• মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
Friday, May 9, 2025
নবজাগরণ
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi
No Result
View All Result
নবজাগরণ
No Result
View All Result

আদিনা মসজিদ : পাণ্ডুয়ার এক প্রাক-ইসলামীয় ধর্মস্থান

আমিনুল ইসলাম by আমিনুল ইসলাম
October 17, 2022
in ইসলাম, ভারতবর্ষের ইতিহাস
0
আদিনা মসজিদ

Adina Mosque or Jama Masjid in Gaur in Bengal State India Contributor: dbimages / Alamy Stock Photo, Photographer: dbtravel Date taken: 2009

Share on FacebookShare on Twitter

আদিনা মসজিদ : কেউ যদি মনে করেন, তুর্কিরা ভারতবর্ষে তাদের শাসন শুরু করেছিল বিনা বিচারে জীবন, সম্পত্তি ও ধর্ম ধ্বংস করে, তাহলে সেটা ইতিহাস ভুল পড়ার বিশাল দৃষ্টান্ত দেখাবে। মন্দির ধ্বংস করার যেসব দৃষ্টান্ত সমকালীন বর্ণনায় পাওয়া যায়, সেগুলি শুধু যুদ্ধকালীন কার্যকলাপের ভিত্তিতেই পরীক্ষা করা উচিত নয়, সমকালীন ঐতিহাসিকদের অতিরঞ্জিত করার অভ্যাসের পরিপ্রেক্ষিতেও দেখা উচিত। হাসান নিজামি যেমন কালিঞ্জরের সব মন্দির ধ্বংসের কথা যথার্থ তৃপ্তির সঙ্গে বলেছেন, বাস্তবে অধিকাংশ প্রাক-মুসলিম মন্দিরগুলি ওখানে, অন্তত মহােবা ও খাজুরাহােতে এখনও অক্ষত আছে। ওই একই ধরনের অতিশয়ােক্তি বেনারস, কালপী, দিল্লি ও আজমীর বিজয়ের বর্ণনাতেও পাওয়া যায়। এতে অবশ্য কোনাে সন্দেহ নেই যে, কতকগুলি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংসও করা হয়েছিল। সুলতান ইলতুৎমিস (১২১১-১২৩৬) উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির ধ্বংস এবং আজমীরে বিগ্রহ পালের বিদ্যালয়কে মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন বলে মিনহাজউদ্দিন উল্লেখ করেছেন। তবে এ সময় প্রচুর মন্দির তৈরিও হয়েছে, বহুক্ষেত্রে সরকারি আনুকূল্যেই। দিল্লির কাওয়াতুল মসজিদ অবশ্যই হিন্দু মন্দিরের মালমশলা দিয়ে তৈরি। বাদাউনে ইলতুৎমিসের মসজিদও তাই। এমন বহু উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বােধহয় যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ মন্দির-মঠ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহিষ্ণুতাও অনেক ক্ষেত্রে এ ধরণের ক্ষতির জন্য দায়ী।

আদিনা মসজিদ
চিত্রঃ আদিনা মসজিদ , Image Source: flickr

মুসলিমগণ যেসব মন্দির ধ্বংস বা কলুষিত করেছিল তার অধিকাংশই ঘটেছে সামরিক অভিযানের সময়ে আর যেসব ক্ষেত্রে সামরিক অভিযান সম্পর্কিত ছিল না, সেসব ক্ষেত্রে ধর্ম নয়, বরং বিজেতার ধনলিপ্সাই দায়ী ছিল। কারণ এটা সুবিদিত যে, তৎকালে হিন্দু মন্দিরগুলােতে প্রচুর ধনরত্ন গচ্ছিত থাকত এবং এখনও থাকে। কালের নিয়মে জরাজীর্ণ হয়েও বহু বৌদ্ধ স্থাপত্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মুসলিম ও ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তিও বহু ধ্বংস করেছিল। অনেক হিন্দু মন্দিরও কালের গ্রাসে গুরুত্বহীন হয়ে ধ্বংস হয়েছিল। এককালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে বৌদ্ধ বা হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল, যেটা বিবেকানন্দসহ বহু মনীষী স্বীকার করেছেন। এ ক্ষেত্রে ওইসব অঞ্চলে বৌদ্ধ বা হিন্দু মন্দির নব মুসলিমদের কাছে তার প্রয়ােজনীয়তা হারিয়েছিল। কালক্রমে সেগুলি জরাজীর্ণ হয়ে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। সেই অব্যবহৃত ধ্বংসাবশেষ হয়ত পরে অনেক মুসলিম স্থাপত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।

বাংলার কয়েকটি প্রাচীন ইসলাম-ধর্মীয় সৌধের প্রত্নসাক্ষ্যও অ-ইসলামীয় অলংকরণ ব্যবহৃত হওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। বহুকাল পরের মানুষদের এরকম মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক যে, সে-যুগে প্রাক-ইসলামীয় ধর্মস্থান ধ্বংস করেই ওই সব অলংকরণগুলি আহৃত হয়ে ইসলামীয় সৌধে ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু বাংলার সহজযানী বৌদ্ধদের দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রেক্ষাপটটাই এই রকম ঘটনার অন্য রকম অথচ অতি যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা উপস্থিত করেছে।

আমরা দেখেছি যে, সহজযানীদের পূর্বসূরী বৌদ্ধ বজ্রযানীদের মধ্যে বুদ্ধদেবের নানা শক্তিরূপের দ্যোতক হিসাবে বহু বৌদ্ধদেবদেবীর উদ্ভব ও তাদের পূজার ব্যাপক প্রকাশ ঘটেছিল। ওই সব দেবদেবী যে সব বৌদ্ধ মন্দির বা মঠে পূজিত হত সেগুলি নানা বৌদ্ধ প্রতীক চিহ্নেও সজ্জিত হত। বজ্রযানীদের সূচনার আমলে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে সেই অলংকরণগুলি নির্মিত হত বাংলায় দুষ্প্রাপ্য উচ্চমূল্যের পাথর দিয়ে। কিন্তু সহজযানী আমলে বাংলার বৌদ্ধদের মূল অংশের লােকেদের মধ্য থেকে মূর্তিপূজার অবসান হয়ে যাওয়ায় ওই সমস্ত বজ্রযানী বিগ্রহ ও সৌধগুলি পরিত্যক্ত হয়ে ধ্বংসােন্মুখ অবস্থায় চলে গিয়েছিল বলেই মনে হয়। কিন্তু ২/১টি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া সেগুলি বর্ণহিন্দুদের দেবালয়ে পরিবর্তিত না হওয়াই স্বাভাবিক। এইসব পরিত্যক্ত সৌধগুলির অধিকাংশের অবস্থান নিশ্চিতই সহজযানী অধ্যুষিত গ্রামাঞ্চলেই ছিল। আর সেগুলি গ্রামের চারণভূমির মতাে গ্রামবাসীদের সাধারণ সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তাই কোনও গ্রামের সহজযানীরা ইসলামধর্মী হয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে যে সব ইসলামীয় ধর্মাচরণের জন্য সৌধের প্রয়ােজন দেখা দিয়েছিল তা সেই সব ব্যবহার্য অথচ পরিত্যক্ত বজ্রযানী সৌধগুলি মেটাত। কিছু ইসলামি চিহ্ন যুক্ত করেই এইপরিত্যক্ত বৌদ্ধ/জৈন সৌধগুলিকে ইসলামীয় করে নেওয়া হত।

আদিনা মসজিদ
Adina Mosque, Pandua, West Bengal, India. (Photo by: Amit Pasricha/IndiaPictures/Universal Images Group via Getty Images)

আবার কোনাে নির্মীয়মান ইসলামি সৌধের অলংকরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত অ-ইসলামীয় সৌধগুলির অংশ বিশেষ সংযােজিত হত। কে বলতে পারে যে, ভারতে মসজিদসমূহের মধ্যে সর্ববৃহৎ আদিনা মসজিদে পাণ্ডুয়া নির্মাণ ১৩৭৫) যে সব বৌদ্ধ অলংকরণ চিহ্ন রয়েছে সেগুলি কয়েকশত বছর পূর্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ ও হিন্দু রাজাদের পরিত্যক্ত রাজধানী পাণ্ডুয়া থেকে এভাবেই সংগৃহীত হয়নি? গৌড় ও পাণ্ডুয়ার পুরাকীর্তি সার্ভে করে জে ডি বেগলার বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি ১৮৮৭-৮৮ সালে ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ বেঙ্গল’ রিপাের্ট প্রণয়ন ও প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থ, যা লন্ডনের ‘স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ’-এর গ্রন্থাগারে সংরথিত আছে। বেগলার এই গ্রন্থে আদিনা মসজিদ (Adina Mosque) এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন এবং প্রতিটি অংশের পরিমাপ দেন। আদিনা মসজিদ (Adina Mosque) এর এরূপ সার্ভে পূর্বে হয়নি, যদিও তাঁর সকল মন্তব্য গ্রহণযােগ্য নয়—উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, ভাগলপুর ডিভিসনের কৈলাস পাহাড়ের মন্দিরসমূহ ধ্বংস করে পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ (Adina Mosque) নির্মিত হয়। এ কথা সত্য যে, আদিনা মসজিদের মিহরাব, মিম্বর ও অন্যান্য অংশে হিন্দু ভাস্কর্যের ভগ্নাবশেষ দেখা যায়। তিনি বলেন,

“The sanctum of the temple, judging from the remnants of heavy pedestals of statues, now built into the pulpit and the superb canopied trefoil now doing the duty of prayer niche stood where the main prayer nich now stands : nothing world probably so tickle the fancy of a bigot (?) as the power of placing the sanctum of his orthobox cult (in this case the main prayer niche) on the spot where hated infidel had his sanctum.’

সহজ কথায় জে ডি বেগলার বলতে চান যে, হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে আদিনা মসজিদের (Adina Mosque) কেন্দ্রীয় মিহরাব এবং মিম্বর নির্মিত হয়েছে এবং এ কাজে মুসলিম স্থপতি তার ধর্মীয় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু এমন কোনাে প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, আদিনা মসজিদ (Adina Mosque) হিন্দু মন্দিরের ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। বেগলার স্বয়ং আদিনা মসজিদের চত্বরে ৫-৬ ফুট গভীরে খনন করে যাচাই করে দেখেন। কিন্তু এই চত্বরে হিন্দু মন্দিরের কোনাে ভিত্তিভূমি পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, সুদূর ভাগলপুর থেকে হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে আদিনা মসজিদ নির্মিত হয়নি, কারণ যাতায়াতের অসুবিধা। বিচ্ছিন্নভাবে এখানে ওখানে হিন্দু মন্দিরের ভাস্কর্য ভগ্নাবস্থায় পাওয়া যায়। সেগুলি আদিনা মসজিদে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তাতে প্রমাণ হয় না যে, মন্দির ভেঙে নির্মাণ উপকরণ আনা হয়েছে। তবে বিষয়টি বিতর্কিত এজন্য যে, মুসলমান আমলে হিন্দু মন্দির বা স্থাপনা ভেঙ্গে এর উপকরণ নিয়ে যে সমস্ত মসজিদ নির্মাণ করা হতাে তাতে সাধারণত দেবদেবীর মূর্তিগুলিকে নিশ্চিহ্ন বা বিকৃত করে ব্যবহার করা হত। অনেক সময় এগুলি উল্টা করে স্থাপন করা হত। কিন্তু আদিনা মসজিদে যে সমস্ত দেবদেবীর মূর্তি দেখা যায় সে সম্পর্কে সুখময় মুখােপাধ্যায় বলেন,

“(মূর্তিগুলির) অনেকগুলিই মসজিদের বাইরের দেওয়ালে ও ভিতরে বেশ ভাল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত আছে। কয়েকটি (মূর্তি) দরজার উপরের প্যানেলে খুব সুন্দরভাবে খােদাই করা আছে। ঐ প্যানেলটি বাইরে থেকে (হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে) আনা হয়েছে বলে মনে করা শক্ত। কারণ, এগুলি দরজার মাপের সাথে অবিকল মিলে যায়। বাইরে থেকে আনা মূর্তি সংবলিত প্যানেলকে দরজার মাপের সঙ্গে কৃত্রিমভাবে মেলানাে হলে তার মধ্যে এমন সুষমতা ও পরিপূর্ণতা রক্ষা করা সম্ভব হত বলে মনে হয় না। সুতরাং সিকান্দার শাহ হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে আদিনা মসজিদের উপকরণ সংগ্রহ করেছিলেন, একথা নিঃসংশয়ে বলা চলে না।” (বাংলার ইতিহাস, পৃ. ২৩৫)।

তাই মনে রাখা প্রয়ােজন যে, কোনও প্রাচীন ইসলামীয় সৌধে অ-ইসলামীয় অলংকরণের অবস্থিতি অনিবার্যভাবে প্রমাণ করে না যে, সেই সৌধটি নির্মাণে নিকটবর্তী কোনও অ-ইসলামীয় ধর্মস্থানের, যেখানে তখনও ধর্মাচরণ চলছিল—তাকে ধ্বংস করেই সেই সব অলংকরণ আহৃত হয়েছিল।

আদিনা মসজিদ
চিত্রঃ আদিনা মসজিদ , Image Source: shutterstock

ইসলাম ধর্মীয় সৌধে হিন্দু মন্দিরের অংশবিশেষ ব্যবহারের আরও একটি পরিপ্রেক্ষিতও আলােচনা প্রয়ােজন। যদিও বাংলায় ইসলাম ধর্মগ্রহণকারীদের একটা বড় অংশই বৌদ্ধ সহজযানীরা ছিল, তবু বাংলার গ্রামাঞ্চলে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের বিচার অস্পৃশ্য বা জল-অচল শূদ্র জাতির লােকেদের একটা উল্লেখযােগ্য অংশও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অতলান্ত ঘৃণা-বিদ্বেষ-অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ও ইসলামের ধর্মীয় সাম্যের আকর্ষণে সে ধর্ম গ্রহণ করেছিল। এরকম ব্রাত্যজন অধ্যুষিত গ্রামে মুষ্টিমেয় বর্ণ হিন্দুরও অধিষ্ঠান ছিল। সে সব গ্রামে তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দেবালয়ের অবস্থিতি নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু এরকম মন্দির কোনও ব্যক্তি বিশেষের পারিবারিক বংশানুক্রমিক সম্পত্তি ছিল বলেই সে সব মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ বা পূজার্চনা সেই সব পরিবারের অর্থানুকূল্যেই সাধিত হত। কিন্তু সে রকম কোনও পরিবারের আর্থিক অবস্থার বিপর্যয় ঘটলে তাদের পথে আর মন্দিরের ব্যয় সংকুলন সম্ভব হত না। ফলে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী এরকম মন্দিরের স্বত্বাধিকারীরাই মন্দির পরিত্যাগ করে বিগ্রহকে নদী বা জলাশয়ে বিসর্জন দিতেন। তুর্কি আগমনের বহু শত পূর্ব থেকেই বাংলায় তথা ভারতে এরকম অজস্র পরিত্যক্ত মন্দির বা বিগ্রহের অস্তিত্ব ছিল এবং আজও আছে। ইসলাম ধর্মগ্রহণকারী ব্রাত্যজনদের অধ্যুষিত গ্রামেও এরকম পরিত্যক্ত মন্দির বা বিগ্রহের অবস্থানও স্বাভাবিক ঘটনা। এখন ইসলাম ধর্মগ্রহণকারী সেখানকার একদা ব্রাত্য মানুষদের ওই রকম পরিত্যক্ত মন্দির বা বিগ্রহের প্রতি কি মনােভাব পােষণ করা স্বাভাবিক? ব্রাত্য জীবনে যারা কখনও সে সব মন্দিরে প্রবেশাধিকার পায়নি, ব্রাহ্মণদের বিধানে যে সব মন্দিরে দেবতাদের পূজা দেওয়ার অধিকার তাদের ছিল না—তাদের কাছ থেকে কি সেই সব পরিত্যক্ত মন্দির বা বিগ্রহের প্রতি কোনাে ধর্মীয় মােহ আশা করা সঙ্গত? তাই ওই ধর্মান্তরিত ব্রাত্যজনেরা যখন তাদের নতুন ধর্মের প্রয়ােজনে কোনও সৌধ নির্মাণ করেছিল, তখন তাতে ওই পরিত্যক্ত মন্দিরের অংশ বা বিগ্রহ সংযােজিত করেছিল। মনে রাখা প্রযােজন যে পর্বতহীন গাঙ্গেয়বঙ্গে পাথরের বড়ই অভাব ছিল এবং যা পাওয়া যেত সেগুলি হতাে দুর্মূল্য। যার পরিবর্ত হিসাবে মন্দির বা বিগ্রহের পাথর ব্যবহৃত হয়েছিল, তারা তা করেছিল সেগুলির প্রস্তর মূল্যের জন্যই হিন্দুধর্মীদের মনে আঘাত করার জন্য নয়, তাদের উপহাস করার জন্যও নয়। পাশাপাশি স্মরণ রাখতে হবে যে বাংলার মানুষরা সুফি-সন্তদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আর তৎকালীন জগতে বিশ্বমানবতাবাদের শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা সুফিদের প্রতি ভিন্নধর্মীদের ধর্মস্থান ধ্বংস করার প্ররােচণা দেওয়ার অভিযােগ করা এক ঐতিহাসিক বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

‘নবজাগরণ’ অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

‘নবজাগরণ’ এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

‘নবজাগরণ’ এর ফেসবুক পেজে লাইক করতে নিচের আইকনে ক্লিক করুন।

Post Views: 8,128
Tags: adina-mosqueancienthistoricalHistoryআদিনা মসজিদপাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদমসজিদ
ADVERTISEMENT

Related Posts

বিদ্যাসাগরের প্রতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিদ্বেষ ও বিরোধীতা
ভারতবর্ষের ইতিহাস

বিদ্যাসাগরের প্রতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিদ্বেষ ও বিরোধীতা

একজন বিদ্যার সাগর, আর একজন সাহিত্যের সম্রাট। উভয়েই উনিশ শতকের বিখ্যাত মনীষী ও লেখক এবং পরস্পরের সমকালীন। উনিশ শতকের...

by কামরুজ্জামান
November 13, 2024
মন্দির ধ্বংস এবং ইন্দো-মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ
ভারতবর্ষের ইতিহাস

মন্দির ধ্বংস এবং ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিবৃত্ত

লিখেছেনঃ রিচার্ড এম. ইটন সম্প্রতি, বিশেষ করে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর, দক্ষিণ এশিয়ার মন্দির এবং মসজিদের রাজনৈতিক...

by অতিথি লেখক
November 12, 2024
প্রকৃতি, নান্দনিক চৈতন্য ও মরমিবাদ: বাংলার আরবি-ফার্সি শিলালিপির আধ্যাত্মিক দিক
ইসলামিক ইতিহাস

প্রকৃতি, নান্দনিক চৈতন্য ও মরমিবাদ: বাংলার আরবি-ফার্সি শিলালিপির আধ্যাত্মিক দিক

চিত্র ৪.১ (শিলালিপি নং): পাণ্ডুয়ার শায়খ নূর কুতব আল আলমের সমাধিফলকে ব্যবহৃত সাতটি আধ্যাত্মিক উপাধি...

by মুহাম্মাদ ইউসুফ সিদ্দিক
November 7, 2024
রহস্য উদ্ঘাটন মূলক বিশ্বাস খ্রিস্টানদের ইজরাইল সমর্থনের বড় কারণ
ইসলাম

‘রহস্যউদ্ঘাটনমূলক’ বিশ্বাস আমেরিকান খ্রিস্টানদের ইহুদি ও ইজরাইল সমর্থনের বড় কারণ

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম রহস্য উদ্ঘাটন পন্থী খ্রিস্টান মৌলবাদীরা ‘বাইবেল সংক্রান্ত কারণে’ আরও ব্যপকভাবে ফিলিস্তিন-ইজরাইল সংঘাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। [Apocalypse...

by মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম
November 8, 2024

POPULAR POSTS

  • সুলতান মাহমুদ

    সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান ও সোমনাথ মন্দির প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)

    181 shares
    Share 181 Tweet 0
  • বাউরী সম্প্রদায়ের উৎপত্তির ইতিহাস ও ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • আর্যদের ভারত আগমন, বিস্তার, সমাজ ও সভ্যতা: এক ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বৌদি কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক আদৌ কি প্রেমের ছিল?

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • হিন্দু পদবীর উৎপত্তির ইতিহাস, বিবর্তন ও ক্রমবিকাশঃ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

Facebook Page

নবজাগরণ

ADVERTISEMENT
নবজাগরণ

'Nobojagaran' is a website of its kind where you can gather knowledge on all the unknown facts of the world. We human beings always have a thirst for knowledge. Nobojagaran takes its first steps to quench this thirst of ours. We are now in the era of digital world, where we get almost anything online. So how about a bit of knowlyfrom online?

Connect With Us

No Result
View All Result

Categories

  • English (9)
  • অন্যান্য (11)
  • ইসলাম (26)
  • ইসলামিক ইতিহাস (22)
  • ইহুদী (1)
  • কবিতা (37)
  • খ্রিস্টান (6)
  • ছোটগল্প (6)
  • নাস্তিকতা (18)
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (24)
  • বিশ্ব ইতিহাস (24)
  • ভারতবর্ষের ইতিহাস (194)
  • রাজনীতি (38)
  • সাহিত্য আলোচনা (68)
  • সিনেমা (17)
  • হিন্দু (16)

Pages

  • Cart
  • Checkout
  • Checkout
    • Confirmation
    • Order History
    • Receipt
    • Transaction Failed
  • Contact
  • Donation to Nobojagaran
  • Homepage
  • Order Confirmation
  • Order Failed
  • Privacy Policy
  • Purchases
  • Services
  • লেখা পাঠানোর নিয়ম
  • হোম
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • ইতিহাস
    • ইসলামিক ইতিহাস
    • ভারতবর্ষের ইতিহাস
    • বিশ্ব ইতিহাস
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • খ্রিস্টান
    • হিন্দু
    • ইহুদী
    • অন্যান্য ধর্ম
  • নাস্তিকতা
  • রাজনীতি
  • সিনেমা
  • সাহিত্য
    • কবিতা
    • ছোটগল্প
    • উপন্যাস
    • সাহিত্য আলোচনা
  • অন্যান্য
  • ই-ম্যাগাজিন
    • নবজাগরণ (ষাণ্মাসিক) – জীবনানন্দ ১২৫ তম জন্ম সংখ্যা – মননশীল সাহিত্য পত্রিকা
  • Others Language
    • English
    • Urdu
    • Hindi

©Nobojagaran 2020 | Designed & Developed with ❤️ by Adozeal

Login to your account below

Forgotten Password?

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Don't have an account yet? Register Now
wpDiscuz
0
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
| Reply
Open chat
1
Powered by Joinchat
Hi, how can I help you?