিচায়ক বলে মনে হয় ।
দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে মুসলিমদের পৃথক প্লাটফর্ম সংক্রান্ত ভিখার উল-মুলকের প্রস্তাব আবুল কালাম সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি এবং তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক বা ভারতের মুসলমানদের ভবিষ্যৎ ইত্যাদি বিষয়ে কমই লিখেছেন। ‘আল হিলাল’-এর সম্পাদক হিসেবে মুসলিম ভারত সম্বন্ধে তার তেমন আগ্রহও দেখা যায়নি। তবে সমসাময়িক একটা বিতর্কিত বিষয়ে ঘটনাক্রমে হিন্দু-মুসলিম প্ররে তার একটা সাবলীল মন্তব্যপূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয় যা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ পরবর্তী ইতিহাসের প্রেক্ষিতে গুরুত্ব লাভ করে। ইসমাইলী হিন্দুদের ধর্মান্তর বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন,
“হিন্দুদেরকে ভয় করার কিছু নেই।…যদি তােমরা ভারতে বাস করতে চাও এবং বাঁচতে চাও তাহলে তােমাদেরকে তাদের সাথে আলিঙ্গণ করা উচিত।…এমনকি যদি অন্য জাতিসমূহ তােমাদের সাথে ভাল আচরণ না করে তােমরা তাদের সাথে ভাল আচরণ করবে।”
এই সময়ে আজাদের রাজনৈতিক চিন্তায় পরিবর্তন ঘটে। ১৯০৫ সালে কার্জন বাংলা ভাগের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিরােধ স্থায়ী করতে উদ্যোগী হন। ওই সময় আজাদ বিপ্লবী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর মাধ্যমেই তিনি বিপ্লবী কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হন।
১৯০৮ সালে আজাদ ইরাক, মিশর, সিরিয়া ও তুরস্ক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করেন। ইরাকে তার সঙ্গে ইরানি বি-বীদের দেখা হয়। মিশরে তিনি মুস্তাফা কামাল পাশার অনুগামীদের সংস্পর্শে আসেন। তুরস্কে ‘ইয়ং তুর্কি আন্দোলন’-এর নেতাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। ওই সময়ে তিনি ফরাসি দেশও ভ্রমণ করেন। লন্ডনে যাবার ইচ্ছা থাকলেও তিনি সেখানে যেতে পারেননি। প্রথম বিধাযুদ্ধ আরম্ভ হয় ১৯১৪ সালে এবং প্রাে-জার্মান বিষয়ক কিছু লেখা ও ছবির জন্য তার ‘আল হিলাল’ পত্রিকার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর তিনি ‘আল বালাগ’ (উর্দু) নাম দিয়ে অন্য এক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯১৬ সালে তার বাংলা থেকে বহিষ্কারাদেশের ফলে সেটির আয়ুষ্কালও শেষ হয়ে যায়। এরপর ১৯২০ সালের রাজকীয় সাধারণ ক্ষমা ঘােষণার কাল পর্যন্ত তিনি রাঁচিতে বসবাস করেন। এই সময়টা তিনি ব্যয় করেন ধর্মীয় ও সাহিত্য সাধনায়, যার ফসল অনবদ্য ‘তাজকিরাহ’।
তুরস্কের সমস্যাটা প্রকটরূপ ধারণ করে প্রথম মহাযুদ্ধের শেষ পর্বে, মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মানীর পক্ষে যােগদান করার কারণে। যুদ্ধে জার্মানীর পরাজয়ের ফলে তুরস্কের উপরে নেমে আসে সমূহ বিপদ, অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তুরস্কের সুলতানের খিলাফতের ভবিষ্যৎ। আর তুরস্কের সুলতানের এহেন অবস্থায় ভারতের মুসলমান সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। দেশে শুরু হয় খিলাফত আন্দোলন। আবুল কালাম আজাদ ও মােহাম্মদ আলী হয়ে ওঠেন সে আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা। এর কয়েক বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত গান্ধী ইংরেজদের বিরুদ্ধে এক প্রবল চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে খিলাফত আন্দোলনের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়কেও যুক্ত করলেন। দেশে দেখা দিল অভূতপূর্ব ঐক্যের পরিবেশ। তবে যেহেতু এই একাত্মতা ঘােষণা মূলত গান্ধীর একটা রাজনৈতিক কৌশল ছিল, সেই হেতু উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সে ঐক্য তেমন গভীর ও স্থায়ী হল না বা হতে পারল না।
মাওলানা আজাদের আজীবন সংগ্রাম ছিল ভারতীয় মুসলিমদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পটভূমি সৃষ্টি করা। এই পটভূমির উপরে দাঁড়িয়েই তারা নিজেরা দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে পারবে। মাওলানা আজাদ তাই বলেছিলেন,
“ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমরা সগর্বে বলতে পারি যে, আমাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও সহনশীলতা..আর অন্যান্য দেশে চিন্তার ও কর্মের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করতে গিয়ে কত না যুদ্ধ, রক্তপাত হয়েছে, তারপর তারা একটা ঐক্য স্থাপন করতে পেরেছে। আর ভারতবর্ষে এইসব সংঘর্ষ সর্বদাই এক মুক্তচিন্তা, সুস্থ বােঝাপড়া ও মীমাংসার দ্বারা বাড়ানাে গেছে। এই হল ভারতবর্ষের বৈশিষ্ট্য।”
এই বিশ্বাসের উপর দৃঢ়চিত্ত থেকেই আজাদ চেয়েছিলেন কংগ্রেসের পতাকা তলে ভারতীয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে। আর এই ঐক্যবদ্ধতা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জরুরী ছিল। কিন্তু ১৯২৪ সালের দিকে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়লে এই ফঁাকে হিন্দু মহাসভার সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে গােহত্যাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা শুরু হয়। এই ভয়ংকর অবস্থার সামাল দিতে দিল্লিতে এক মৈত্রী সম্মিলন আহ্বানের প্রস্তাব করা হয়, যার প্রধান পৃষ্ঠপােষক ছিলেন মাওলানা আজাদ। সম্প্রীতি ও সংহতি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষে এই সম্মিলনে যে প্রস্তাব গৃহীত হয় তা এই যে, হিন্দুরা জোরপূর্বক গােবধ বন্ধ করতে পারেন না। এই প্রস্তাব সনাতনী হিন্দুদের খুশি করতে পারেনি। অন্যদিকে সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মাওলানা আজাদ তাদের এই বলে আস্ত করলেন যে, অনুমােদন থাকলেও গােহত্যা ইসলামের আবশ্যকীয় বিষয় নয়। মুসলমানদের মধ্যে গােমাংস প্রীতিও বিশেষ প্রবল নয়। এমনকি বহু মুসলমান গােমাংস খায় না। সুতরাং হিন্দু জনগণ মুসলমানদের শুভেচ্ছার উপর ভরসা করতে পারেন। এভাবে ধর্মীয় যুক্তিজাল বিস্তার করে আজাদ সেদিন জাতিকে অশুভ শক্তির করাল গ্রাস থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কিন্তু কখনও চায়নি ভারত সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হােক। ব্রিটিশের এই ভেদবাদের বিরুদ্ধে মাওলানা আজাদ সদা সরব ছিলেন। কিন্তু কুচত্রী ব্রিটিশের কুটনৈতিক চাল তখন মুসলিম লিগ, হিন্দু মহাসভা ও সর্বোপরি জাতীয় কংগ্রেসও সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। আর এই ষড়যন্ত্রের চক্রে পা দিয়ে অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দেশভাগকে মেনে নিতে হয়। বহু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ একে ঠেকাবার জন্য সর্বশক্তি নিয়ােগ করেও পরাস্ত হয়েছেন। এই পরাজয়ের দলে অবশ্যই ছিলেন আজাদ। তিনি প্যাটেল ও নেহেরুকে বলেছিলেন, দেশভাগ মেনে নেওয়ার অর্থ ভারতের জন্য স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করা। ঘৃণার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কী হবে, তা কেউ বলতে পারে না। সেদিন আজাদের কথায় প্যাটেল ও নেহরু কর্ণপাত করেননি। ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় জাতীয়তাবাদে আস্থাবান আজাদ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন যে, তিনি দেশভাগের বিরােধী। কারণ দেশভাগের আগে কলকাতা, নােয়াখালি, বিহার, বােম্বে ও পাঞ্জাবে যেভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, দেশভাগ হলে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। শেষ পর্যন্ত গান্ধিজি ভারত ভাগ মেনে নেওয়ায় আজাদ নির্বাক হয়ে যান। ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়। আজাদ সে সময়ে তাঁর বন্ধু সৈয়দ মাহমুদকে বলেছিলেন,
“কেন আমার হৃদয়ের ক্ষতকে তুলে ধরছেন? দেশভাগের জন্য কেবল আমিই দায়ী।”
মাওলানা আজাদের বুকে সেদিন যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল আজও সংহতির বাহক ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষদের বুকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে। বর্তমানে বিজেপির ধ্বংসাত্মক তথা বিভেদমূলক রাজনীতি এই রক্তক্ষরণকে আরও বৃদ্ধি করেই চলেছে। এটা বন্ধ করতে এখনই দরকার মাওলানা আজাদের সামগ্রিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে হিন্দু-মুসলিমের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।
‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।